ব্লগ লিখে আয়,বাংলা ব্লগ লিখে আয়,ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়,লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট,বাংলা লিখে আয় করার সাইট,এডসেন্স থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি,ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়
বাংলা হোক বা ইংরেজি, আদতে বিষয়টা হলো ‘কনটেন্ট রাইটিং’। বিশুদ্ধ ক্রিয়েটিভ ব্লগ থেকে শুরু করে সফ্টওয়্যার টেকনিক্যাল রাইটিং—এর মধ্যে সবকিছুই পরে। এমনকী, গোস্টরাইটিংও, যেখানে অন্য কারও বকলমে লিখতে হয়।
একটি ব্লগ ওয়েবসাইট (blog Website) হতে পারে আপনার সারা জীবনের ইনকামের উৎস। যদি আপনি একটু কষ্ট করে আপনার ব্লগ(Blog) সাইটটাকে কোনভাবে দাড় করে ফেলতে পারেন। তাহলে এখান থেকে আপনি প্রতি মাসে অনেক ভালো এমাউন্টের একটা অর্থ আয় করতে পারবেন। যা ইতি মধ্যে অনেকে সফলভাবে করচ্ছে ।
আপনি চাইলে লেখালেখি করে আয় করতে পারেন। অনলাইনে আয় করার যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে ব্লগিং করে আয় তৃতীয় জনপ্রিয়। অনলাইনে লেখালেখি করাকেই অনলাইন ব্লগিং বলে। অনলাইনে ব্লগিং করে ইনকাম করা খুব সহজ না হলেও যারা লেখালেখিতে অভ্যস্ত তাদের জন্য ব্লগিং করে আয় করাটা একটা প্যাশন বলা যায়।
আপনি যদি শুরুর দিকে একটু কষ্ট করে নিয়মিত ভালো ভালো আর্টিকেল(Article) লিখে যান তাহলে আপনার ব্লগ(Blog) থেকে প্রতিমাসে ১০০০ ডলার পর্যন্তও আয় করা সম্ভব।
ছাত্রছাত্রীদের অনেকের লেখালেখির অভিজ্ঞতা থাকে এমনকি এরকম অনেকেই আছেন যারা কোন জব করছেন কিন্তু লিখতে ভালোবাসেন; তাদের জন্য ব্লগিং করে আয় একদিকে যেমন বাড়তি ইনকামের সুযোগ তেমনি সমাজে কিংবা দেশে একজন নামকরা লেখক হওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।
একটি ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। ব্লগ থেকে ইনকামের যতগুলো পদ্ধতি আছে তার মধ্যে নিচের পদ্ধতিগুলো বেশি সমাদৃত যেমন-
- ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা ইনকাম।
- ব্লগে প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং করে অর্থ আয়।
- ব্লগ দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা।
- অন্যকারো ব্যাক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানে ব্লগ লিখে আয়।
উপরোক্ত চারটি পদ্ধতির মধ্যে "ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা ইনকাম" পদ্ধতিটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সেটি ধাপে ধাপে এই লেখাতেই আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করলে; আজ থেকেই কাজে নেমে যেতে পারবেন। প্রতিটি ধাপ শুরু করার আগে; ব্লগ লিখে কিভাবে আয় করা যায় তা নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ব্লগসাইট খুলতে হবে। ব্লগসাইট হলো একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার লেখাগুলো পাবলিশ করবেন। এজন্য এটিকে ওয়েবসাইট থেকে আয় করাও বলা হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে হলে- লেখা পাবলিশ করার পর মোটামুটি আপনার ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয় হলে; গুগল এডসেন্সে আবেদন করতে হবে। গুগল এডসেন্সে এপ্রুভাল পেলে তারপর আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগ দিয়ে প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং করে অর্থ ইনকাম করতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর অনেক বেশি হতে হবে। প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং মূলত: কোন প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে পজিটিভ লেখালেখি করে সেটির পাবলিসিটি বা রিভিউ করা। আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা অনেক বেশি হলে যেকোন কোম্পানির মার্কেটিং সেকশনে যোগাযোগ করতে পারেন৷ একটি ভালো অর্থের বিনিময়ে কোম্পানির নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট সম্পর্কে লেখা পাবলিশ করে নগদ অর্থ আয় করাই হলো মূলত প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং করে আয় করা। এক্ষেত্রে ভালো অংকের অর্থ পাওয়ার নিশ্চয়তা যেমন থাকে তেমনি নগদ অর্থ পাওয়ায় সফলতা কিংবা কাজটি ভালো লাগার অনূভুতিটা গভীর হয়।
ব্লগ দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা অনেকটাই বর্জনীয়। আগে অনেকেই ব্লগসাইট দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতো কিন্তু পরিশ্রমের তুলনায় আয় কম হওয়ায় এখন ওয়েবসাইট দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং আর তেমন চোখে পড়ে না। তবে আপনি ইচ্ছা করলে; আপনার ব্লগসাইট কিংবা ওয়েবসাইট দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনেকটাই অনলাইন সেলসম্যান বা বিক্রয়কর্মীদের মতো। যেকোন কোম্পানির পণ্য নিজের ওয়েবসাইট দিয়ে বিক্রি করে দিলে; ঐ প্রোডাক্টের লাভ্যাংশের কিছু অংশ আপনাকে দেওয়া হবে- এটিকেই মূলতঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। আপনি চাইলে আমাজন, ইবাই কিংবা আলিবাবার মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিজের ওয়েবসাইটে বিক্রি করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মূল্যবান প্রোডাক্টের বেশি সংখ্যক কাস্টমার পেলে প্রতিমাসে লাখ টাকা ইনকাম করাও তেমন কঠিন কাজ নয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় জেনে নিন ধাপে ধাপে
শুধুমাত্র বাংলা বা ইংরেজি বা যে কোনও ভাষা লিখেই আয় করা যায় আর তা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব বাড়িতে বসেই। এই সব লেখা যে শুধু ওয়েব-এর জন্য, তা কিন্তু নয়। বিজ্ঞাপন জগতের কনটেন্ট রাইটার-রা মূলত লেখেন প্রোডাক্ট ব্রোশিওর, নিউজলেটার, ই-মেলার ইত্যাদি। এছাড়াও কনটেন্ট রাইটাররা কাজ করেন বিভিন্ন বই প্রকাশনা সংস্থার হয়ে, টেক্সট্ বুক রাইটার হিসেবে।
এই পেশায় যাঁরা আছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ ওয়েব-এ ‘ওয়র্ক ফ্রম হোম’ মোডে কাজ করেন। অর্থাৎ লেখাজোকা, প্রোজেক্ট ডেলিভারি, টিম মিটিং, মাসমাইনে—সবকিছুই অনলাইন। কেউ কেউ আবার ‘মাস’ হিসেবে নয়, প্রোজেক্ট অনুযায়ী কাজ করতে পছন্দ করেন। সে প্রোজেক্ট এক সপ্তাহেরও হতে পারে, আবার ৬ মাসেরও হতে পারে। এর পাশাপাশি রয়েছেন ফুল-টাইম কনটেন্ট রাইটার্স, যাঁদের নির্দিষ্ট সময়ে অফিস যেতে হয় এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা ধরে কাজ করতে হয়। বহুদিন কাজ করে অভিজ্ঞতা বাড়লে, পরে কনটেন্ট এডিটর হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
কনটেন্ট রাইটিং-এর সবচেয়ে বড় কাজের বাজার কিন্তু রয়েছে ওয়েব-এই। আর সে বাজার ক্রমশ বাড়ছে। তবে শুধুমাত্র বাংলায় যদি লেখেন, তবে কাজের ক্ষেত্রটা ইংরেজি-র তুলনায় সীমিত। বাড়ি থেকে কাজ করলে প্রথমেই আপনাকে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে ইলান্স-ওডেস্ক(আপওয়র্ক) এবং ফ্রিলান্সার-এ। এ দু’টি ওয়েবসাইট হলো এই ধরনের কাজের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক। এখানে পাবেন দু’ধরনের প্রোফাইল—একদল যাঁরা কাজ করেন এবং অন্যদল, যাঁরা কাজ করান, অর্থাৎ ক্লায়েন্টস। সারা প়ৃথিবী থেকে লোকজন এখানে কাজের খোঁজে আসেন। শুধু কনটেন্ট নয়, ওয়েব ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং, ডেটা এন্ট্রি, টাইপিং এমনকী অ্যাকাউন্টস-এর কাজও থাকে।
এই দুই দলকেই রেটিং করে এই ওয়েবসাইটগুলি। যিনি লিখবেন, তাঁর জন্য আছে নানা ধরনের স্কিল টেস্ট। তিনি যত বেশি টেস্ট দেবেন এবং ভাল নম্বর নিয়ে পাশ করবেন, তাঁর ‘বাজারদর’ তত বেশি। ক্লায়েন্ট-রা এই রেটিং-এর উপর ভিত্তি করেই রাইটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, টাকা-পয়সা নিয়ে দর কষাকষি করেন। বাংলা কনটেন্ট রাইটিং-এর উপর কী কী ধরনের কাজ আছে, সেটা ওয়েবসাইটের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন-এ খুঁজতে হবে। ক্লায়েন্টরা কাজগুলি সম্পর্কে দু’চার কথা লিখে প্রোজেক্ট হিসেবে সেগুলি পোস্ট করেন। পাশে লেখা থাকে টাকার অঙ্ক—প্রতি ঘণ্টা কাজের হিসেবে অথবা সম্পূর্ণ প্রোজেক্ট ধরে। তাছাড়া রয়েছে কুইকার, ইনডিড, নোকরি ডট কম ইত্যাদি জব সাইট্স, যেখানে ফুল-টাইম, পার্ট টাইম দু’ধরনের কাজেরই খবরাখবর থাকে।
বিডিং-নেটওয়র্কিং-কলিং
কনটেন্ট রাইটিং-এর কাজ পাওয়া যায় তিনভাবে—
১. ওয়েবসাইটগুলিতে গিয়ে নেটওয়ার্কিং করুন। ইলান্স-ওডেস্ক এবং ফ্রিলান্সার ছাড়াও বর্তমান সময়ে খুব জরুরি লিঙ্কডইন প্রোফাইল। ওয়েব থেকে যাঁরা নিয়োগ করেন তাঁদের অনেকেই এই সাইটে বিভিন্ন প্রোফাইল ঘেঁটে বেছে নেন লেখক-লেখিকাদের। নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা ফলাও করে লেখা ছাড়াও রাখতে পারেন কিছু লেখার নমুনাও—কোনও ব্লগ বা প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত কোনও লেখার স্ক্যানড্ ইমেজ। এছাড়া আজকাল অনেকেই ফেসবুকে একটি পেজ খুলে নিয়ে ব্যক্তিগত প্রোফাইলের মাধ্যমে প্রোমোট করেন।
২. ওয়েব কনটেন্ট রাইটিং-এ উপার্জনের পরিমাণের কোনও সীমা নেই। আর উপার্জন বাড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হলো ‘বিডিং’। নতুন যাঁরা লিখতে আসছেন, তাঁরা প্রথমেই এই খেলায় নামতে যাবেন না। অন্তত এক বছর ইলান্স-ওডেস্ক এবং ফ্রিলান্সার-এর বিডিংগুলি ভাল করে লক্ষ করুন। বিডিং হয় এইভাবে-- একজন ক্লায়েন্ট একটি ‘প্রোজেক্ট’ পোস্ট করে ‘বিডিং’-এর জন্য একটি সময়সীমা দিয়ে দেন। কাজটি কী ধরনের, তার একটা বর্ণনা দেওয়া থাকে।
এর ভিত্তিতে আপনাকে করতে হবে ‘বিড’-- অর্থাৎ কাজটি আপনি করলে কতদিনে করবেন এবং ‘কত টাকা’-র বিনিময়ে সেটি এই প্রোজেক্ট-এর থ্রেড-এ লিখতে হবে। ক্লায়েন্ট ‘বিড’-গুলি পড়ে তার মধ্যে থেকে বেছে নেবে। এখানে ক্লায়েন্ট দেখবে মূলত চারটি জিনিস— আপনার আগের কাজের অভিজ্ঞতা, স্কিল টেস্ট-এর ফলাফল, আপনি ক্লায়েন্ট-এর দেওয়া ডেডলাইনের মধ্যে প্রোজেক্ট জমা দিতে পারবেন কি না এবং কত কম টাকায় কাজটি করবেন।
৩. বিড-এ না গিয়ে লিঙ্কডইন, ইলান্স অথবা ফ্রিলান্সার থেকে ক্লায়েন্ট-এর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সরাসরি ফোন করে কথা বলতে পারেন। মনে রাখবেন, মেইল করে খুব একটা লাভ হয় না। ফোন-এ প্রাথমিক কথা বলে পরে স্কাইপি-তে যোগাযোগ করলে ভাল। বিদেশি ক্লায়েন্টরা সাধারণত স্কাইপি-তেই কথা বলতে চান।
‘পে-প্যাল’ এবং পেমেন্ট
ওয়েব-এ বেশিরভাগ কাজই আসে বিদেশ থেকে। সবচেয়ে বেশি আদানপ্রদান হয় ডলার-এ। এক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য নির্ধারিত একাউন্টের ব্যপারটা যাচাই করে নিতে হবে।
ওয়েব কনটেন্ট রাইটিং নিয়ে একটি বদনাম আছে। অনেকে কাজ করিয়ে টাকা দেয় না। এমনটা সত্যিই ঘটে। তাই খুব জরুরি হলো, কাজ হাতে নেওয়ার আগে ক্লায়েন্ট সম্পর্কে ভাল করে জানা। ক্লায়েন্ট-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ভাল করে স্টাডি করতে হবে। তাছাড়া ইলান্স বা ফ্রিলান্সার-এ ক্লায়েন্ট রিভিউগুলি পড়তে হবে। এখানে কাজ করিয়ে-রা যেমন লেখকদের কাজের মূল্যায়ন করেন, তেমনই লেখকরাও মূল্যায়ন করেন ক্লায়েন্টদের।
যেমনই ক্লা়য়েন্ট হোক না কেন, অর্ধেক টাকা হাতে নিয়ে তবে প্রোজেক্ট-এ হাত দেবেন। বাকি টাকার পেমেন্ট হবে ফাইনাল প্রোজেক্ট সাবমিশন-এর পর। এবেলা
কি ধরনের লেখা লিখে আয় করবেন?
যেকোন ধরনের লিখা আপনি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারেন। ওয়েবসাইটে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্যাশন অনুসরণ করতে পারেন। আপনি যা কিছু নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন সেগুলো নিয়ে লিখাই সবচেয়ে ভালো। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় আমি আপনাকে দেখাতে পারি যেমন-
- খেলাধুলার ব্লগ লিখে আয় করতে পারেন।
- রাজনৈতিক ব্লগ লিখে আয় করতে পারেন।
- এডিটরিয়াল ব্লগ লিখে আয় করতে পারেন।
- টেকনোলজি ব্লগ লিখেও অর্থ আয় করতে পারেন।
- শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট খোলেও আয় করতে পারেন।
- ক্যারিয়ার বিষয়ক ওয়েবসাইট খোলেও ইনকাম করতে পারেন।
- ফ্যাশন রিলেটেড ওয়েবসাইট খোলেও আয় করতে পারেন।
এরকম আরও বহু লেখার অপশন আছে যেগুলো নিয়ে লিখলে আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। তবে নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিতে হবে। কেবল ভিজিটর পাওয়াই উদ্দ্যেশ্য নয় বরং ওয়েবসাইট থেকে একটি ভালো এমাউন্ট আয় করাই উদ্দ্যেশ্য।
লেখালেখির ক্ষেত্রে নিজের প্যাশন ধরে রাখুন। যে বিষয়ে নিজের পারদর্শীতা অনন্য সেটি নিয়েই লিখুন। আজ যেটি আপনার প্যাশন সেটি একদিন আপনার পেশাও হতে পারে।
বাংলাদেশে ক্যারিয়ার বিষয়ক এবং রাজনৈতিক বিষয়ক ওয়েবসাইটের কদর সব থেকে বেশি। আপনি চাইলে উপরোক্ত যেকোন একটি বিষয় নিয়ে লিখে আয় করতে পারেন অথবা একাধিক বিষয় নিয়েও লিখতে পারেন৷ ব্লগ রাইটিং করে ইনকামের ক্ষেত্রে দুই তিনজন মিলে শুরু করলে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
এর জন্য আপনাকে যে অনেক ভালো ইংলিশ জানতে হবে তেমন কিন্তু নয় আপনি ইচ্ছে করলে এখন বাংলা ভাষায়ও ব্লগ সাইট(Blogsite) তৈরি করে এবং বাংলাতেই আর্টিকেল লিখতে পারেন। বাংলা ভাষায় ব্লগ সাইট(Blog site) করেও এখন অনেক ভিজিটর পাওয়া সম্ভব এবং বাংলা ব্লগ সাইট(Blog site) থেকেও এখন একটা ভালো এমাউন্টের টাকা আয় করা সম্ভব ।
সবচেয়ে সস্তিজনক ব্যাপার হলো বাংলা ভাষায় ওয়েবসাইটেও এখন গুগল এডসেন্স এর সার্ভিস দেওয়া শুধু করেছে গুগল। যার ফলে এখন আর বিজ্ঞাপন নিয়ে ব্লগ(Blog) এডমিনদের কোন জামেলায় পরতে হয় না । এবং ইনকামের পরিমাণ ও অনেক বেড়েছে।
তবে হ্যা আপনি যদি ইংরেজিতে ব্লগসাইট(Blog site) তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার সফলতার হার অনেক বেশি থাকবে কারণ বাংলা ভাষার তুলনায় ইংরেজি ভাষার ভিজিটর অনেক বেশি এবং সেই সাথে আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় ব্লগ(Blog) তৈরি করেন তাহলে আপনার বেশিরভাগ ভিজিটর আসবে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা এসব দেশ থেকে যাদের দেশের বিজ্ঞাপনের দাম আমাদের দেশের তুলণায় অনেক বেশি যার ফলে ইংরেজিতে ব্লগ সাইট(Blog site) করলে আপনার ইনকাম এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় ।
আপনি ইচ্ছে করলে আপনার ব্লগে (Blog) পার্টটাইম(part time) ফুলটাইম(Full time) যে কোন ভিত্তিতেই কাজ করতে পারবেন এমন কি আপনার অবসর সময় গুলোতে আপনার ব্লগে(Blog) লেখা লেখি করে কাটাতে পারেন। মনে রাখা ভালো আপনি আপনার ব্লগে যত বেশি সময় দিবেন আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
তো আজকে আমি আপনাদের এই বিষইটিই বলবো যে কিভাবে আপনারা একটি ব্লগসাইট(Blog site) তৈরি করবেন এবং কিভাবে সেটা দাড় করাতে পারবেন। কিভাবে সেই ব্লগে অনেক ভিজিটর আনবেন এবং কিভাবে আপনার ব্লগ থেকে আয় করবেন একদম A to Z সব কিছু আমি আপনাদের বলে দিবো আজ ।
আপনারা যারা একদম নতুন এবং যারা এই ব্যাপারে কিছুটা হলেও জানেন সকলের জন্যই আর্টিকেলটা কাজে লাগবে আমি আশা করি। এখানে আমি ব্লগসাইট(Blog site) সর্ম্পকে সব কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার এই আর্টিকেলটি থেকে আশা করি আপনারা সকলেই নতুন কিছু জানতে পারবেন এবং আপনিও আয় করতে পারবেন প্রতিমাসে ১০০০ডলার। তাই একটু সময় খরচ করে হলেও সবাই মনোযোগ দিয়ে পুরো পোষ্টি পড়ার চেষ্টা করবেন।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা যা যা শিখবো এবং জানবো
ব্লগ কি? (what is blog in bangla)
- কিভাবে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করব (how to make blog site in bangla)
- কিভাবে ব্লগার হওয়া যায় (How to be a blogger in bangla)
- কিভাবে ব্লগে ভিজিটর আনা যায়(How to get visitors to the blog bangla)
- ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় (how to earn money Blog in bangla)
- এই আর্টিকেলটি পড়ার আগে যেসব আর্টিকেল গুলো আপনি অবশ্যই পড়বেন
- কিভাবে একটি ই-মেইল একাউন্ট খুলবেন
- আপনার যেকোন কিছুর পাসওয়ার্ড যেভাবে হ্যাকারদের হাত থেকে বাচাবেন।
- যেভাবে ইংরেজি শিখবেন এবং কথা বলবেন ১০০% কার্যকরী
১/ ব্লগ কি (What is blog?)
what is blog site
ব্লগ শব্দটি ইংরেজি Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগাররা তাদের ব্লগ হালনাগাদ করেন। {সূত্র: উইকিপিডিয়া}
ব্লগকে(Blog) আপনি আপনার ডাইরির সাথে তুলনা করতে পারেন । আপনি যেমন অবসর সময় পেলে আপনার ডাইরিতে লেখালেখি করেন তেমনি অবসর সময়ে অনলাইনে কোন একটি সার্ভার ভিত্তিক ওয়েবে লেখালেখি করাই ব্লগ(Blog) যা পুরো ইন্টানেট জুরে বিস্তিত থাকে।
আপনার ডাইরি এবং ব্লগ(blog) এর মধ্যে একটিই পার্থক্য আপনার ব্লগের লেখা গুলো শুধু ইন্টারনেট সংযুগের মাধ্যমেই সবাই দেখতে পারবে পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে। আর আপনার ডাইরির লেখা গুলো আপনি আর আপনার খুব ঘনিষ্ঠজন ছাড়া তেমন কেউ দেখতে পারে না।
তবে হ্যা একটি ডাইরিতে লেখালেখি করতে কিন্তু আপনাকে তেমন কোন খারচ বহন করতে হয় শুধু একটি কাগজের তৈরি ডাইরি হলেই হলো যা খুবই কম মূল্য বহণ করে।
কিন্তু ব্লগে(Blog) লেখালেখি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু খরচ বহণ করতে হবে। যেমন একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে যার জন্য লাগবে ডোমেন(domain) নেম, হোস্টিং(Hosting) সার্ভার, থিম আরো অনেক কিছু। যা সবগুলোই কিনে নিতে হয় যদিও বা ফ্রিতেও এসব জিনিস পাওয়া যায় কিন্তু ফ্রি গুলো তেমন টেকসই নয়।
ব্লগ(Blog) হলো এমন একটি জিনিস যেখানে যে কেউ যে কোন বিষয়ের উপর তার নিজের মন খুশি মত লেখালেখি করতে পারে এবং সেটা পুরো ইন্টারনেটে সবসময়ের জন্য থেকে যায় । এবং সেটা যে কেউ তার নিজের প্রয়োজনে পড়তে পারে। এবং মন্তব্য করতে পারে।
২/ কিভাবে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করব (how to make blog website in Bangla)
how to make blog website in Bangla
ব্লগওয়েবসাইট(Blog website) তৈরি করার জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তার মধ্যে সেরা দুটি হলো ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ব্লগ তৈরি করা আর অন্যটি হলো ব্লগার থেকে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা।
আপনারা যে কোন একটি থেকেই ব্লগ সাইট(Blog site) তৈরি করতে পারেন। আপনারা ইচ্ছে করলে ফ্রি অথবা কিছু টাকা পয়সা খরচ করে প্রিমিয়াম সাইটও বানাতে পারেন।
আমি আপনাদেরকে আজকে ওয়ার্ডপ্রেস থেকে কিভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় সেটি বলবো ।
জেনে রাখা ভালো আপনি যদি সত্যি আয় করার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্লগ বানাতে চান তাহলে আমি আপনাকে বলবো আপনি ফ্রি এর দিকে না যেয়ে কিছু টাকা পয়সা খরচ হলেও প্রিমিয়াম ডোমেন হোস্টিং ও থিম নিয়ে কাজ করুন।
ব্লগ লিখে আয় করার সুবিধা
ব্লগ লিখে আয় করার নানাবিধ সুবিধা আছে৷ ওয়েবসাইট থেকে আয় করার সবথেকে বড় যে সুবিধা সেটি হলো, এই পদ্ধতিটি অনেকটা লাক্সারি টাইপের। লেখালেখির অভ্যাস সবার থাকেনা; যাদের লেখালেখির অভ্যাস আছে কেবল তারাই ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের স্বপ্ন দেখেন৷ ব্লগসাইটে লেখালেখি করে ইনকামের চাইতেও অনেকসময় প্যাশনটা আমাদের অনেক বড় হয়ে উঠে। তারপরও ব্লগ লিখে আয় করার ক্ষেত্রে যেসকল সুবধা পাওয়া যায়-
- ব্লগ লিখে বড় অংকের অর্থ উপার্জন করা যায়।
- ব্লগ লিখে আয় করতে বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়ে না৷
- নামকরা ব্লগার বা লেখক হয়ে উঠা যায়।
- একটি ওয়েবসাইটের মালিক হওয়া যায়।
- ব্লগ থেকে নগদ অর্থ উপার্জন করা যায়।
এছাড়াও যারা ব্লগ লিখেন; সমাজে কিংবা দেশের উচ্চ লেভেলে তাদের আলাদা একটি কদর সবসময় ই থাকে; ফলে কেবল অর্থ উপার্জনই নয় বরং সফলতার চূড়ায় যেতে চাইলে ব্লগিং একটি ভালো উপায়।
ব্লগ লিখে আয় করার অসুবিধা
ব্লগ লিখে আয় করার ক্ষেত্রে তেমন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়না তবে কিছু ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে যেমন: গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে অনেক দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হতে পারে (যদি ব্লগের মান ভালো না হয়)। এছাড়াও আরো ছোটখাটো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন যেমন-
- দীর্ঘ সময় ভিজিটর না পাওয়া।
- গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে দেরি হওয়া।
- মাঝেমধ্যে ব্লগের ভিজিটর খুব কম হওয়া।
- ওয়েবসাইট হ্যাকিং এর বিরম্বনায় পড়া (খুব কম ক্ষেত্রে)
এছাড়াও টুকটাক আরও সমস্যা হতে পারে তবে; লেখালেখি করে আয় করাকে প্যাশন হিসেবে নিলে উপরোক্ত সমস্যাগুলোকে তেমন সমস্যা মনে হবেনা৷ অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে এগুলো সমস্যা প্রায় কমনই বলা চলে তবে ইনকাম শুরু করার পর ধীরে ধীরে সমস্যাগুলো কেটে যাবে।
ব্লগ থেকে আয় করুন ধাপে ধাপে
ব্লগ লিখে আয় করতে গেলে আপনার একটি কম্পিউটারের প্রয়োজন পড়বে এবং সেটিতে অবশ্যই নেট সংযোগ থাকতে হবে। ব্লগ লেখার জন্য অনেকগুলো প্লাটফর্ম আছে কিন্তু বাংলাদেশে ব্লগ লিখে আয়ের ক্ষেত্রে দুটি প্লাটফর্ম খুবই জনপ্রিয়। প্লাটফর্ম দুটি হলো-
ব্লগারে লেখালেখি করে আয়।
ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ লিখে আয়।
প্রথম প্লাটফর্মটি অর্থাৎ Blogger সার্ভিসটি গুগলের। যাদের ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের তেমন জ্ঞান নেই তারা এই প্লাটফর্মটি থেকে সহজেই ব্লগিং করে আয় করা শুরু করতে পারেন। দ্বিতীয় প্লাটফর্মটি ওয়ার্ডপ্রেস যা Blogger এর চেয়েও অনেকটা আপডেটেড। যাদের ওয়েবসাইটের ভালো জ্ঞান আছে এবং যারা প্রফেশনাল ব্লগার হতে চান তাদের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস বেশি উপযোগী। আমরা আমাদের এই লেখায় গুগলের সার্ভিস Blogger এ ব্লগিং করে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবো ধাপে ধাপে।
ধাপ ০১: ভাবুন কি নিয়ে ব্লগ লিখবেন এবং ব্লগসাইটের নাম ঠিক করুন
ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে ভালো লাগে আপনার। বিষয়টা অনেক বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আপনার লেখালেখির বিষয়ের উপরই আপনার সফলতা নির্ভর করবে। যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান সুদৃঢ় সে বিষয়ে আপনার লেখার ভাষা হবে সুস্পষ্ট তাই আপনি আপনার পছন্দের বিষয়টি খোজে বের করুন।
লাগলে দুয়েকদিন সময় নিন। তাড়াহুড়ো না করে বরং নিজের ভালো লাগা খোজে বের করুন। প্রয়োজনে নোট করুন- কোন বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখতে চান৷ বিষয় ফিক্সড করা হয়ে গেলে সে অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটের একটি নাম ঠিক করুন। ব্লগসাইটের নাম নির্ধারণে অবশ্যই মনে রাখতে হবে-
- ব্লগ থেকে আয়ের জন্য ওয়েবসাইটের নামটি হবে অর্থবহ।
- ওয়েবসাইটের নামটি দুটি শব্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা শ্রেয়।
- ওয়েবসাইটের নামে ডোমেইন এভেইলেবল কি না জানতে হবে।
- নামটি পরিবর্তন করা যাবে না এই মর্মে ঠিক করতে হবে।
- এছাড়া নাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নাম বের করে প্রয়োজনে নোট করে রাখতে হবে। নোট করে রাখা নামের মধ্য থেকে যে নামটি বেশি স্পষ্ট এবং প্রাসঙ্গিক সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
ধাপ ০২: ব্লগসাইট খুলুন এবং ভালো মানের একটি থিম সিলেক্ট করুন
লেখালেখি করে ইনকামে করতে চাইলে অবশ্যই একটি "লেখালেখির প্লাটফর্ম" দরকার পড়বে যেখানে আপনি আপনার লেখাগুলো প্রকাশ করবেন। এই পোস্টেই ব্লগ লেখার দুটি প্লাটফর্মের কথা বলা হয়েছে। ব্লগসাইট খোলার জন্য গুগলের "ব্লগার" প্লাটফর্মটি বেছে নিতে পারেন অথবা আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসও বেছে নিতে পারেন।
কিভাবে একটি ব্লগসাইট খোলবেন জেনে নিন ধাপে ধাপে
ব্লগসাইট তৈরি করার সময় অবশ্যই ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামের দিকে খেয়াল করুন। ডোমেইন নামে যেন কোনভাবেই বানান ভুল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ব্লগসাইট খোলা হয়ে গেলে; ভালো মানের একটি থিম সিলেক্ট করুন। ব্লগারের বিভিন্ন থিম রয়েছে সেগুলো ব্যাবহার করতে পারেন অথবা ব্লগারের জন্য বিভিন্ন ফ্রী থিম বিভিন্ন ওয়েবসাইটে এভেইলেবল; আপনি চাইলে সেগুলোও ডাইনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্লগের নাম ও থিম সিলেক্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কেননা; ব্লগ বা ওয়েবসাইটের নামের উপরই আপনার ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা নির্ভর করবে৷ একজন ব্যাক্তি যিনি ব্লগ পড়েন তিনি কখনোই এলোমেলো নামের ব্লগ পড়তে চান না; সেটি আপনি হলেও পড়বেন না।
ব্লগসাইট খোলার সময় সতর্কতা অবলম্বনের বিকল্প নেই। ব্লগের নাম ও থিম সিলেক্টের ক্ষেত্রে মনে রাখবেন-
- ব্লগের নাম অবশ্যই লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক হবে।
- এলোমেলো ব্লগ নেইম ব্যবহার করা যাবেনা।
- ডোমেইন নেইম অবশ্যই ব্লগ নেইমের সাথে মিল থাকতে হবে।
- থিম লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
- থিম বারবার পরিবর্তন করা যাবে না।
উপরোক্ত বিষয়গুলো মনে রাখার পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে- ব্লগের স্ট্রাকচার বা গঠন নিয়ে বেশি নড়াচড়া করা একদম বারণ; এক্ষেত্রে ট্রাফিক কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
ধাপ ০৩: নিয়মিত লেখা পাবলিশ করতে থাকুন
এই ধাপটি আপনার প্রতিভার স্মারক। লিখে আয় করতে চাইলে লেখার কোয়ালিটি কতটা ভালো হতে হবে সেটি দেখানোর পালা এই ধাপে। আপনাকে নিয়মিত লিখতে হবে। কি লিখবেন সেটির একটি চার্ট করে রাখতে পারেন। চার্ট ধরে ধরে লিখতে থাকুন। লেখালেখির ক্ষেত্রে কিছু মৌলিক বিষয় তুলে ধরা হলো-
লেখার বিষয়বস্তুকে সুস্পষ্ট ফুটিয়ে তুলুন: লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগে থেকেই পরিষ্কার ধারণা রাখুন। লেখার মধ্যে বিষয়বস্তুকে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। একটি বিষয় মাথায় রাখবেন যেন; ব্লগ রিডাররা আপনার ব্লগ পড়ে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ না পায়। বিষয়বস্তু যত সুদৃঢ় হবে, ভিজিটররা ততই আপনার ব্লগে আকৃষ্ট হবে। ব্লগ লিখে আয় করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি খুবই মুখ্য।
মৌলিক বিষয়কে প্রাধান্য দিন: লেখালেখি করে আয়ের ক্ষেত্রে ভিজিটর সংখ্যা বেশি হওয়া অত্যাবশকীয়। ভিজিটর সংখ্যা তখনই বেশি হবে যখন আপনার লেখনি হবে মৌলিক ধরণের। মৌলিক বিষয় হচ্ছে সেগুলো যেগুলো নিয়ে আগে কোন ব্লগার ব্লগ লিখেনি। সবসময় মৌলিক ব্লগ লিখতে হবে ব্যাপারটি এমনও নয়; আপনি চাইলে যেকোন বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন সেক্ষেত্রে ব্লগের মান অনেক বড় ফ্যাক্টর হবে।
ব্লগ একটু দীর্ঘ হওয়া চাই: আর্টিকেল বা ব্লগ হচ্ছে মনের সুস্পষ্ট ভাষা। এটিকে খবরের মতো চিন্তা না করাই শ্রেয়। কোন কিছু নিয়ে সম্যক ধারণা কাউকে দিতে গেলে নিঃসন্দেহে সেটি অনেক বড় হবে। একটি ব্লগের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আপনি ব্লগ লিখছেন অর্থাৎ কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন; আলোচনা ছোট হওয়ার কোন মানে হয়না। আর্টিকেল লিখে আয় করতে চাইলে আর্টিকেলের আকার হবে অনেকটাই দীর্ঘ। ছোট কবিতার মতো কখনোই ব্লগ বা আর্টিকেল হয়না৷ আর্টিকেল বা ব্লগের স্বকীয়তা হচ্ছে; ঘটনার আদ্যোপান্ত বিশ্লেষণ। এটি মাথায় রাখা খুবই জুরুরী।
ব্লগে কপি পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন: অন্যের লেখা চুরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে লিখুন। গুগল খুব সুন্দর করেই চুরিবিদ্যা ধরে ফেলতে পারে৷ অন্যকোন ওয়েবসাইট থেকে লেখা কপি করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলে; গুগল এডসেন্স না পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। নিজের সামর্থ্য যতটুকু ততটুকু দিয়েই লেগে থাকুন।
প্রথম দিকে ভালো ভালো ব্লগ পাবলিশ করেও ভিজিটর তেমন একটা পাবেন না তবুও চালিয়ে যান। নিয়মিত ব্লগ পাবলিশ করতে হবে। নিজের লেখা বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
গুগল সার্চের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের প্রথম ভিজিটর পেতে আমাদের সময় লেগেছিল ২ মাস ৮ দিন! এখন সেটি দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৫০ হাজারের উপরে। এটি সম্ভব হয়েছে লেগে ছিলাম বলেই। আপনিও লেগে থাকুন।
প্রথমদিকে ভিজিটর না পাওয়ার একটি কারণ হলো, গুগল আপনাকে বিশ্বাস করতে কিছু সময় নেয়। গুগলের কাছে বিশ্বাসী হতে সর্বোত্তম লেখা পাবলিশ করুন এবং লেগে থাকুন।
ধাপ ০৪: ওয়েবসাইট মনেটাইজেশন করুন
ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনার ব্লগসাইটকে মনেটাইজেশন করতে হবে। মনেটাইজেশন করার অর্থ হচ্ছে; আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের অনুমতি নেওয়া। ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশের পর সকল ব্লগারের এটা একটি কমন চাহিদা। ওয়েবসাইট মনেটাইজেশনের জন্য অনেকগুলো প্লাটফর্ম আছে যেমন-
- গুগল এডসেন্স দিয়ে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া।
- ফেসবুক পাবলিশারের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া।
- বিডভার্টাইজারের সাহায্যে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়া।
- পপেলারএডস এর মাধ্যমে ব্লগে বিজ্ঞাপন দেওয়া ইত্যাদি।
এছাড়া বাংলাদেশি কোম্পানি "গ্রীন এন্ড রেড" এর মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। ব্লগার বা ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দিয়ে ইনকাম করা প্রায় সবারই ড্রীম থাকে কিন্তু গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া অনেকটাই কঠিন কাজ।
গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে করণীয় জেনে নিন
গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে যাবতীয় সকল করণীয় উপরোক্ত লিংকে আমরা তুলে ধরেছি তাই সেটি নিয়ে কিছু লিখছি না৷ পূর্বে সাবডোমেইনে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল করতো না কিন্তু এখন সাবডোমেইনেও গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল হয়। যদি কেউ গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল না পান তবে ফেসবুকের পাবলিশারের অনুমোদন নিতে পারেন তবে সেক্ষেত্রে ফেসবুক পেজের ধকল পোহাতে হবে; সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের গ্রীন এন্ড রেড কোম্পানির এপ্রুভাল সহজেই নিতে পারেন।
গুগল এডসেন্স এবং ফেসবুকের পাবলিশার্স ছাড়া বাকি সব প্লাটফর্ম থেকে গ্রীন এন্ড রেড বাংলাদেশের জন্য ভালো। গুগল এডসেন্সে আবেদন করার দুই একদিনের মধ্যেই আবেদনটি এপ্রুভাল পেয়ে যাবে যদি উপরোক্ত লিংক অনুযায়ী আপনার ব্লগসাইট টি খোলে থাকেন।
ধাপ ০৫: ওয়েবসাইটের বিভিন্ন যায়গায় এড কোড বসান
গুগল এডসেন্সের এপ্রোভাল পাওয়ার পর- আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জায়গায় এড কোড বসাতে হবে। যেসব জায়গায় এড কোড বসাবেন সেসব জায়গায় গুগল বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করবে। বিজ্ঞাপণ প্রদর্শিত হওয়ার পর সেখানে ক্লিক করে কেউ বিজ্ঞাপণ দেখলে আপনি আয় করতে পারবেন। অতি লোভে পড়ে ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ অংশ এড দিয়ে ভরিয়ে তোলা যাবে না। এড কোড বসানোর ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে-
মাত্রাতিরিক্ত এড কোড বসানো যাবে না: মাত্রাতিরিক্ত বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করতে গেলে অনেক ভিজিটর বিরক্ত হয়ে ওয়েবসাইট থেকে বেড়িয়ে যাবেন ফলে লাভ তো হবেই না; বরং ভিজিটর কমে যাবে। এছাড়াও অতিরিক্ত বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করলে ওয়েবসাইটের সার্ফিং টাইম বেড়ে যায় অর্থাৎ পেজ লোড হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়বে। এরকম হলে গুগল পর্যন্ত আপনাকে উপেক্ষা করা শুরু করবে। ফলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনি তলানিতে পড়ে যাবেন।
নিজের এডে নিজে ক্লিক নয়: গুগল এডসেন্স পাওয়া যতটা সহজ তার চেয়ে কঠিন এটি ধরে রাখা কারণ ওয়েবসাইটে চুন থেকে পান খসলেই গুগল তার এডসেন্স বাতিল করে দেয়। বিজ্ঞাপণে কে বা কারা অথবা কোত্থেকে ক্লিক পড়ছে এগুলো সম্পর্কে গুগল অবগত থাকে ফলে আপনি যদি নিজের এডে নিজেই ক্লিক করেন তবে সেটি গুগলের ধরতে তেমন সময়ের প্রয়োজন হবেনা। আর একবার ধরে ফেললে; এডসেন্স তো বাতিল হবেই সেই সাথে ওয়েবসাইটের জায়গাও হবে গুগলের একদম তলানিতে। সুতরাং নিজের বিজ্ঞাপণে নিজে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার বিজ্ঞাপণে ক্লিক করতে কাউকে প্ররোচিতও করা যাবেনা। সৎ থেকে বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিকের আশা করতে হবে।
সর্বোচ্চ ৩টি এড কোড বসান: যে কেউ এড কোড বসানোর ক্ষেত্রে গুগলের অটোমেটিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। আপনিও প্রথম দিকে গুগলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যদি নিজে থেকে ওয়েবসাইটে এড কোড বসাতে চান সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩টি এড কোড বসাতে পারেন। ৩টির অধিক বসাতে গেলে; সার্ফিং টাইম অনেক বেড়ে যাবে ফলে ভিজিটর কমে যেতে পারে।
এড কোড বসানোর ক্ষেত্রে একটি ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে সেটি হলো- ঘন ঘন এড কোড পরিবর্তন করা যাবে না৷ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এড কোড বসালে সেখানে সবসময়ের জন্য বিজ্ঞাপণটি রাখুন। সার্চ ইঞ্জিনে সমস্যা হলে ব্লগের মান পড়ে যেতে পারে যেকারণে থিম বা এড কোড নিয়ে বেশি হাতাহাতি না করাই উত্তম।
ধাপ ০৬: ব্লগ পোস্ট চালিয়ে যান
আয়ের উপর নজর না দিয়ে ব্লগ লিখা চালিয়ে যান। পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি সুতরাং পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার পর প্রথমদিকে তেমন ইনকাম হবে না। দিন যত যাবে; ট্রাফিক তত বাড়তে থাকে। ট্রাফিক বাড়ার সাথে সাথে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমানও বাড়তে থাকবে।
নতুন নতুন লেখা পাবলিশ করুন। বন্ধুবান্ধবীদের কাছে; কৌতুহলপূর্ণ বিষয় জানতে চান। তারা যেসকল বিষয় নিয়ে আগ্রহী সেগুলো আপনি আপনার ব্লগে তুলে ধরুন৷ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের লেখা প্রচার করুন। বন্ধুদের লেখা শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করুন। যেভাবে পারেন; যেকোন বৈধ উপায়ে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ান। চেষ্টা থামিয়ে দিলে; ব্লগ লিখে আর্নিং করা কঠিন হয়ে যাবে সুতরাং চেষ্টা থামানো যাবে না। কষ্ট মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
"ব্লগিং করে আয় করার উপায় জেনে নিন ধাপে ধাপে || অনলাইন ইনকাম কোর্স" ব্লগটির মালিক ঢাকা স্টাফ। ব্লগটির কোন অংশ কপি পেস্ট করে আপনার ব্লগে পাবলিশ করলে গুগুল এডসেন্স বরাবর ডিএমসিএ লেটার পাঠিয়ে আপনার এডসেন্স বাতিল করা হবে।
ধাপ ০৭: গুগল এডসেন্স এর পেমেন্ট মেথড
প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে গেলে কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের চেষ্টার ফল পাবেন। ওয়েবসাইটে আয় করা অর্থ গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা হবে। সেই একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করাকে সাধারণত পেমেন্ট রিসিভ বলা হয়। গুগল এডসেন্স থেকে পেমেন্ট রিসিভ করার চারটি মাধ্যম আছে যেমন-
- পেপ্যাল
- ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড
- ইন্টারন্যাশনাল ভিসা কার্ড
- ব্যাংক ওয়ার
বাংলাদেশে পেপ্যাল এভেইলেবল নয় এমনকি সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড পাওয়াও অন্তত জটিল; তাই সরাসরি বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংকের একাউন্ট দিয়ে সরাসরি গুগল এডসেন্সের টাকা উত্তোলন করাই শ্রেয়। ব্লগ থেকে আয় করা অর্থ গুগল এডসেন্সে জমা হয়ে কমপক্ষে ১০০ ডলার হলে গুগল আপনাকে পেমেন্ট রিসিভ করার সুযোগ দিবে। ১০০ ডলারের কম হলে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না।
আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে আয় করতে চান অথচ ওয়েবসাইট খুলতে পারছেন না? আপনি চাইলে ঢাকা স্টাফের ওয়েবসাইটেও আপনার লেখা প্রকাশ করতে পারেন। লেখার মান এবং বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে আমরা পেমেন্ট করি। আপনি চাইলে আমাদের পরামর্শ নিয়ে ওয়েবসাইটও খুলতে পারেন। আমাদের ওয়েব ডিজাইনাররা আপনাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে আমাদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করুন।
ব্লগ লিখে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়? আর্টিকেল লিখে প্রতিদিন ১০০ ডলার আয় করুন; এরকম চমকপ্রদ লেখায় অনেকেই বিভ্রান্ত হোন। আসলে আর্টিকেল বা ব্লগ লিখে দিনে কত টাকা আয় করা যায় সেটি নির্ভর করবে; ভিজিটর সংখ্যার উপর এবং ব্লগটিতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে কতজন ক্লিক করলো তার সংখ্যার উপর।
এমনও হতে পারে; প্রতিদিন ১ হাজার ভিজিটর এসে ২০টি ক্লিক করে গেল সেক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ ২/৩ ডলার; আবার দেখা গেল, ভিজিটর ৫০ হাজার কিন্তু ক্লিক পড়েছে মাত্র ৫টি! সেক্ষেত্রে আয় কমে হবে ১ ডলার। বাংলাদেশি কোন ভিজিটরের ১ ক্লিক মাত্র ১০ সেন্ট (কম বেশি হয়) কিন্তু আমেরিকান ভিজিটরের ১ ক্লিক ২/৩ডলার (কম বেশি) হয়। সুতরাং ভিজিটরের লোকেশনও অনেক বড় ফ্যাক্টর। আবার কি ধরণের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে তার উপরেও আয় নির্ভর করবে৷ সুতরাং ব্লগসাইট থেকে ইনকাম কত হবে তা নির্ভর করছে-
- ভিজিটর সংখ্যার উপর।
- বিজ্ঞাপনে ক্লিক সংখ্যার উপর।
- ভিজিটরের লোকেশনের উপর।
- বিজ্ঞাপণের ধরনের উপর।
- ব্লগসাইটের পপুলারিটির উপর।
- ব্লগসাইটের বয়সের উপর।
অর্থাৎ আপনি ব্লগ থেকে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা বলা কখনোই সম্ভব নয়। চেষ্টা চালিয়ে গেলে এবং মৌলিক লেখা পাবলিশ করতে থাকলে আপনি ভালো একটি ইনকামে পৌছাতে পারবেন; সেটি দৈনিক ১০০ ডলার হতে পারে আবার ১ হাজার ডলারও হতে পারে। মনে রাখতে হবে; ব্লগ সাইটে আয়ের ক্ষেত্রে কোন শর্টকাট টেকনিক নেই। পরিশ্রম করুন; সফল হবেন ই।
আরও পড়ুন>>>>
ফেসবুক থেকে ইনকাম কোর্স : ফেসবুক ভিডিও থেকে আয় করা শিখো ধাপে ধাপে
আউটসোর্সিং করার পূর্বে অবশ্যই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জেনে নাও
ইউটিউবে গুগল এডসেন্সের মনেটাইজেশন এপ্রুভাল পেতে কি করতে হবে? জেনে নাও
মাস্টার কার্ড কি? অনলাইনে কিভাবে মাস্টার কার্ড পাওয়া যায় জেনে নিন ধাপে ধাপে
যা যা লাগবে আপনার একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য
১/ একটি ডোমেন নাম(domain name): ডোমেন নাম হলো আপনার সাইটের নাম যেমন HabibBlog.com । এটি হলো একটি ডোমেন নেম(domain name)। আর এখানের শেষের অংশটাকে বলা হয় ডোমেন(domain) (.Com)। এ রকম আরো অনেক ধরণের ডোমেন(domain) রয়েছে। যেমন { .net, .edu, .org, .mobi, .bd, .in ,.info, .xyz, } এখান থেকে যে কোন একটি ডোমেন(domain) বেছে নিয়ে আপনার ডোমেন(domain) নেমটি তৈরি করতে হবে। এছাড়াও ফ্রি ডোমেন(domain) ও রয়েছে কয়েকটি ফ্রি ডোমেন হলো (.Tk, .Ga, .ml, gq ইত্যাদি) ।
২/একটি হোস্টিং (Hosting): আপনার ব্লগসাইটটির জন্য দরকার একটি হোস্টিং(hosting) সার্ভার । হোস্টিং(hosting) সার্ভার হলো এক ধরণের হার্ডডিক্স বা মেমোরি যা ইন্টানেটে থাকে। আপনি যখন আপনার সাইটি তৈরি করবেন তখন নিশ্চই আপনার সাইটের নানা রকম ফাইল বা ইমেজ ,অডিও ,ভিডিও ইত্যাদি রাখার প্রয়োজন হবে তখন এসব ফাইলগুলো রাখার জন্য নিশ্চই আপনার একটা মেমোরি বা জায়গা দরকার হবে এই মেমোরি বা জায়গাকেই বলা হয় হোস্টিং(hosting) নানা রকম হোস্টিং রয়েছে। যেমন: Shared Hosting , VPS Hosting, Reseller Hosting ইত্যাদি । ব্লগসাইটের জন্য সাধারণত তেমন বেশি হোস্টিং প্রয়োজন হয় না। একবছরের জন্য ১গিগাবাইট হোস্টিং স্পেস হলেই যথেষ্ট তবুও আপনা চাহিদা অনুযায়ী বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে পারেন। তাই আপনাকে যেকোন একটি সার্ভার থেকে হোস্টিং(hosting) বাড়া নিতে হবে।
৩/ একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে: আপনার অবশ্যই একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। যদি না থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। তার জন্য এই পোস্টের শুরুতে আমি কিভাবে একটি জিমেইল একাউন্ট খুলতে হয় সেই বিষয়ের উপর একটি আর্টিকেল লিংক দিয়েছি সেটা দেকে খুব ভালোবাসে প্রোফেশনালি একটি জিমেইল(Gmail) একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।
৪/ একটি প্রিমিয়াম থিম: আপনার সাইটের কি রকম ডিজাইন হবে কোন উপাদানটি কোথায় থাকবে, আপনার আর্টিকেলের টেক্স এর ফন্ট কেমন হবে, সাইজ কত হবে ,কোথায় কি কালার হবে, এক কথায় আপনার সাইটের বাহ্যিক যে আউটলুক সেটিই হলো আপনার থিম। আপনার সাইটের সৌন্দর্য রক্ষা করতে ও ভিজিটরদের আকৃষ্ট করতে একটি প্রিমিয়াম থিমের কোন তুলনা নেই। যদিও ওয়ার্ডপ্রেসে ফ্রি থিমের কোন অভাব নেই তবুও প্রিমিয়াম থিম সবচেয়ে ভালো। তাই আপনার ব্লগ তৈরি কতে একটি প্রিমিয়াম থিম লাগবে।
কিভাবে ব্লগ বানানোর কাজ শুরু করবো(How to make Blog in bangla)
How to make Blog in bangla
সাইট তৈরি করার প্রথমেই আপনাকে একটি ডোমেননেম(domain name) ও হোস্টিং(hosting) রেজিস্টেশন করে নিতে হবে এর জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মধ্যে আমার দেখা সেরা হলো Namecheap.com এই সাইটে প্রবেশ করে আপনারা আপনাদের খুশি মত একটি ডোমেন(domain) ও একটি হোস্টিং(Hosting) কিনে নিবেন কিংবা আপনারা আপনাদের পছন্দমত যে কোন ওয়বসাইট থেকে ডোমেন(domain) ও হোস্টিং(hosting) নিতে পারেন এটা কোন ব্যাপার না। তারপর তারা আপনাকে একটি আপনার সাইট কন্ট্রোল করার জন্য সাইট কন্ট্রোল প্যানেল দিবে যেটির মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সাইটের সমস্তকিছু কন্ট্রোল করতে পারবেন।
ডোমেইন হোস্টিং নেওয়া হয়ে গেলে আপনাকে সেই কন্ট্রোল প্যানেলে এ লগইন করে সফটওয়্যার অপসন থেকে ওয়ার্ডপ্রেস খুজে বের করেতে হবে।
তারপর সেখান থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইনিস্টল করে নিতে হবে আর এই ইনিস্টল করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যাবেন একটি ব্লগ সাইট(blog site) যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছে মত যে কোন ধরনের আর্টিকেল(Article) বা পোষ্ট লিখতে পারেন ।
আপনি যদি ওয়েবডিজাইন(web design) ও ডেভোলপমেন্ট(web development) এর কাজ জানেন তাহলে আপনার জন্য আর তেমন কষ্ট করতে হবে না। আপনি নিজেই আপনার ব্লগটিকে(Blog) খুবভালোভাবে ডেভোলপ(develop) ও কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন । কিন্তু আপনি যদি কাজ না জানেন তাহলে কিন্তু আপনাকে হয় ডেভলপার বাড়া করে কাজ করিয়ে নিতে হবে না হয় যে কোন কাস্টম থিম কিনে নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে আপনি যতি ডেভলপার বাড়া করে এই কাজ করাতে চান তাহলে আপনার অনেক খরচ বহণ করতে হবে । যা অনেকের পক্ষে বহন করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আমি মনে করি কম দামের মধ্যে অনেক ভালো ভালো কাস্টম থিম পাওয়া যায় যার মধ্যে থেকে একটি থিম ক্রয় করে আপনাদের ব্লগে(Blog) ইনিস্টল করে নিতে পারেন।
এতে আপনার খরচ অনেক অংশে কমে যাবে এবং আপনার থিম আপনি নিজের খুশি মত সাজাতে ও কাস্টমাইজ করতে পারবেন । কারণ এখনকার প্রিমিয়াম থিম গুলো কাস্টমাইজ করতে এখন আর কোডিং জানা দরকার হয় না ।
আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থেকে থিম কাস্টমাইজ অপসনে গেলেই সব কিছু কাস্টমাইজ করতে পারবেন। সব কিছু না করেত পারলে ও বেশিরভাগ কাজই আপনি সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কোন রকম কোডিং জ্ঞান ছাড়াই।
কিভাবে ব্লগে পোস্ট করবেন
New post
আপনার ব্লগে লগইন করে ড্যাসবোর্ডে প্রবেশ করার পর দেখতে পারবেন পোস্ট নামে একটি ওপশন আছে সেখান থেকে নিউ পোস্টে ক্লিক করলেই আপনি একটি ফাকা বক্স দেখতে পারবেন। সেখানে আপনার পোষ্টটি লিখতে হবে তারপর সেই পোষ্টের একটি টাইটেল দিতে হবে এবং আপনার পোষ্ট বা আর্টিকেলের একটি থাম্বনিল দিতে হবে যাতে পোষ্টা দেখতে সুন্দর হয় । তারপর পোস্টের বৈশিষ্ট অনুযায়ী কেটাগরি নির্ধারণ করে পাবলিশ বাটনে ক্লিক করলেই পোস্টি পাবলিশ হয়ে যাবে।
৩/ কিভাবে ব্লগার হওয়া যায় (How to be a blogger in bangla )
কিভাবে ব্লগার হওয়া যায় ,How to be a blogger in bangla
আপনি তখনি কোন বিষয়ে লিখতে পারবেন যখন আপনি সেই বিষয়টা সর্ম্পকে খুব ভালোভাবে জানবেন। এরজন্য আপনাকে অবশ্যই ব্লগের(blog) বিষয় নির্ধারনের সময় একটু মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যে বিষয়ের উপর ব্লগ(blog) বানাবেন ভাবছেন সেই বিষয়ে আপনি কেমন জানেন ।
ধরুন আপনি দেখলেন টেকনোলজি(Technology) বিষটা খুব ভালো ব্লগ(blog) এ লেখালেখি করার জন্য কারণ টেকনোলজি(Technology) বিষয়ে প্রতিটি মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে তাই এই বিষয়ে আপনি যদি লেখালেখি করে করেন তাহলে প্রচুর ভিজিটর(visitors) পাবেন ।
এই কথা ভেবেই আপনি কিছু টাকা পয়সা খরচ করে একটি ব্লগ(blog) বানিয়েও ফেললেন এখন আপনার একটি ব্লগ আছে সেটি খুব সুন্দর সবাই পছন্দ করার মত কোন জামেলা নাই ।
এখন কাজ হলো হলো সাইটে পোস্ট করা কিন্তু আপনি পোস্ট করতে গিয়ে দেখলেন আপনার ব্লগ(blog) যে বিষয়ের সেই টেকনোলজি(Technology) বিষয়ে আপনি তেমন কিছু নিজেই জানেন না তাহলে আপনি অন্যের জন্য কি করে কিছু লিখবেন আপনার ব্লগে(Blog) ।
তাই ব্লগ(blog) তৈরি কারর সময় অবশ্যই আপনার সামর্থের কথাটা মাথায় রাখবেন। আপনি কি জানেন না জানেন সেই দিকেও খেয়াল রাখবেন। আপনি যেই বিষটা খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে পারবেন সেই বিষয়টাকেই আপনার ব্লগের(blog) বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করুন।
আর আপনি যদি মনে করেন আমি তো কিছুই জানি না তাহলে কি করবো তাহলে কি আমি ব্লগ সাইট (blog site) থেকে আয় করতে পারবো না কিংবা কোন বিষযয়েই লিখতে পারবো না।
এই কথা যদি আপনি ভেবে থাকেন তাহলে আমি আপনাকে বলবো হ্যা অবশ্যই পারবেন। কিন্তু এরজন্য আপনাকে একটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
এর জন্য আপনি যে বিষয়ে আপনার ব্লগ সাইটটি (Blog site) তৈরি করবেন সেই বিষয়ে উপর কিছু কিওয়ার্ড(keyword) নির্ধারণ করুন তারপর সেই (কিওয়ার্ড(keyword) গুলো দিয়ে গুগল এ সার্চ করুন দেখবেন কিছু ভালো ভালো এবং বড় বড় ব্লগ সাইট(blog site) পেয়ে যাবেন যেখানে অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা সেই সব ব্লগে(blog) অনেক আর্টিকেল(Article) লিখে রেখেছে সেই আর্টিকেল(Article) গুলো আপনি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন তারপর সেই বিষয়গুলোর উপর মুটামুটি একটু ধারণা লাভ করার পর আপনি সেই সবগুলো আর্টিকেলের চেয়ে আরো ভালো ভাবে আপনার আর্টিকেলটি লেখার চেষ্টা করবেন তাহলেই আপনি তাদের অভিজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে এবং আপনার উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে অনেক মান সম্মত আর্টিকেল (Article) আপনার ব্লগে লিখতে পারবেন এবং তা পাবলিশ করতে পারবেন। এতে আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো সবাই পছন্দ করতে থাকবে।
আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনার ব্লগে(blog) অবশ্যই এমন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে যাতে সবাই আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু শিখতে ও জানতে পারে। এবং আপনার লেখাগুলো যাতে অনেক গুছানো হয় এবং যে বিষয়ে লিখবেন সেই বিষয়টা সর্ম্পকে বিস্তারিত দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
যাতে সবাই তা বুজতে পারে এবং কোন না কোন উপকার পায় তাহেলেই আপনার ব্লগটি আসতে আসতে মানুষের পছেন্দের তালিকায় পৌছাতে থাকবে।
এভাবেই আপনি একজন পরিপূর্ণ ব্লগার(blogger) হিসেবে গড়ে উঠবেন।
কিভাবে ব্লগে ভিজিটর আনা যায়(How to get visitors to the blog)
কিভাবে ব্লগে ভিজিটর বাড়াবো
ভিজিটর(visitors) হলো একটি ওয়েবসাইটের বা ব্লগের(blog) প্রাণ। একটি সাইটের সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জের কাজ হলো সেই সাইটে ভিজিটর(visitor) আনা।
বেশিরভাগ ব্লগের এডমিনরা এখানে এসেই হাল ছেড়ে দেয় কারণ তারা অনেক চেষ্টার পর যখন তাদের ব্লগে ভিজিটর(visitors) আনতে অক্ষম হন তখন তারা ভেবেই নেয় যে ব্লগে ভিজিটর আনা অসম্ভব। কারণ একটা মানুষকে আপনার ব্লগ সর্ম্পকে বুজানো যে আপনার ব্লগে আসলেই মানস্মত লেখা রয়েছে যা দেখে আসলেই কেউ কিছু শিখতে পারবে সেটা করা আসলেই অনেক কঠিন একটি কাজ যদি আপনি আসলেই সঠিক উপায় না জেনে থাকেন ।
একবার ভেবে দেখুন আপনি কষ্ট করে টাকা পয়সা খরচ করে ব্লগ সাইট (blog site) বানালেন সেই সাইটে কষ্ট করে নিয়মিত অনেক ভালো ভালো লেখা লিখে যাচ্ছেন কিন্তু সেই লেখা পড়ার জন্য কেউ আপনার সাইটে প্রবেশ করছে না । মানে আপনার আসল উদ্দেশ্যটাই হাসিল হচ্ছে না।
তখন আপনার কেমন লাগবে। এতে আপনার যেমন কোন দোষ নেই তেমনি এতে আপনার ভিজিটরদেরও তেমন কোর দোষ নেই কারণ আপনার সাইটের কথা হয়ত বেশিরভাগ মানুষ জানেই না। যার ফলে আপনার সাইটে কেউ প্রবেশ করে না।
তাই আপনার প্রথম কাজ হলো অনেক মানুষকে আপনার সাইট সর্ম্পকে জানানো যে আপনার সাইটে এই এই বিষয়গুলো রয়েছে যা সত্যি তাদের কাজে আসতে পারে ।
যা অনেক কঠিন কাজ হিসেবে গন্য করে থাকে আমাদের দেশের বেশিরভাগ নতুন ব্লগ(blog) এডমিনরা।
কিন্তু একটু নিয়ম মেনে কাজ করলে এটাও অনেক সহজ হয়ে যাবে আর সেই নিয়ম গুলোই আমি আপনাদের এখন বলবো আশা করি আপনারা যদি সেই নিযমগুলো অনুসরণ করেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি আপনার বিজিটরদের মন জয় করতে পারবেন এবং আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর(visitors) নিয়ে আসতে পারবেন খুব অল্প সময়েই।
যেভাবে আপনার ব্লগে ভিজিটর আনবেন
যেভাবে আপনার ব্লগে ভিজিটর আনবো
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা: আপনার ব্লগের প্রিতিটি আর্টিকেল(Article) প্রচুর পরিমাণে আপনার ভিবিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রোফাইলে শেয়ার করুন। আশা করি আপনি খুব ভালো করে জানেন যে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলোর ব্যবহারকারী কত। আপনার আশে পাশে সকল লোক এবং আপনার সকল বন্ধুবান্ধব কোন না কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটের সাথে যুক্ত রয়েছে। তাই আপনি যদি সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইটগুলোতে যেমন( ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস, ইন্সটাগ্রাম, লিংকডিং ইত্যাদি) এই সবগুলো সাইটে আপনার সকল বন্ধুদের সাথে আপনার আর্টিকেলটি শেয়ার করেন তাহলে আপনি এখান থেকে মুটামুটি অনেক ভিজিটর(visitors) পাবেন ।
আর তারা যদি আপনার ব্লগে(blog) প্রবেশ করে আপনার লেখা পছন্দ করে থাকে তাহলে আপনার কোন চিন্তাই নেই কারণ তারা এখন থেকে আপনার সাইটে নিয়মিত প্রবেশ করবে আপনার লেখা আর্টিকেল(Article) পড়ার জন্য এর জন্য আপনাকে অবশ্যই মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে আপনার বন্ধুরাও আপনার লেখা আর্টিকেল(Article) থেকে কিছূ শিখতে আগ্রহী হয় ।
এভাবে আপনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইট(website) থেকে প্রচুর ভিজিটর পেতে পারেন আপনার ব্লগের(blog) জন্য । তাই যত বেশি পারেন আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইটে আপনার আর্টিকেলগুলো শেয়ার করতে পারেন।
{বিঃদ্রঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার আর্টিকেল শেয়ার করার সময় অবশ্যই মাত্রারিক্ত কিছু করতে যাবেন না। অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনার বিবেগ বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে হবে। মনে রাখবেন কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না আপনার শেয়ার করার ধরণ যেন কোন ভাবেই আপনার বন্ধুর জন্য বিরক্তির কারণ না হয় তাহলে আপনার লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।}
২/ সার্চ ইন্জিন আপটিমাইজেশন(SEO) করা: আপনার ব্লগটিকে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশণ(SEO) করুন। এতে আপনা ব্লগটিকে ভিবিন্ন সার্চ ইন্জিন খুব ভালোভাবে বুজতে পারবে এবং তারা আপনার সাইটটিকে তাদের সার্চ রেসাল্ট এ যথাসম্ভব উপরের দিকে দেখাবে।
সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশ(SEO) হলো এমন একটি কাজ যেটি করার মাধ্যমে আপনার সাইটিকে এমনভাবে অপটিমাইজ করতে হবে যেন যেকোন সার্চ ইন্জিন আপনার সাইটটিকে সহজেই বুজতে পারে আপনার সাইটের কোথায় কি আছে আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো কেমন সেগুলো ভিজিটরদের জন্য কতটা কাজে লাগবে এবং আপনার সাইটটি বা ব্লগটি কতটা তথ্যবহুল সেইসব বিষয়গুলো সার্চ ইন্জিনকে বুজানো এতে কোন একটি ভিজিটর যখন সার্চ ইন্জিন এ গিয়ে কোন একটি কিওয়ার্ড(keyword) লিখে সার্চ করবে তখন আপনা সাইটটিকে সেই সার্চ রেসাল্ট এ সবার উপরে দেখাবে এতে সেই ভিজিটরটি আপনার সাইটে প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং আপনার ব্লগ(blog) সাইটে প্রবেশ করলে তো আপনার একটি ভিজিটর(visitors) বেড়ে গেলো ।
এভাবে ও আপনি আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন(SEO) সর্ম্পকে জ্ঞান লাভ করতে হবে এবং সেই গুলো প্রতিনিয়ত প্রয়োগ করে যেতে হবে তাহলে আপনি একটা সময় পর এর ফল পেতে থাকবেন। যদিও এটি একটি খুবই সময় সাপেক্ষ ও ধৈর্য্যশীল ব্যাপার। তাও আপনি নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারলে সফলতার হার শতভাগ।
৩. ফ্রাম পোস্ট করা: আপনি বিভিন্ন জনপ্রিয় ফ্রাম সাইটে পোস্ট করতে পারেন এবং সেই পোস্টের নিচে আপনার সাইটের লিংকটা দিয়ে দিতে পারেন এতে সেই ফ্রামের কিছু ভিজিটর(visitors) আপনিও আপনার ব্লগের জন্য পেয়ে যাবেন। আপনি যদি নিয়মিত অনেক গুলো জনপ্রিয় ফ্রাম সাইটের সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে এই ফ্রাম পোস্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।
এর জন্য আপনাকে সেরা কয়েকটি ফ্রাম সাইট খুজে বের করতে হবে তারপর সেখানে আপনার নিজের নামে রেজিস্টিশেন করে একটি করে একাউন্ট খুলে ফেলতে হবে। তারপর দেখবেন সেখানে অনেক মানুষ তাদের নানা অজানা বিষয়গুলোর উপর প্রশ্ন করে রেখেছে আপনি যদি সেই বিষয়টার উপর জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি সেই ব্যক্তিটির প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন এবং সেই জবাবের শেষে আপনি আপনার ব্লগের লিংটা দিয়ে দিতে পারেন। এভাবে আপনি নিয়মিত অনেক ভিজিটর(visitors) পাবেন।
৪. অন্য ব্লগের সাথে লিংক শেয়ার করা: ধরুন আপনার ব্লগটিতে মাজারি ভিজিটর(visitors) রয়েছে । এবং আপনার মতই আরো একটি ব্লগ যেটিরও মাজারি ভিজিটর রয়েছে কিন্তু সেই ব্লগটি আপনার ব্লগের আর্টিকেল এর বিষয়ের থেকে অন্য একটি বিষয়ের উপর আর্টিকেল(Article) পাবলিশ করে থাকে।
তাহলে আপনি সেই ব্লগের এডমিনের সাথে কথা বলে আপনার ব্লগের লিংক তার ব্লগে এবং তার ব্লগের লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করতে পারেন। যেহুতু দুইটি ব্লগ(blog) দুই বিষয়ের উপর তাই এতে কারোই তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা নয় বরং উপকার হবে ।
তবে এটা কাজ করতেও পারে আবার নাও করতে পারে কারণ বেশির ভাগ এডমিনরা এটা করাতে চায় না। তাও চেষ্টা করে দেখেতে পারেন।
তবে আপনি যদি কয়েকটি ব্লগের সাথে এরকম চুক্তি করে ফেলতে পারেন তাহলে কিন্তু এই ভাবে আপনার ব্লগে প্রচুর ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেবেন।
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় (how to earn money Blog in bangla)
how to earn money Blog in bangla
ধরুন আপনার সাইটের সব কিছু ঠিক আছে এখনো পর্যন্ত আমি যা যা বলেছি তা সবই সম্পন্ন করেছেন।
আপনার ব্লগ(blog) সাইট তৈরি করেছেন ভালো ভালো পোস্ট করেছেন অনেক শেয়ার এবং সঠিকভাবে অপটিমাইজেশন(SEO) করার মাধ্যমে আপনার ব্লগে এখন বেশ ভালোই ভিজিটর প্রতিদিন প্রবেশ করে ।
ধরুন আপনার সাইটে আপনি ৩০-৫০টা আর্টিকেল পাবলিশ করে ফেলেছেন এবং সেই আর্টিকেল গুলো পড়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০০০ এর মত ভিজিটর(visitors) প্রবেশ করে তারপমানে আপনার সাইটে বলা চলে মুটামুটি কেউ না কেউ ঢুকে।
তো এখন কথা হলো এত কিছু করার পরও কোন টাকা তো এখনো পেলাম না। এটাই প্রশ্ন থাকে সবার । যারা যারা এই প্রশ্নটা করবে তারা হয়ত জানেই না যে ব্লগে কেন টাকা ইনকাম হয় এবং কারাই বা টাকা গুলো দিয়ে থাকে।
তাই তাদের জন্যই প্রথমে বুজতে হবে ব্লগে টাকা কেন ইনকাম হয় এবং কারাই বা টাকা দেয় এবং কি লাভেই বা টাকাগুলো তারা টাকা দিয়ে থাকে । নতুনদের মধ্যে অনেকে ভেবে থাকে বা ধারণা করে থাকে ইন্টারনেট চালিয়ে অনেকে টাকা খরচ করে তার সাইটে প্রবেশ করে দেখে তাই টাকা পাওয়া যায় আসলে কিন্তু তা নয় ইন্টারনেটে থেকে কোন টাকাই পাওয়া যায় না।
তাহলে কোথা থেকে টাকা পাওয়া যায় এবং কারা দেয় সেই টাকা?
তাহলে আমি আপনাকে বুজিয়ে বলছি এই টাকা গুলো দেয় বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কম্পানিগুলো । তারা তাদের বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে প্রচার করার মাধ্যমে তাদের কম্পানির বা তাদের কোন পণ্যের প্রচার প্রচারণা করে থাকে যার বিনিময়ে আপনাকে তারা টাকা দিয়ে থাকে।
ফলে বুজতেই পারছেন তারা কি লাভে আপনাকে টাকা দেয় এবং কেনাই বা টাকা দেয় ।
তাই আপনার সাইটে যত বেশি ভিজিটর প্রবেশ করবে তত বেশি মানুষ সেই বিজ্ঞাপন দেখতে পারবে এবং তত বেশি পণ্য বিক্রি হবে সেই বিজ্ঞাপর দাতা কম্পানির ফলে তত বেশি টাকা সেই বিজ্ঞাপন কম্পানি আপনাকে দিবে।
বিজ্ঞাপন কোথা থেকে নিবো
বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য আপনাকে তেমন কষ্ট করতে হবে না কারণ বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য এখন বিভিন্ন রকম সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার সাইটের জন্য বা ব্লগের জন্য বিজ্ঞাপন নিতে পারেন ।
এমনি একটি ওয়েবসাইট হলো গুগল এডসেন্স। গুগল এডেসেন্স হলো পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত বিজ্ঞাপন দাতা কম্পানি।
এছাড়াও আপনি আপনার আসে পাশে বিভিন্ন লোকাল কম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে প্রচাররের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
এছাড়ােও আপনার ব্লগ যখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে যাবে তখন আপনি বিভিন্ন সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করেও টাকা আয় করতে পারবেন আরো নানা উপায় রয়েছে টাকা আয় করার এক কথায় আপনি যদি আপনার সাইট সেই ভাবে জনপ্রিয় করতে পারেন তাহলে টাকার পিছনে আপনাকে দৌড়াতে হবে না টাকাই আপনার পিছনের দৌড়াবে। তাই প্রথমেই টাকা কথা চিন্তা না করে সাইট বড় করার ব্যাপারটা মাথায় রাখলেই বেশি ভালো।
সর্বশেষ
সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ যারা পুরো পোষ্টি খুব মনোযোগ দিয়ে পরেছেন । আশা করি নতুন কিছু জানতে পারলেন ।
এই পোষ্ট সর্ম্পকে কারো কোন মতামত বা জিজ্ঞাসা থেকে থাকলে কমেন্ট করতে পারেন ।
ভাই এত্তবড় পোস্ট, গুগল তো এমনিই র্যংক করবে
ReplyDeletePost a Comment
Let us know how you are feeling about this article by commenting.