বায়োফ্লকে শিং মাছ চাষ - বায়োফ্লকে শিং মাছের রোগ

শিং মাছ চাষের পুকুরে যেসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে সেগুলো প্রত্যেক মাছ চাষিদের জেনে রাখা দরকার। পুকুরে মাছ চাষ বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় ও একইসাথে লাভজনক পেশা হিসেবে পরিচিত হয়েছে। চাষ করা মাছগুলোর মধ্যে শিং মাছ অন্যতম। তবে শিং মাছ চাষে পুকুরের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। আজ আমরা জেনে নিব শিং মাছ চাষের পুকুরে যেসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে সেই সম্পর্কে-

বায়োফ্লকে শিং মাছ চাষের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকতে হবেঃ


বায়োফ্লকে শিং মাছ চাষে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। নিচে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

১। শিং মাছ চাষ করা পুকুরে কোনভাবেই যাতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিবেচনা করেই শিং মাছের পুকুর নির্বাচন করতে হবে।

২। শিং মাছ চাষ করা পুকুরের পাড়ে কোনভাবেই ভাঙা বা গর্ত রাখা যাবে না। পুকুরের পাড় ভাঙা বা গর্তযুক্ত হলে চাষ করা শিং মাছ পুকুর থেকে বের হয়ে যেতে পারে।

৩। শিং মাছের চাষ করার জন্য পুকুর আয়তকার হলে সবচেয়ে ভালো হবে। তবে পুকুরের গভীরতা খুব কম বা বেশি হওয়া যাবে না। এতে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর পুকুরের আয়তন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে হতে হবে।

৪। শিং চাষের পুকুরে পানি প্রবেশ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোন কারণে পুকুরের পানির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেলে যাতে দ্রুত পরিবর্তন করা যায় এমনভাবে পুকুরের পরিকল্পনা করতে হবে।

৫। শিং মাছ চাষের পুকুরের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তের চেয়ে ১ ফুট ঢালু রাখতে হবে। তা না হলে শিং মাছ চাষে নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে করণীয়

শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে করণীয়

শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে করণীয় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। মাছ চাষ আমাদের দেশে বেশ লাভজনক একটি পেশা। মাছ চাষে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মাছের বিভিন্ন ধরণের রোগ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে পুকুরে শিং মাছ ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে। শিং মাছ যেসব রোগে আক্রান্ত হয় সেগুলোর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ অন্যতম। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে করণীয় সম্পর্কে- 


শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে করণীয়ঃ


রোগের লক্ষণসমূহঃ


১। শিং মাছের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ হলে আক্রান্ত মাছ খাদ্য গ্রহণ করতে চায় না। 

২। আক্রান্ত মাছ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে এবং মাঝে মাঝে ঝাঁকুনি দিয়ে চলাচল করে।

৩। শিং মাছের শরীরে শ্লেষ্মার পরিমাণ অনেকগুনে কমে যায়।

৪। শিং মাছের শরীর সাদাটে রং ধারণ করে ও লেজে পঁচন ধরতে শুরু করে। 

৫। শিং মাছ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাপক মড়ক লক্ষ্য করা যায়।

রোগের প্রতিকার ও নিয়ন্ত্রনঃ


১। শিং মাছ ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের দ্বারা আক্রান্ত হলে পুকুরে প্রতি শতকে ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম হারে চুন এবং লবন প্রয়োগ করতে হবে।

২। শিং মাছের পুকুরে প্রতি শতকের ৩ ফুট গভীরতার জন্য ৫ থেকে ৭ গ্রাম হারে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন ৩ থেকে ৪ দিন প্রয়োগ করতে হবে।

৩। শিং মাছের পুকুরে  প্রতি কেজি খাবারের সাথে ১ থেকে ২ গ্রাম সিপ্রোফ্লোক্সাসিন মিশিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন খাওয়াতে হবে।

৪। প্রয়োজনে পুকুরের পানি পরিবতর্ন করে নিতে হবে এবং সঠিক ঘনত্বে শিং মাছ চাষ করতে হবে।


  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ খরচ
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে তেলাপিয়া মাছ চাষ
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে চিংড়ি মাছ চাষ
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ লাভ

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রশিক্ষণ pdf
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে পাবদা মাছ চাষ
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে কি কি মাছ চাষ করা যায়
বায়োফ্লক তৈরির পদ্ধতি
বায়োফ্লক ট্যাংক তৈরি
বায়োফ্লক সরঞ্জাম
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বই PDF download
মাছ চাষ বই ডাউনলোড

আরও পড়ুনঃ পুকুরের পানি বিষাক্ত হলে করণীয়




2 Comments

Let us know how you are feeling about this article by commenting.

  1. হেডলাইনে ”বায়োফ্লকে শিং মাছ চাষ - বায়োফ্লকে শিং মাছের রোগ”। আর আমিও বায়োফ্লক সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনি হেডিং ছাড়া বডিতে ”পুকুর নিয়ে” কোথা থেকে কপি পেস্ট করলেন? এসব প্রতারণা ছাড়ুন।

    ReplyDelete
  2. শিং মাছের ফাঙ্গাস রোগে জন্য কী পতিকার হিসাবে কী করা যায়

    ReplyDelete

Post a Comment

Let us know how you are feeling about this article by commenting.

Previous Post Next Post