গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি আর্ট বা শিল্প।এখানে একজন শিল্পী কম্পিউটার সফ্টওয়্যার এর মাধ্যমে কল্পনা, তথ্য এবং গ্রাহকদের ধারণা গুলির সাথে যোগাযোগ করার জন্য, দৃশ্যমান ধারণা তৈরি করে। গ্রাফিক্স শব্দটি জার্মান শব্দ থেকে এসেছে।এক কথায় চিত্র দ্বারা নকশা তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। এটি এমন একটি জনপ্রিয় এবং সৃজনশীল প্রক্রিয়া যেখানে আপনি নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে প্রফেশনে বদলে দিতে পারেন। নিজের আইডিয়া, কর্ম দক্ষতা এবং ইউনিক কিছু ডিজাইন,সহজ এবং সিক্রেট কিছু টিপস জানা থাকলেই আপনার পেশার মূল্যবোধকে আরো দ্বিগুণ করে দিতে পারবেন স্বল্প পরিশ্রমেই। প্রতিটি কোম্পানিতে এখন ফটো এডিটিং, লোগো ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডিজাইন, ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন সহ আরো অনেক গ্রাফিকাল কাজ হয়ে থাকে, যেগুলো তাদের প্রফেশনাল দিক থেকে আরো বেশি প্রক্রিয়াশীল করে তুলছে। সুতরাং প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই গ্রাফিক ডিজাইনার বিশেষ একটি “রোল মডেল” হিসেবে পরিচিত। সর্বোপরি বর্তমান মার্কেটপ্লেসে, ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে সবচেয়ে চাহিদা বহুল পেশা এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন।
গ্রাফিক ডিজাইনের কথা শুনলেই আমারা যা কল্পনা করি তা হলো- লোগো ডিজাইন, কার্ড ডিজাইন, ফ্লাইয়ার ডিজাইন, ইন্টারফেস ডিজাইন এগুলো। বাস্তবে গ্রাফিক ডিজাইনের অর্থ অনেক ব্যাপক।
গ্রাফিক ডিজাইন হলো একটি মননশীল প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় একজন গ্রাফিক ডিজাইনার বিভিন্ন ভিজুয়্যাল এলিমেন্ট(লাইন, কালার, টেক্সচার ইত্যাদি) দ্বারা তার চিন্তা ও মননশীলতার বহিপ্রকাশ ঘটায় অথবা সোসাইটিকে অর্থবহ মেসেজ দিয়ে থাকে অথবা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তুলে ধরে…। আর এ জন্যই গ্রাফিক ডিজাইনকে বলা হয় “আর্ট অব কমিউনিকেশন”।
উপরের উদাহরণ গুলো দেখলে আশা করি গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে আপনাদের ধারনা আরও প্রসারিত হবে।
অন্যদিকে গ্রাফিক ডিজাইনের কথা বললে যে দুটি সফটওয়্যার এর কথা সবার চোখের সামনে ভেসে উঠে তা হলো অ্যাডোবি ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফটোগ্রাফি রিটাচ, ফটো ম্যানিপুলেশান, প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট, থ্রিডি অ্যানিমেশন, মোশন গ্রাফিক্স, মাল্ডিমিডিয়া প্রোডাকশন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই দুইটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
তবে প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হলেই যে আপনাকে ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর শিখতে হবে তা নয়! কর্মক্ষেত্র, নিজের ব্যাবসা, ব্যক্তিজীবন প্রতিটি ক্ষেত্রকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারে এই দুইটি সফটওয়্যার এর ব্যবহার।
এই ধরুন আপনার পরম প্রশান্তির ঘুমের দৃশ্যটিকে ফটোশপের ছোয়ায় করে তুলতে পারেন আরও বেশি হৃদয়স্পর্শী। অথবা নিজের বুটিক হাউসের প্রমোশনাল ফ্লাইয়ারটি মনের আনন্দে নিজেই তৈরী করে ফেলতে পারেন।
আর এগুলো করতে আপনাকে প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে হবে না। শিখতে হবে ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর দিয়ে যে কোনো কিছুর গ্রাফিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশন। এক্ষেত্রে “ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক ডিজাইন” কোর্সটি হতে পারে আপনার এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার। বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড এর আন্ডারে ৭০% ডিস্কাউন্টে কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনার এবং সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে এখনি শুরু করুন “গ্রাফিক ডিজাইন উইথ ফ্রিল্যান্সিং” কোর্সটি। কোর্স ফি এর উপর ৪০% স্কলারশীপ পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
গ্রাফিক ডিজাইনে মাষ্টার হতে চাইলে এক বছরের “প্রফেশনাল ডিপ্লোমা ইন গ্রাফিক ডিজাইন” কোর্সটি হতে পারে আপনার জন্য সোনার হরিণ। কোর্সটির এডমিশন ফি এর উপর ডিস্কাউন্ট পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
গ্রাফিক ডিজাইনারদের ক্যারিয়ার
যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ডিজাইনার
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
পত্রিকা/ম্যাগাজিন/প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
প্রিন্টিং এবং ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠান
ওয়েব ডেভেলপিং প্রতিষ্ঠান
প্রথমত গ্রাফিক্স ডিজাইন ২টা ভাগে বিভক্ত
১।স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স
২।মোশান গ্রাফিক্স
স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স আবার মুলত ৪ রকম ঃ
১।রাস্টার ইমেজ(পিক্সেল বেসিস)
২।ভেক্টর ইমেজ(পিক্সেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট)
৩।টাইপোগ্রাফি(২রকমের হয়ে থাকে)
মোশান গ্রাফিক্স প্রধানত ২ প্রকার
১।এনিমেশান গ্রাফিক্স
২।ভিডিও গ্রাফিক্স
অনেকেই এনিমেশানকে গ্রাফিক্সের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন নাহ।কারন এনিমেশান হছে Create something from nothing অন্যদিকে গ্রাফিক্সের জন্যে কিছু না কিছু স্টক লাগেই।তবে বর্তমানে এনিমেশান বা ভিডিও গ্রাফিক্স এটাকেও গ্রাফিক্সের অন্তর্ভুক্ত ধরা হচ্ছে।এটা মুলত ২ ধরনের হয় 2D আর 3D।বর্তমানে 3D এনিমেশানের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।ভিডিও গ্রাফিক্স নিয়ে অনেক কিছুই করা যায়।মুলত টিভির বিজ্ঞাপনের কাজ করাই এর প্রধান কাজ।এর মধ্যেই আছে ইনফো গ্রাফিক্স আর আর সিনেমাটোগ্রাফি।
২০২১ সালে এসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা আপনার জন্যে কেমন হবে ?
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ২০২১ সালে এসে কি আমার গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা উচিত হবে? সবাই এখন ওয়েব ডিজাইন,ওয়েব ডেভোলপমেন্ট,ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছে আমি এখন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে কি করব ? প্রতিদিন যত গুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে তাদের সবার একটি করে গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন হচ্ছে।করোনার বা কোভিড-১৯ কারণে সব গুলো প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা অনলাইনের আওতায় নিয়ে এসেছে এর ফলে সবারই এখন তাদের ব্যবসার জন্যে লোগো,পোষ্টার,ব্যানার,ডিজিটাল মেনু কার্ড প্রয়োজন হচ্ছে আর এই সবই কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্তরগত।তাই বুঝাই যাচ্ছে যত দিন নতুন নতুন ব্যবসা শুরু হবে তত দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা বাড়তেই থাকবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বর্তমান চাহিদা এবং ভবিষ্যৎ কেমন ?
উপরের কলাম থেকে আমরা একটু হলেও অনুমান করতে পেরেছি গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের বর্তমান চাহিদা কেমন এবং ভবিষ্যৎ টা কেমন থাকবে।এই বিষয়ে বিস্তারিত বলার আগে আপনাকে শুধু একটি জিনিস লক্ষ্য করতে বলব সেটা হল গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে আইটি উদ্যোক্তার সংখ্যা। বিগত কয়েক বছরে আমাদের দেশে প্রায় কয়েক হাজার আইটি উদ্যোক্তা তৈরী হয়েছে এর ভিতর অনেকেই ছিল গ্রাফিক্স ডিজাইনার।অনেক তরূণই গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার পর নিজের এজেন্সি দাঁড় করিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ।যত নতুন নতুন ব্যবসা গড়ে উঠছে তত গ্রাফিক্স ডিজাইনাদের প্রয়োজন বেড়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ এ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।
কত টাকা আয় করতে পারবেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ?
একদম শুরুতে একজন স্কিলফুল গ্রাফিক্স ডিজাইনার অনায়াসে দেশীয় কোম্পানি থেকে মাসে ১০-২০ হাজার টাকা আয় করতে পারে।অভিজ্ঞতা ভেদে আয়ের ভিন্নতা আসে যেমন একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনার মাসে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা অনায়াসে আয় করতে পারে।অনেকে দীর্ঘ কাজ করার পর নিজের এজেন্সি শুরু করে তখন সে একই সাথে দেশী এবং বিদেশী ক্লাইন্টদের সাথে কাজ করে মাসে ৭-৮ লক্ষ টাকা আয় করতে পারে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনি খুব সহজেই ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলো কাজ করে নিজের আয়ের আরেকটা উৎস তৈরী করতে পারবেন।বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এখন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে খুব ভালো করছে ।ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলো আয় ডলারে হওয়ায় আপনার আয় অনেক বেশী হয়ে থাকে।তবে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করার জন্যে আপনার ইংলিশ স্কিল ভালো হতে হবে এবং সেই সাথে একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে হবে।ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে অন্যতম হল ঃ Fiverr,Upwork.Freelancer.99 Designs,Dribble,Behance, Envato Studio ইত্যাদি।
আপনি আজই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখা শুরু করতে চাইলে যে টুলস গুলো সম্পর্কে জানতে হবে
Photoshop(Ps)
গ্রাফিক ডিজাইনের জগতে Adobe একটি পরিচিত সফটওয়্যার। গ্রাফিক নিয়ে কাজ করেও Adobe Photoshop ব্যবহার করেন না এমন মানুষ হয়ত খুঁজেই পাওয়া যাবে না কারন যারা গ্রাফিকাল কাজগুলো করেন তাদের কাছে Photoshop অন্যতম একটি সফটওয়্যার।
গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপেই আপনাকে ফটোশপ ব্যবহার করতে হবে। যেমন ধরুন আপনার পুরনো একটি ফটো রিটাচিং করতে হবে, ছবির রং পরিবর্তন করতে হবে, এক্ষেত্রে আপনি Photoshop(Ps) এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন। এছাড়াও Adobe Ps এর মাধ্যমে আপনি ছবিতে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট এড , ফটো ম্যানুপোলিশন সহ আরো অনেক কিছুই করতে পারবেন।সুতরাং গ্রাফিক ডিজাইনের শুরুটা আপনি ফটোশপের বেসিক কিছু টুলস দিয়েই শুরু করতে পারবেন।
Adobe Illustrator (Ai)
Adobe সফটওয়্যারের আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার হল- Adobe illustrator. গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করতে গেলে আপনাকে ইলাস্ট্রেটর দিয়ে কি কি করতে পারবেন তা সম্পর্কে জানতে হবে।
Adobe illustrator এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের কার্ড যেমন- ভিজিটিং কার্ড, ইনভাইটেশন কার্ড, বিজনেস কার্ড সহ পোস্টার, লিফলেট, বইয়ের কাভার পেজ, ব্যানার ইত্যাদি ডিজাইন করতে পারবেন। এছাড়াও আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ভিডিও তে ক্যারেকটার বা কার্টুন দেখে থাকি। এ সকল ক্যারেকটার ডিজাইন এবং সকল ধরনের ডিজাইনের বিভিন্ন শেইপও আপনি Adobe illustrator(Ai) দিয়ে খুব সহজেই করতে পারেন।
Indesign(Id)
Adobe এর বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য হল এটি এমন একটি সফটওয়্যার যা প্রতিটি ডিজাইন ফাংশনের জন্য আলাদা ভাবে কিছু অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার তৈরী করেছে ৷ Adobe Indesign তার মধ্যে একটি ৷
আমরা অনেকেই পেইজমেকার সম্পর্কে জানি, আবার অনেকেরই হয়ত এ সম্পর্কে একদমই ধারনা নাই।। Adobe Indesign (In) সেরকমই একটি অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার Indesign এর মাধ্যমে আপনি সকল ধরনের প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়ালের কাজ করতে পারবেন ৷ যেমন ধরুন – বই, নিউজপেপার, ম্যাগাজিন,ই-বুক বা যেকোন লেখার কাজ এবং সেগুলো খুব সহজেই ছাপাতে পারবেন।
AdobeXD(Xd)
গুগলে সার্চ করলেই আমরা আকর্ষণীয় কিছু ওয়েবসাইট দেখতে পাই ৷ শুধু কি তাই? মোবাইলের অ্যাপসগুলো দেখেও আমরা মাঝে মাঝে বেশ মুগ্ধ হই৷ ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল এপসের এই ডিজাইনগুলো কোন না কোন প্রফেশনাল UI/UX ডিজাইনার দিয়ে করা হয়।
ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেজ, মোবাইল এপসের এই ডিজাইন সহ ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের কাজগুলো এবং অন্যান্য ওয়্যারফ্লেম, প্রটোটাইপিং এর কাজগুলোও Adobe xd দিয়ে করতে পারবেন। সুতরাং আমরা বুঝতেই পারছি যে-কেউ যদি ইউজার ইন্টারফেস (UI) ডিজাইন করতে আগ্রহী হয়ে থাকে সে খুব সহজেই Adobe Xd এবং Adobe Xd এর ফাংশনগুলো ব্যবহার করে নিজের পছন্দমত একটি UI/UX design তৈরী করতে পারবে।
Figma
Adobe xd এর মত Figma তেও আপনি ইউজার ইন্টারফেজ ডিজাইন, এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UI) এর কাজ করতে পারবেন ৷ মোট কথা, আপনি যদি বেসিক গ্রাফিক জানার পর আরো এডভান্সড কিছু ডিজাইন বা প্রফেশনাল ডিজাইনের কাজ করতে চান তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনের বিস্তর ধাপ Ul/ UX ডিজাইনের কাজগুলো করতে পারবেন Figma এর মাধ্যমে ৷ আর Figma হল Ul/UX এর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী সফটওয়্যার যেটি Adobe Xd এর চেয়েও অধিক উন্নত ৷ কারন Figma তে আপনি ডিজাইনের জন্য অনেক বেশী টুলস, এলিমেন্ট এবং প্লাগইন সহ আরো প্রয়োজনীয় সব কিছূই পেয়ে যাবেন ৷
Premier Pro(Pr)
গ্রাফিক্স ডিজাইন মানে নতুন মাত্রায় একটি ভিজুয়ালাইজেশন ক্রিয়েট করা আর সেটা যে শুধুমাত্র ফটো দিয়েই সম্ভব তা কিন্তু নয়l ধরুন আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের কোন একটি প্রডাক্টের ভিডিওগ্রাফি করতে চান ৷
আপনার ক্যামেরার প্রতিটি শট যে একদম নিখুঁত হবে তা কিন্তু নয়। এই ভিডিওটিতে হয়ত অনেক কিছু এড করতে হতে পারে আবার হয়ত ভিডিও থেকে কিছু শট কাট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলেই Premier pro ব্যবহার করে খুব সুন্দর একটি ভিডিও এডিট কার ফেলতে পারবেন। এছাড়াও Pr সফটওয়্যারে আপনি বেশ কিছু ফিচার এবং এলিমেন্টস পাবেন যেগুলো ভিডিওটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে ৷
After Effect(Ae)
ভিডিওগ্রাফির কাজগুলো যে শুধু Pr দিয়েই করতে হবে তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলেই ভিডিও এডিটিং এর কাজগুলো After Effect সফটওয়্যারের মাধ্যমেও করতে পারবেন ৷ After Effect (Ae) তে আপনি আরো কিছু এক্সট্টা সুবিধা পাচ্ছেন যেমন- আপনি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং ছাড়াও 2D, 3D ভিডিও মেকিং , প্রোডাক্টের এড ও প্রমোশনের কাজগুলোও অত্যন্ত সফলভাবে করতে পারবেন।
সর্বোপরি গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে আরো মজার মজার তথ্য বহুল লেখা পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আর একটি কথা সব সময় মনে রাখবেন “গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাই, চেষ্টার নেশা সফলদের একমাত্র পেশা ”
গ্রাফিক ডিজাইন করে কেমন টাকা আয় করা যায়? কিভাবে আয় করা যায়? কত টাকা আয় করা যায়? এমন প্রশ্নগুলো খুবি কমন…
আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদেরকে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো গ্রাফিক ডিজাইনার রা কি কি ধরণের কাজ করে থাকে।
নতুনরা মনে করেন গ্রাফিক ডিজাইন মানেই বিজনেস কার্ড আর ফ্লায়ার ডিজাইন। মূলত গ্রাফিক ডিজাইনের কর্মের ক্ষেত্র ব্যাপক। কোন ডিজাইনারই একই সাথে সব ক্যাটাগরিতে দক্ষ হয় না।
ডিজাইন এর কাজ কে প্রধানত ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
১) প্রিন্ট ডিজাইন
প্রিন্ট ডিজাইন অনেক ধরণের হতে পারে, কাগজে প্রিন্ট করা যে কোন ধরনের ডিজাইন সেইটা লোগো, কর্পোরেট এইডেনটিটি, ফ্লায়ার, ফুড মেনু, পোস্টকার্ড, রেক কার্ড, পোস্তার, ম্যাগাজিন, এডভারটাইজমেন্ট এর পাশাপাশি ডিজিটাল সাইনবোর্ড, টিশার্ট এর প্রিন্ট ডিজাইন, যেকোনো ধরণের ফেব্রিক এর ডিজাইন, আর্ট এন্ড ইলাসট্রেসন, প্যাটার্ন ডিজাইন (প্যাটার্ন এর ব্যাবহার ব্যাপক, সুধু মাত্র ভালো সিমলেস প্যাটার্ন ডিজাইন করে লাক্সারিয়াজ ক্যারিয়ার করা পসিবল), প্রোডাক্ট এন্ড পেকেজিং ডিজাইন, লেভেল ডিজাইন, ইত্যাদি। মূলত প্রিন্ট ডিজাইন এর ক্যাটাগরি অসীম যা লিস্ট আকারে দেওয়াটা কষ্টসাধ্য। আপনি যেই কোন একটাকে টার্গেট করে ভালো ক্যারিয়ার করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সেটা বিজনেস কার্ড ক্যাটাগরি না হওয়াই উত্তম।
২) ডিজিটাল মিডিয়াম ( অন স্ক্রিন ডিজাইন)
ডিজিটাল মিডিয়াম এর মধ্যে সর্ব প্রথম বলা যাই, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন (স্বাভাবিক ভাবে ওয়েবসাইট এবং মোবাইল কিংবা কম্পিউটার এর সফটওয়্যার এর দৃশ্যমান ডিজাইন বুঝানো হয়), অনলাইন মাধ্যমে পাবলিশ করা বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন বা আইডেন্টিটি ডিজাইন যেমন ফেসবুক বা লিংকডইন এর মত বিজনেস পেজের প্রোফাইল কভার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমে দেওয়া পোস্ট বা বিজ্ঞাপনী গ্রাফিক, ডিজিটাল বিলবোর্ড, ইবুক, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। আপাতত দৃষ্টিতে আপনার কাছে খুব সামান্য মনে হতে পারে যদি আপনি মডার্ন বিজনে পলিচি এন্ড ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একেবারেই ধারনা না ঠাকে। জাস্ট এইটুকু বুজেন যে একতা ফেসবুক এড গ্রাফিক ১০০ জন মার্কেটিং অফিসার এর কাজ করতে পারে এবং সেইটার মার্কেট সীমানা বিহীন।
এইগুলাই শেষ না, আর অনেক স্কিল ক্যাটাগরি রয়েছে
যদিও আমি গ্রাফিক ডিজাইনকে ২ ভাগে ভাগ করে ফেলছি আপনাকে সহজে বুঝানোর জন্যে তবে বেশিরভাগ ডিজাইনারই একটা বা দুইটা ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করেই জীবন পার করে দেয়। যেমন একজন লোগো ডিজাইন এক্সপার্ট সুধু লোগো ডিজাইনই করে, তবে অনেকে পাশাপাশি সে কর্পোরেট এইডেনটিটি এবং অন্যান্য প্রমোশনাল ডিজাইন করে থাকেন।
কিন্তু একজন লোগো ডিজাইনার সাধারণত ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করবেন না। তবে একজন গ্রাফিক ডিজাইন চাইলে সব ক্যাটাগরির ডিজাইনই করতে পারবেন সুধু মাত্র ইউজার ইন্টারফেস, ডিজিটাল ইলাসট্রেসন এবং লোগো ডিজাইন। কারণ এই বিষয়ে তুলনামূলক বেশি দক্ষতা এবং সৃজনশীলতার প্রয়জন হয়। হয় তাঁর অন্য ক্যাটাগরিতে কাজ।
আমি কি গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পাড়বো?
অনেকে প্রশ্ন করেন আমিতো আর্ট এর স্টুডেন্ট না বা আমি ভালো ড্রইং করতে পারি না আমি কি গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবো? উত্তর হচ্ছে পারবেন, একজন ইলাস্ট্রেটর এর আর্ট স্কিল প্রয়োজন হয় গ্রাফিক ডিজাইনার এর না।
পরবর্তী পোস্টে লিখব কোন স্কিলের জন্যে কোন মার্কেটপ্লেস ভালো এবং কেন স্কিল নিয়ে কেমন টাকা আয় করা যাই।
গ্রাফিক ডিজািইন এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অন্যান্য যে পোস্টগুলো আপনার পড়া প্রয়োজন
- গ্রাফিক ডিজাইন এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহীদের জন্য গাইডলাইন
- ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসাবে নিতেহলে যেই বিষয় গুলা অবশ্যই জানতে হবে
- ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কমন প্রশ্নেগুলোর উত্তর
- ফ্রিল্যান্সার দের কাজের জন্যে কেমন কম্পিউটার প্রয়োজন?
- আপনি যে কারনে ডিজাইনার হতে পারবেন না (Case Study)
Post a Comment
Let us know how you are feeling about this article by commenting.