এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে দুনিয়াতে গুগলের প্রতিনিয়ত আপডেটের সাথে তাল মেলাতে আমাদের প্রায়শই হিমশিম খেতে হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের যে নিয়মটি এখনো বহাল তবীয়তে রয়ে গেছে সেটা হল, “কিওয়ার্ড রিসার্চ”।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর ক্ষেত্রে Keyword হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সে জন্য কোন একটি বিষয়ে পোস্ট লিখার পূর্বে কাঙ্খিত পোস্টের কিওয়ার্ড রিসার্চ না করে কোনভাবে সেই পোস্টকে র্যাংক করানো সম্ভব হবে না।
কারণ আপনি যে বিষয়ের উপর পোস্ট লিখেবেন সেই পোস্টের কোন কোন কিওয়ার্ড লিখে মানুষ গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে এবং প্রতিমাসে সেই বিষয়ে কি পরিমানে সার্চ করা হয়ে থাকে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতেই হবে।
কিওয়ার্ড কি?
কিওয়ার্ড হচ্ছে একটি শব্দ বা তিন চারটি শব্দ দ্বারা গঠিত একটি বাক্য। সহজভাবে বলা যায় যে, কিওয়ার্ড বলতে বুঝায় যা লিখে আমরা গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করি। সাধারণত কিওয়ার্ডকে কেন্দ্র করেই গুগল একটি ব্লগের পোস্ট র্যাংক করে। কারণ অনলাইনে কোন কিছু খুঁজার ক্ষেত্রে আমরা কিওয়ার্ড ব্যবহার করি।
কিওয়ার্ড কয় প্রকার ও কি কি?
কীওয়ার্ডস সাধারণত তিন প্রকার হয়ে থাকে।
1/ শর্ট টেল কিওয়ার্ড
শর্ট টেল কিওয়ার্ড সাধারণত যে কীওয়ার্ডগুলি ছোট্ট সেই গুলোকে শর্ট টেল কিবোর্ড বলে। আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে শর্ট টেল কিওয়ার্ড কিভাবে চিনব? যেমন "কিওয়ার্ড" এই ভাষাটা হলে শর্ট টেল কিওয়ার্ড।
2/ মিড টেল কীওয়ার্ড
মিড টেল কিওয়ার্ড হলো বেশি বড় নয় বা বেশি ছোটও নয় এমন কিওয়ার্ড গুলোকে মিড টেল কিওয়ার্ড বলে। যেমন "কিওয়ার্ড কি" এই ভাষাটি দুটো ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে তাই এই ভাষাটি কে মিড টেল কিওয়ার্ড বলে।
3/ লং টেল কীওয়ার্ড
লং টেল কীওয়ার্ড হচ্ছে সাধারণত দুটোর বেশি ওয়ার্ড ব্যবহারকারী ভাষাকে লং টেইল কীওয়ার্ড বলে। যেমন "লং টেইল কীওয়ার্ড" এই ভাষাটি বড় এবং এটা লং টেল এর মধ্যে পড়ে।
যেকোনো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে গেলে আপনাকে জানতে হবে ওই কীওয়ার্ড ইন্টারনেটে মানুষ কতবার সার্চ করছে বা ওই কিওয়ার্ডটির সার্চ ভলিউম কত? সত্যি মানুষের ওই শব্দটির বা জনপ্রিয়তা কত কিওয়ার্ডটির। bengali keywords করতে গেলে আপনাকে অনেক ফ্রী টুল এবং অনেক পেট টুল পাওয়া যায় সেখান থেকে আপনারা রিচার্জ করতে পারবেন বাংলা কিওয়ার্ড bengali keywords।
আপ ভালো করে একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ফেলেন তাহলে আপনার আর্টিকেল 50% SEO হয়ে যাবে। আমরা ইন্টারনেটে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করি এ রকমই হাজার হাজার মানুষ আছে একই বিষয়ে জানার চেষ্টা করে। সেই বিষয়ের কিওয়ার্ড গুলি আমরা যদি আর্টিকেল এর ব্যবহার করি তাহলে আপনারা আর্টিকেলটি খুব তাড়াতাড়ি প্রথম পেজে চলে আসবে।
কোআপনি যদি প্রচুর পুরনো ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি শট টেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। ভাইরাল হওয়ার চান্স কেন বেশি বেড়ে যায় আপনার ব্লগার টি পুরনো হয়ে যায় তাই শর্ট টেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলটি গুগল সার্চে টপ দশের মধ্যে আসতে পারে।
আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি লং টেল কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। লং টেইল কীওয়ার্ড গুলি কমপিটিসেন কম হয়ে থাকে তাই অতি সহজে Keyword Finder করে ব্লগ আর্টিকেল গুলি টপ 10 এর মধ্যে চলে আসতে সাহায্য করবে।
আপনারা অবশ্য জানতে পারলেন bengali keywords বাংলা কিওয়ার্ড কি এবং এগুলোকে কিভাবে ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে বাংলার শব্দগুলি কিভাবে ব্যবহার করবেন। গুগলে ইনডেক্স কিভাবে হয় তার সম্বন্ধেও পুরোপুরি জানতে পারলেন। একটা SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল এর মধ্যে কিভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কাজ করে সেটাও জানতে পারলে। যদি আপনি একটি ব্লগার হয়ে থাকেন বা ব্লগ তৈরি করতে চাইছেন এই সম্পূর্ণ বিষয়গুলি মনে রাখা দরকার।
যদি আমার এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে থাকে তাহলে একটি কমেন্ট করে দিবেন আপনার এই আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে। যদি আপনার মনে কোন প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমার contact us এ কমেন্ট করতে পারেন বা যোগাযোগ করতে পারেন। যথাযথভাবে ব্লক সম্বন্ধে আরো জানতে পারবেন।
তাছাড়া আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট লিখলে কোন কোন ব্লগ আপনার প্রতিদন্ধি হবে এবং সেই পোস্টটি র্যাংক করানোর জন্য কি কি করতে হবে তা জানার জন্য কিয়ার্ড রিসার্চ করা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। কেবলমাত্র কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে যেকোন একটি বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নেওয়া সম্ভব হয়।
সাধারণত আমরা যখন ব্লগে কোন আর্টিকেল লিখি, তখন কোন নির্দিষ্ট একটি বা দু-চারটি Keyword কে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ পোষ্টের আর্টিকেল সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করি। এতেকরে সার্চ ইঞ্জিন পোষ্টের কিওয়ার্ড এর গুরুত্ব বুঝতে পেরে সার্চ ক্যোয়ারি অনুসারে সার্চ রেজাল্টের তালিকায় ধারাবহিকভাবে শো করে।
এ ক্ষেত্রে একজন লেখক তার আর্টিকেল এর বিষয়বস্তুর কাঙ্খিত Keyword গুলোর Keword Density বজায় রেখে যত সুন্দরভাবে যথাস্থানে ব্যবহার করতে পারবে, সার্চ ইঞ্জিন তার পোষ্টটিকে তত বেশি গুরুত্ব দেবে।
তবে হ্যাঁ, কিওয়ার্ড রিসার্চ সেই আগের মত থাকলেও কিওয়ার্ডের ধরন ও গঠনে চলে এসেছে আমূল পরিবর্তন। আগে যেখানে সাধারণ একটি কিওয়ার্ড দিয়েও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা যেত খুব সহজেই, সেখানে এখন অনেক রিসার্চ করার পর তবেই একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের উপর কাজ করলে সেটা র্যাংক করানো যায়। আর তাই এক অর্থে কিওয়ার্ড রিসার্চের নিয়মেও বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়। আসুন তাহলে জেনে নেই, কিওয়ার্ড রিসার্চ কীভাবে করতে হয় এবং আগের থেকে এখনকার কিওয়ার্ড রিসার্চের মধ্যে কি কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ কি ?
কিওয়ার্ড কিভাবে কাজ করে?
এই বিষয়টি আমি উদাহরনের মাধ্যমে ক্লিয়ার করা চেষ্টা করছি। ধরুন-আপনি কফি শপ নিয়ে একটি পোস্ট লিখছেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ঐ যাবতীয় ফিচার্স সহ এটির ভালো খারাপ দিক তুলে ধরার পাশাপাশি এর দাম এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় নিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট শেয়ার করবেন। সেই পোস্টটির ক্ষেত্রে আপনার প্রধান বা টার্গেটেড কিওয়ার্ড হবে Best coffee shop. সেই পোস্টে Best coffee shop এর যাবতীয় বিষয় ভালোভাবে তুলে ধরাই হবে আপনার প্রধান কাজ।
এ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যখন গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে Best coffee shop লিখে সার্চ করবে তখন সার্চ ইঞ্জিন প্রথমে তার তথ্য ভান্ডারে থাকা Best coffee shop বিষয়ে যত পোস্ট রয়েছে সেগুলো যাচাই করে সবচাইতে ভালো পোস্টগুলো সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় শো করবে। এভাবে মূলত কিওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন একটি পোস্টের র্যাংকিং নির্ধারণ করে।
ধরে নিলাম আপনি Best coffee shop নিয়ে একটি পোষ্ট লিখবেন। পোস্টটি লেখার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে মানুষ Best coffee shop এর কোন কোন কিওয়ার্ড (বিষয়) লিখে অনলাইনে সার্চ করছে বা কি কি বিষয় জানতে চাইছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত একজন ব্যক্তি মোবাইলের দাম, রিলিজ ডেট ও ফিচার্স সহ আনুষাঙ্গিক বিষয় লিখে অনলাইনে সার্চ করতে পারে।
এ জন্য পোস্ট লেখার পূর্বে বিভিন্ন কিওয়ার্ড টুলস ব্যবহার করে Best coffee shop সাথে কি কি কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করা হয়, মাসে কি পরিমান সার্চ হয়ে থাকে, সেই কিওয়ার্ড নিয়ে লিখলে আপনি র্যাংক করতে পারবেন কি না, র্যাংক করার জন্য কি কি করতে হবে, কোন কোন ব্লগ সেই পোস্টের কম্পিটিটর হতে পারে ইত্যাদি বিষয় জেনে নেওয়ার কাজই হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ।
কিওয়ার্ড রিসার্চ এত গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
বিগত দশ বছর ধরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মধ্যে কীভাবে পরিবর্তন এসেছে সেটা আমরা সবাই জানি। আর এই মার্কেটে এখন ঠিক কতটা কম্পিটিশন সে কথা আর বলাই বাহুল্য। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ঝড়ে টিকে থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চটি অনেক সঠিক ভাবে করতে হবে। সঠিক ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সেই তথ্যকে কাজে লাগালেই কেবল এখন গুগুল সার্চে র্যাংক পাওয়া যায়।
প্রথমত আপনি যে বিষয় নিয়ে পোস্ট করছেন সে বিষয়ের সাথে রিলিটেড কি ধরনের কিওয়ার্ড লিখে অনলাইনে সার্চ করা হয়ে থাকে সেটি জানার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। দ্বিতীয় সেই কিওয়ার্ড লিখে অনলাইনে কি পরিমানে সার্চ করা হয় সেটি জানার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। তৃতীয়ত সেই কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট লিখলে র্যাংক করতে পারবেন কি না, কারা কারা আপনার পোস্টের সাথে কম্পিটিশন করবে, পোস্ট র্যাংক করার জন্য কি কি করতে হবে, কিভাবে পোস্ট করতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে ধারনা নেওয়ার জন্য অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতেই হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে লিখে শেষ করা যাবে। এক কথায় যে যত ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে পোস্ট সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারবে তার পোস্ট তত দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করবে। অধিকাংশ ব্লগাররা সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারে না বিধায় তাদের পোস্টে ভালো আর্টিকেল থাকা সত্বেও পোস্ট র্যাংক হয় না।
এছাড়া এখনকার নিত্য নতুন গুগুল সার্চ এলগরিদমের কারণে এটাও সবাই জানে যে মানুষ যা লিখে সার্চ করছে, শুধুমাত্র সেটার সাথে মানিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করলেই এখন আর র্যাংক পাওয়া যায় না। বরং বর্তমানে সেই কন্টেন্টে আপনি কিওয়ার্ডটি কি জন্য রেখেছেন এবং কীভাবে ব্যবহার করছেন সেটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়া অনেক বেশি যে কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষ সার্চ করছে তার পাশাপাশি সেই একই টপিকের উপর কম সার্চ করছে এমন কিওয়ার্ডও এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই নির্দিষ্ট একটি টপিকের মধ্যে কি ধরনের কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেটা জানার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ ?
বর্তমানে গুগুলের এলগরিদম এমনভাবে আপডেট করা হয়েছে, যার মাধ্যমে গুগল বুঝতে পারে আপনি কি জন্য এবং ঠিক কীভাবে এই কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করছেন। গুগল সবসময় ওয়েবসাইট মালিকদের সুবিধা কম দেখে বরং যারা সার্চ করছে তারা কি সঠিক তথ্যটি পেয়ে উপকৃত হল কি না সেটাই গুগলের মূল উদ্দেশ্য । আর তাই এখন শুধুমাত্র কিওয়ার্ড ব্যবহার করলেই হবে না বরং সেই কিওয়ার্ডটি সঠিক ভাবে ব্যবহারও করতে হবে। তা না হলে সাধের র্যাংকিং এর দেখা আর কখনই পাওয়া যাবে না।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ
যেভাবে গুগলে ফার্স্ট পেজে র্যাংক করবেন !!
আর তাই আপনার কিওয়ার্ডের সাথে সাথে কিওয়ার্ডটি আপনি কেন ব্যবহার করছেন আর সেটা কি মানুষের জন্য আদৌ উপকারী কি না এসব কিছুই র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ধরুন আপনি “কীভাবে ব্লগিং শুরু করব” এই কিওয়ার্ডের উপর একটি আর্টিকেল তৈরি করতে চাচ্ছেন। এখানে এই কিওয়ার্ডটির মধ্যে ব্লগ শব্দটির কিন্তু বেশ কয়েকটি অর্থ আছে। যেমন ধরুন একটি আর্টিকেল হতে পারে ব্লগ আবার অনেকগুলো আর্টিকেল সমৃদ্ধ একটি ওয়েবসাইটকেও ব্লগ বলা হয়ে থাকে। আর তাই প্রথমেই বুঝতে হবে যারা “কীভাবে ব্লগিং শুরু করব” এই কথাটি লিখে সার্চ করছে তারা আসলে কি চায় ? তারা কি শুধু একটি ব্লগ পোস্ট কীভাবে লিখবে সেটা জানতে চায় নাকি একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের ডোমেইন, হোস্টিং থেকে শুরু করে ডিজাইনের যাবতীয় বিষয়গুলো সহ জানতে চায়।
আর সঠিক ভাবে কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করে আপনি কীভাবে আপনার লেখাকে র্যাংক করবেন তার জন্য সবচাইতে ভালো উপায় হল এই কিওয়ার্ডটি লিখে নিজেই সরাসরি সার্চ দেয়া এবং দেখা যে র্যাংক করা ওয়েবসাইটগুলো ঠিক কি ধরনের তথ্য দিচ্ছে ।
আজকের এই আর্টিকেলে কীভাবে এই সব তথ্য কাজে লাগিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায় এবং কীভাবে খুব সহজেই আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে র্যাংক করাবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করব।
কীভাবে শুরু করব সেই গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড রিসার্চ ?
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনলাইনে অনেকগুলো টুলস রয়েছে। ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য টুলস এর সাহায্য নিতেই হবে। কারণ টুলস ছাড়া কোনভাবে শতভাগ কিওয়ার্ড রিসার্চ করা সম্ভব হয় না। অনলাইনে যতগুলো ভালোমানের কিওয়ার্ড টুলস রয়েছে তার প্রায় সবটি হচ্ছে পেইড। টাকা ছাড়া ঐ টুলগুলো ব্যবহার করে পরিপূর্ণভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা সম্ভ হয় না।
আপনার টাকা খরছ করার মত সামর্থ থাকলে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অবশ্যই পেইড টুলসগুলো ব্যবহার করার জন্য সাজেস্ট করব। তবে আপনার কাছে টাকা বা সময় না থাকলে Google Keword Planner এর সাহায্যে ফ্রিতে কিওয়ার্ড রিসার্চ কিওয়ার্ড সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা নিতে পারবেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কি?
আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে ভালো কিওয়ার্ড না প্রয়োগ করলে কোনদিন গুগলে ইনডেক্স হবে না এবং ভিউজ সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। অনলাইনে অনেক ফ্রী টুল এবং পেড টুল পাওয়া যায়। এইসব টুলগুলো ব্যবহার করে আপনারা ভালো কিওয়ার্ড ফাইন্ড করতে পারবেন যাতে আপনার আর্টিকেল অতি সহজে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO তে সাহায্য করে। এই রিসার্চ টুল Keyword research গুলি বড় বড় ব্লগার রা ব্যবহার করে এবং অতি সহজে তাদের আর্টিকেলগুলো রেঙ্ক করে ফেলে। যদি আপনি বাংলায় আর্টিকেল লিখেছেন তাহলে আপনাকে bengali keywords বাংলা কিওয়ার্ড ফাইন্ড করে নিতে হবে যাতে বাংলা আর্টিকেলটি খুব সহজে গুগলের রেংক করে ফেলে এবং সার্চ ইঞ্জিনে ফাস্ট পেজে আপনার আর্টিকেলটি দেখায়।
আপনি যদি সত্যিই ওইসব কিওয়ার্ড প্ল্যানার গুলি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে টাকার বিনিময়ে কিনতে হবে। যদি আপনি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে পেড কিওয়ার্ড প্লেনার নাকি না তাই উচিত। এই কী-ওয়ার্ড রিসার্চ টুল গুলি কিনতে অনেক টাকা লেগে যাবে।
বেস্ট কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য আলাদা কোন টুল পাওয়া যায় না। এই রিসার্চ' টুল গুলিতে সাধারণভাবে ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা যে কোন ভাষায় আপনি সার্চ করতে পারবেন Keyword Tool এর মধ্যে। নিচে একটা একটা করে দেওয়া রয়েছে আপনারা দেখে নিতে পারেন।
1/ google keyword planner (Free)
2/ keywordtool.io (Free)
3/ ahrefs.com (paid)
4/ moz.com (Free+paid)
5/ neilpatel.com (Free+paid)
6/ semrush.com (free+paid)
এখানে 6 টি কিওয়ার্ড রিসার্জ টুল রয়েছে তারমধ্যে সবথেকে বেস্ট google keyword planner। এই সাইটটি গুগল কোম্পানির নিজের, তাই আপনি বাংলা কিওয়ার্ড সার্চ করতে পারবেন অতি সহজে Google Keyword Planner free সাহায্য নিয়ে। আরো যে বাকি কিওয়ার্ড প্ল্যানার গুলো রয়েছে সেখান থেকে আপনারা কিওয়ার্ড গুলি রির্সাচ করতে পারবেন কিন্তু ততটা ভালো হবে না
আপনি টাকার বিনিময়ে এসইও টুলস ব্যবহার করতে চাইলে নিচের যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। আমার কাছে নিচের চারটির প্রত্যেকটি খুবই প্রিয় এসইও টুল।
আপনি টাকা খরছ করে কিওয়ার্ড টুল ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই Ahrefs টুলটি ব্যবহার করবেন। আমি নিজে চারটি টুলই ব্যবহার করেছি। এই চারটি অসাধারণ এসইও টুলস। তবে আমার কাছে Ahrefs টুলটি বেটার মনেহয়েছে।
প্রথম ধাপঃ টপিক সিলেক্ট করুন
আপনি কি ধরনের আর্টিকেল লিখতে চাচ্ছেন এবং আপনার বিজসেনের জন্য কি ধরনের টপিকের উপর আপনার আর্টিকেল প্রয়োজন হবে তার একটা লিস্ট তৈরি করে রাখুন। এভাবে প্রাথমিক ভাবে আপনার ব্যবসার জন্য উপকারী এমন ৫-১০ টি খুব গুরুত্বপূর্ণ টপিক আলাদা করুন। এই টপিকগুলোর উপরেই ভিত্তি করে এখন আপনাকে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড বের করতে হবে।
আপনি যদি নিয়মিত ব্লগিং অর্থাৎ আর্টিকেল আপডেট করে থাকেন তাহলে আপনি যে টপিকগুলো বেশ জনপ্রিয় অথবা যে টপিকগুলো থেকে আপনার অর্থ উপার্জন হচ্ছে সে টপিকগুলোর উপরেই বেশি কাজ করে যাওয়া আপাতত বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যারা সার্চ দেয়, আপনি তাদের মত করে চিন্তা করুন। আপনার যে ওয়েবসাইটটি আছে সেই ওয়েবসাইটে একজন কাস্টোমার বা ভিজিটর হিসেবে আপনি কি চাইতেন? কি ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে আপনি সার্চ করতেন সেটা ভেবে দেখুন। ধরুন আপনার ওয়েবসাইটটি এসইও এর উপরেই তৈরি করেছেন।
এখন আপনার উদ্দেশ্য এসইও এর সফটওয়্যার বা টুলস বিক্রি করা। আবার অন্যদের টুলসের এফিলিয়েশনও আপনার উদ্দেশ্য হতে পারে। যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটটি এসইও এর উপরে তাই আপনি অনেকগুলো টপিক খুঁজে পাবেন। তার মধ্যে কিছু টপিক নিম্নে বর্ণনা করা হলঃ
- >> ইনবাউন্ড মার্কেটিং
- >> ব্লগিং
- >> ইমেইল মার্কেটিং
- >> লিড জেনারেশন
- >> এসইও
- >> ডিজিটাল মার্কেটিং
- >> সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইত্যাদি।
এখন এই টপিকগুলো দিয়েই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে আপনাকে। দেখতে হবে প্রতি মাসে এই টপিকগুলোর মধ্যে কি কি ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করা হয় এবং কত মানুষ প্রতি মাসে সেই নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে সার্চ করে। মূল টপিকের পাশাপাশি সেই টপিকের অন্তর্ভুক্ত আরো অন্যান্য সাব-টপিক নিয়েও আপনাকে একই ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে কে এগুলো লিখে কতজন প্রতি মাসে সার্চ করছে।
দ্বিতীয় ধাপঃ সাব-টপিক খুঁজে বের করুন
ইতোমধ্যে যেহেতু আপনার বেশ কয়েকটি টপিক সিলেক্ট করা আছে, এখন আপনাকে সেই টপিকগুলোর আরো কিছু সাবটপিক খুঁজে বের করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ আপনার ওয়েবসাইটের অন্যতম একটি টপিক যেহেতু এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন তাই এখন সেই টপিকের আরো কিছু সাবটপিক আপনাকে বের করে নিতে হবে। যেমনঃ
- ক এবং সাবটপিক নিয়ে ভাবলেন এবং অনেক কিছু নতুন করে জানলেন। আর এভাবেই একটি টপিককে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আপনাকে একদম ছোট একটি টপিক বের করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, এখন অন পেজ অপটিমাইজেশনের মধ্যে কি কি আছে সেগুলো বের করতে হবে, যেমন মেটা ডেসক্রিপশন, ফোকাস কিওয়ার্ড রাখা, কিওয়ার্ড এর ঘনত্ব অর্থাৎ কতবার কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করা যাবে ইত্যাদি।
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ
এসইও (SEO) সফলভাবে করার ৯ টি সহজ উপায় !
এগুলো বের করার পরে বেশ কিছু কীওয়ার্ড টুলস আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন কিওয়ার্ডটি র্যাংক করার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া আপনি যদি বেশ কিছুদিন ধরেই ব্লগিং করে থাকেন তাহলে কোন ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষ আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাচ্ছে সেই কিওয়ার্ডগুলোর উপর কাজ করাও বেশ ফলপ্রসূ।
আর মানুষ কোন কোন কিওয়ার্ড দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাচ্ছে সেগুলো জানতে গুগল এনালাইটিক্স টুল ব্যবহার করুন। আপনার ওয়েবসাইট গুগল এনালাইটিক্সে এড করে এরপর ওয়েবসাইটের অরগানিক সার্চ রেজাল্ট থেকে খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত কিওয়ার্ডগুলো।
আপনার ব্যবসার জন্য যতগুলো টপিক খুঁজে বের করেছিলেন সেগুলোর সবগুলো নিয়েই এমন সাব-টপিক বের করে নিন এবং এভাবেই আপনি একদম সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে সবসময় নিজেকে একজন কাস্টোমারের দিক থেকে তুলনা করবেন আর ভাববেন যে একজন কাস্টোমার ঠিক কি কি ধরনের শব্দ বা বাক্য লিখে গুগুলে সার্চ দিতে পারে।
তৃতীয় ধাপঃ রিলেটেড কিওয়ার্ডের গুরুত্ব
সঠিক কিওয়ার্ডটি খুঁজে পেতে এই রিলেটেড কিওয়ার্ড খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে
কিওয়ার্ড রিসার্চের ক্ষেত্রে এই রিলেটেড কিওয়ার্ড বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন নির্দিষ্ট টপিক দিয়ে সার্চ দিলে সেই টপিকের সাথে আরো কি ধরনের শব্দ বা বাক্য লিখে মানুষ সার্চ দেয় সেগুলোও চলে আসবে। আপনি যদি সঠিক কিওয়ার্ডটি খুঁজে পেতে কষ্ট হয়ে থাকে তাহলে এই রিলেটেড কিওয়ার্ড খুঁজে বের করার মাধ্যমেও নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি যদি টপিকের পাশাপাশি সেই নির্দিষ্ট রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোও আপনার আর্টিকেলের মধ্যে রাখেন তাহলে গুগল খুব সহজেই বুঝে নিতে পারবেন আপনার আর্টিকেলটি আদতে ঠিক কি ধরনের এবং কি কি তথ্য আপনার আর্টিকেলের মধ্যে রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনি যদি “কীভাবে ব্লগিং শুরু করব লিখে সার্চ দেন তাহলে বেশ কিছু রিলেটেড কিওয়ার্ডও গুগলের সার্চ পেজের নিচে চলে আসবেঃ
সবচাইতে মজার ব্যাপার শুরু হল ঠিক এখনই। আপনি যদি এই রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো থেকে একটি কিওয়ার্ড নিয়ে গুগলে আবার সার্চ দেন তাহলে সেই রিলেটেড কিওয়ার্ডেরও রিলেটেড কিওয়ার্ড আপনার সার্চ পেজের নিচে চলে আসবে। ধরুন আমরা “ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়” নামক রিলেটেড কিওয়ার্ড দিয়ে আবার গুগলে সার্চ দিলাম। এখন এই কিওয়ার্ডটিরও রিলেটেড কিওয়ার্ড সার্চ রেজাল্টের সাথে চলে আসবে।
রিলেটেড কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে তা কনটেন্টে ব্যবহার করলে গুগল সার্চ রেজাল্টে র্যাংক করা সহজ হয়ে যায়
এভাবে আপনি আপনার নির্দিষ্ট টপিকের সাথে সম্পৃক্ত এমন আরো কিওয়ার্ড খুঁজে পাবেন। তবে এগুলো খুঁজে পাওয়ার জন্যও অনেক ধরনের কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি টুলস রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একবারেই সব কিওয়ার্ড বের করে ফেলতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপঃ আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড রেখে কোন লং টেইল কিওয়ার্ড বা বড় কিওয়ার্ড খুঁজে বের করুন
যদি কিওয়ার্ড এবং লং টেইল কিওয়ার্ডের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আপনার জানা না থাকে তাহলে প্রথমেই সেটা বলে নেই। কিওয়ার্ড সাধারণত অনেক ছোট হয় এবং সুনির্দিষ্ট হয়ে থাকে। সাধারণত কিওয়ার্ডের মধ্যে এক থেকে তিনটি শব্দ থাকে। অপরদিকে লং টেইল কিওয়ার্ড হল যে কিওয়ার্ডের মধ্যে সেই সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড থাকে আবার পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি শব্দ থাকে।
আপনার লং টেইল কিওয়ার্ডের মধ্যেও সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ডটি আছে কি না সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন। কেননা গুগলে র্যাংক করানোর জন্য লং টেইল কিওয়ার্ডের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড থাকাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আসুন তাহলে একটু চিন্তা করে দেখি “ব্লগিং” এবং “কীভাবে একটি ব্লগ লেখা শুরু করব” অথবা “ব্লগিং করে কীভাবে উপার্জন করব” এগুলোর কোনটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড আর কোনগুলো লং টেইল কিওয়ার্ড ?
বুঝতেই পারছেন যে ব্লগিং শব্দটি এখানে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড, আর বাকিগুলো হল লং টেইল কিওয়ার্ড। যার একটির মধ্যে সরাসরি ব্লগিং শব্দটি আছে এবং অপরটির মধ্যে সরাসরি ব্লগিং লেখা না থাকলে ব্লগ কথাটি লেখা আছে। এটা বুঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, সরাসরি ব্লগিং শব্দটির মধ্যে গুগলে র্যাংক করানো খুবই কষ্টকর হলেও, কীভাবে একটি ব্লগ লেখা শুরু করব, এই বাক্যটিতে গুগুলে র্যাংক করানো অপেক্ষাকৃত সহজ।
কিন্তু লং টেইলে র্যাংক করানো সহজ কেন ?
কেননা যখনই কোন নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড হয়ে থাকে, তাহলে সেটা নিয়েও অনেক বেশি সার্চ হয়ে থাকে। তাই যখন লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে কেউ সার্চ দেয়, সেটার মধ্যে র্যাংক করানো সহজ কেননা লং টেইল কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কম্পিটিশন অপেক্ষাকৃত অনেক কম। আর তাই যখন আপনার কিওয়ার্ডের মধ্যে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এবং লং টেইল কিওয়ার্ড থাকে, তখন সেটা র্যাংক করার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়।
পঞ্চম ধাপঃ আপনার প্রতিযোগীদের নিয়ে গবেষণা করুন
তবে এটা মনে রাখতে হবে যে আপনা প্রতিযোগীরা কিছু একটা করছে তার মানে এই নয় যে আপনাকেও সেটা করতে হবে। ঠিক একই রকম কথা কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও কাজে দেয়। তবে সে যাই হোক, প্রতিযোগী নিয়ে আপনাকে গবেষণা করতে হবে আপনার ব্যবসাকে আরো বেশি এবং ভালোভাবে জানার জন্য ও বুঝার জন্য। কেননা আপনাদের কিওয়ার্ড আলাদা হতে পারে তবে কিওয়ার্ড র্যাংক করার উপায়গুলো কিন্তু একদমই এক রকম। তাই প্রতিযোগীদের উপর গবেষণা করে দেখুন যে তারা কীভাবে কোন একটি কিওয়ার্ড র্যাংক করাচ্ছে।
যদি প্রতিযোগীদের র্যাংক করা কিওয়ার্ডগুলোর মধ্যে আপনার কিওয়ার্ডও থেকে থাকে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এই কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে আপনাকে আরো বেশি কাজ করতে হবে। তা না হলে প্রতিযোগীদের টপকে আপনি র্যাংক করতে পারবেন না। আর তাই যে ধরনের কিওয়ার্ড র্যাংক করানো বেশি কষ্টকর সেগুলোর দিকে পরে নজর দিন বরং যেগুলো খুব সহজেই আপনি র্যাংক করিয়ে ফেলতে পারবেন সেগুলোর দিকে প্রথমে নজর দিন এবং সেই কিওয়ার্ডগুলো নিয়েই কাজ শুরু করুন।
কিওয়ার্ডের এই কমপিটিশন বা প্রতিযোগিতা খুঁজে বের করার জন্য SEMrush খুব চমৎকার একটি টুলস। এই টুলসের বেশ কিছু অংশ আপনি ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। আর সেই ফ্রি অংশ দিয়েই আপাতত নিজের ওয়েবসাইটে কোন কিওয়ার্ড র্যাংক করাবেন সেটা খুঁজে বের করুন।
এ আপনি চাচ্ছেন সেগুলো থেকে কোন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন সেগুলো বাছাই করে আলাদা করতে। এজন্য গুগলের কিওয়ার্ড প্ল্যানার একটি চমৎকার টুলস। আর গুগলে এনালাইটিক্সের মতই কিওয়ার্ড প্ল্যানার টুলস একদমই ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
এজন্য প্রথমেই আপনাকে গুগুল এডওয়ার্ডে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আর একাউন্ট তৈরি করতে হবে, তার মানে এই নয় যে আপনাকে এডওয়ার্ডের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
কিওয়ার্ড প্ল্যানারের মাধ্যমে আপনি কোন কিওয়ার্ড ঠিক কতবার সার্চ করা হচ্ছে সেটা খুব সহজেই বের করে নিতে পারবেন। কিওয়ার্ড প্ল্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি লং টেইল কিওয়ার্ডগুলো থেকে যে কিওয়ার্ডে কোন ধরনের সার্চই আসে না সেগুলো আলাদা করে ফেলতে পারেন। কেননা যে কিওয়ার্ড দিয়ে কেউ সার্চই করছে না সেখানে র্যাংক করে আপনার কি লাভ ?
এছাড়া এই কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে কোন এলাকা থেকে বেশি সার্চ হচ্ছে সেটা আপনি বের করতে পারবেন Google Trends এর মাধ্যমে। আশার কথা হল google analytics এবং keyword planner এর মতই গুগুল টেন্ডসও একদম ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে আপনি দেখে নিতে পারবেন আপনার কিওয়ার্ডটি দিয়ে আপনার নির্দিষ্ট এলাকায় কেউ সার্চ দিচ্ছে কি না। এটা দেখে নেয়ার কারন হল, ধরুন আপনি চাচ্ছেন ঢাকার কাস্টোমার, কিন্তু আপনার কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করছে চট্টগ্রামের কাস্টোমার । তবে এলাকা যদি আপনার কাছে কোন অর্থ না রাখে, অর্থাৎ আপনি যদি সার্বজনিন ভিজিটর চান তাহলে এলাকা ভিত্তিক সার্চ না দেখলেও হবে।
কিভাবে ফ্রিতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
আপনি যদি টাকা খরছ করতে না চান তাহলেও কিছু টুলস ও ট্রিকস অনুসরণ করে সহজে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে একটি টুল দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কাজ করতে পারবেন না। ফ্রিতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য একাধিক টুলস এর সাহায্য নিতে হবে। নিচে আমরা কয়েকটি টুলস ও ট্রিকস শেয়ার করব যেগুলোর সাহায্যে ৯০% কিওয়ার্ড রিসার্চ এর কাজ ফ্রিতে করে নিতে পারবেন।
১। Google Keyword Planner দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চঃ
Google Adwords Keyword Planner হচ্ছে Adwords Publishers দের জন্য গুগল এর একটি অফিসিয়াল টুলস। মূলত গুগলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দাতাদেরকে বিজ্ঞাপন দেয়ার পূর্বে তাদের ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডস সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য এ টুলসটি চালু করে, কিন্তু এটিতে Keyword Research অপশন উন্মুক্ত থাকার কারনে Adwords Publishers এবং Webmaster উভয়ই এটি ব্যবহার করতে পারেন। যে কোন ধরনের কীওয়ার্ড সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নেওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফ্রি টুলস। Google Keyword Planner দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য প্রথমে আপনার জিমেইল আইডি ব্যবহার করে একটি গুগল AdWords একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
কিভাবে AdWords Account তৈরি করবেন?
এ্যাডওয়ার্ডস একাউন্ট তৈরির পর গুগল আপনাকের কীওয়ার্ড প্লানার ব্যবহারের সুযোগ দেবে। একটি জিমেইল আইডি ব্যবহার করে নিচের সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করে একটি AdWords একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারবেন।
প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করে Google AdWords এর অফিসিয়াল সাইটে যেতে হবে।
তারপর সেই পেজ হতে ডান পাশের অথবা মধ্যখানে থাকা নীল রংয়ের Start Now বাটনে ক্লিক করে আপনার কাঙ্খিত জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে লগইন করতে হবে। AdWords এ লগইন করার পর নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন। (নোটঃ আপনার পূর্বের কোন AdWords একাউন্ট থাকলে লগইন করার পর নিচের চিত্রের ন্যায় শো করবে না। এ ক্ষেত্রে আপনি এই অপশন পাওয়ার জন্য নিচের ছবির পরের ছবিটি অনুসরণ করে কাজ করলে নিচের অপশনগুলো পেয়ে যাবেন)।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্রটি শো না করলে নিচের ধাপটি অনুসরণ করুন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
এখানে উপরের চিত্রের ন্যায় আপনার প্রোফাইল পিকচারের উপরে ক্লিক করে প্লাস (+) আইকনটিতে ক্লিক করলে নিচের অপশনগুলো অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
এখানে উপরের চিত্রের তীর চিহ্নিত Experienced with Google Ads অপশনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
তারপর উপরের চিত্রের Create an Account Without Campaign এ ক্লিক করার পর নিচের অপশনগুলো দেখতে পাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
এখানে আপনাকে কিছুই করতে হবে না, সবকিছু অটোমেটিক ডিটেক হয়ে যাবে। শুধুমাত্র নীল রংয়ের সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের ন্যায় একাউন্ট সাকসেছফুলি ক্রিয়েট হয়েছে বলে জানিয়ে দেবে।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
এখন আপনার Google AdWords Account তৈরি হয়েগেছে।
কিভাবে Keywords রিসার্চ করবেন?
Google Adwords এর ড্যাশবোর্ডের ডানপাশের উপরে নিচের চিত্রের ন্যায় Tools অপশনটি দেখতে পাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্র হতে Tools আইকনে ক্লিক করলে নিচের অপশনগুলো শো করবে।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্রের Tools > Keyword Planner এ ক্লিক করলে কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য দুটি অপশন পেয়ে যাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্রে আপনি দুটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন। এখানে আমরা প্রথম অংশটির Find new Keywords অংশটি ব্যবহার করব। যেহেতু আমাদের ব্লগ/ওয়েবসাইটের জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করব সেহেতু আমরা শুধুমাত্র Find new Keywords অংশটি ব্যবহার করে কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পেয়ে যাব। অপর অংশটি ব্যবহার করা আমাদের খুব একটা প্রয়োজন হবে না। তবে যারা গুগল এ বিজ্ঞাপন দিতে চান তাদের জন্য অপর অংশটির প্রয়োজন আছে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য Find new Keywords অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের অপশন দেখতে পাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
আপনি যে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান সেগুলো উপরের সার্চ বক্সে লিখে দিতে হবে। নিচের চিত্রে দেখুন-
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্রে দেখুন আমি তিনটি কীওয়ার্ড লিখে দিয়েছি। একটি কীওয়ার্ড লিখার পর ক্ষমা দিয়ে পরের কীওয়ার্ডটি লিখতে হবে। তবে এখানে শুধুমাত্র একটি কীওয়ার্ড নিয়েও রিসার্চ করা যায়।
সবশেষে উপরের চিত্রের Get Started বাটনে ক্লিক করলে আপনার কাঙ্খিত কীওয়ার্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য শো করবে।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্রের ৩ নং অংশে দেখুন সার্চকৃত কীওয়ার্ডগুলো মাসে কি পরিমানে সার্চ হয় সেটি শো করছে। প্রত্যেকটা কীওয়ার্ড মাসে ১০ হাজার থেকে ১০০ হাজার পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজা হয়ে থাকে। এই কীওয়ার্ড গুলোর প্রথমটির কম্পিটিশন Medium এবং বাকী দুটি কীওয়ার্ড এর কম্পিটিশন Low রয়েছে। কাজেই এই কীওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট করলে ভিজিটর বেশী পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
চিত্রের ২ নং তীর দিয়ে মার্ক করা অংশে বলছে সার্চকৃত কীওয়ার্ড রিলেটেড আরো ২৬৬০ টি কীওয়ার্ড রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিচে শো করছে। এ ভাবে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কীওয়ার্ড সম্পর্ক Google Keyword Planner হতে সহজে ধারনা পেয়ে যাবেন।
চিত্রের ১ নং তীর চিহ্নিত অংশে হতে Location পরিবর্তন করে দিতে পারবেন। আমার এই কীওয়ার্ডগুলো শুধুমাত্র বাংলাদেশ হতে কি পরিমানে সার্চ করা হয় সেটি জানতে চাইলে Location বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিলে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
এ ছাড়াও ডান পাশে কীওয়ার্ড গুলোর ভ্যালু ও বিজ্ঞাপন মূল্য কি পারিমান সেটি দেখাচ্ছে। এতেকরে আপনি কোন কোন কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে গুগল এ্যাডসেন্স হতে কি পরিমান আয় করতে পারবেন সেটি সম্পর্কে আনুমানিক ধারনা পেয়ে যাবেন।
কিভাবে Filter করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
Google Keyword Planner এ কীওয়ার্ড Filter করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করার অপশনটি অসাধারন একটি ফিচার্স। আমি সবসময় Keyword Research এর ক্ষেত্রে Filter অপশনটি ব্যবহার করে কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিভিন্ন ধারনা নিয়ে থাকি। নিচে দেখুন কিভাবে Filter করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়?
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
আপনার সার্চকৃত Keyword সম্পর্কে Filter করে তথ্য জানার জন্য উপরের চিত্রের ন্যায় Add Filter অপশনে ক্লিক করা মাত্র নিচের চিত্রের ন্যায় Filter করার বিভিন্ন অপশন দেখতে পাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্রে দেখুন Filter করার অনেকগুলো অপশন শো করছে। এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় অপশন সিলেক্ট করে কীওয়ার্ড সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
উদাহরণ হিসেবে মনেকরুন, আপনি কীওয়ার্ড Competition সম্পর্কে জানতে চাইছেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে উপরের চিত্রের Competition অপশন ক্লিক করতে হবে। Competition এ ক্লিক করার পর নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
আপনি যদি কম Competitive কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে উপরের চিত্র হতে Low সিলেক্ট করে নিচের Apply অপশনে ক্লিক করলে Low Competitive কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
গুগল Keyword Planner ব্যবহার করে কিভাবে কীওয়ার্ড Research করবেন?
উপরের চিত্রে দেখুন ফিল্টার করার পর সবগুলো Low Competitive কীওয়ার্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য শো করছে।
ভিডিও টিউটরিয়াল দেখুন
এভাবে আপনি বিভিন্ন অপশন ব্যবহার করে Google Keyword Planner ব্যবহার করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। শুধুমাত্র এ কাজটি সঠিকভাবে করতে পারলে একজন ব্লগার তার ব্লগের উপযুক্ত কীওয়ার্ড সঠিকভাবে সিলেক্ট করতে পারবে।
২। কিভাবে KWFinder দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
KWFinder একটি পেইড এসইও টুল হলেও এটিতে ফ্রি একাউন্ট করে প্রতিদিন ৩টি কিওয়ার্ড ফ্রিতে রিসার্চ করার সুযোগ পাবেন। এই টুলস দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য KWFinder লিংকটিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনার ইমেইল আইডি ব্যবহার করে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিন।
কিভাবে KWFinder দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?
উপরের চিত্রে দেখুন আমি KWFinder টুল এ "Keword Research" কিওয়ার্ডটি লিখে সার্চ করায় বাম পাশের অংশে রিলেটেড কিওয়ার্ড শো করছে। সেই সাথে রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো মাসে কি পরিমান সার্চ হয়, কিওয়ার্ড Defficulty কত, সিপিসি ও পিপিসি ইত্যাতি তথ্য শো করছে। ডানপাশের অংশে শো করছে এই কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে কোন কোন ব্লগ আপনার প্রতিদন্ধি হতে পারে। সেই সাথে তাদের কি পরিমান ব্যাকলিংক আছে ইত্যাদি ইত্যাদি তথ্য শো করছে। এই সব তথ্য থেকে আপনি চাইলে সহজে আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন।
৩। Ubersuggest টুল দিয়ে ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চঃ
এটি সম্প্রতি জনপ্রিয় ওয়েবমাস্টার Neilpatel তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত এটি ফ্রিতে ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে আপনি যদি বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান তাহলে Ubersuggest দিয়ে করতে পারবেন না। এটি দিয়ে ইংলিশ কিওয়ার্ড রিসার্চ খুব সহজে করা যায়। এ টুলটি ফ্রি হওয়া সত্বেও এটিতে প্রায় সকল ধরনের ফিচার্স রয়েছে।
Ubersuggest টুল দিয়ে ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ
উপরের চিত্রে দেখুন কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার প্রায় সবটুকু Ubersuggest টুলটিতে রয়েছে। এখানে আমি মাত্র একটি স্ক্রিনশট নিয়েছে। এগুলো ছাড়া এই টুলস এ অসংখ্য ফিচার্স রয়েছে। ভবিষ্যতে আমি এই টুল দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার একটি পূর্ণাঙ্গ টিউটরিয়াল শেয়ার করব।
৪। গুগল সার্চ হতে কিওয়ার্ড রিসার্চঃ
এটি এক ধরনের সহজ ট্রিকস। এই ট্রিকস অনুসরণ করে খুব সহজে গুগল হতে যেকোন কিওয়ার্ড সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারেন। নিচের চিত্রে দেখুন-
কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়?
উপরের চিত্রে দেখুন গুগল সার্চ বক্সে “এসইও” লিখে সার্চ করার ফলে আরো অনেকগুলো কিওয়ার্ড অটোমেটিক সাজেস্ট করছে। গুগল এখানে সেই কিওয়ার্ড সাজেস্ট করে যেই কিওয়ার্ডগুলো সচরাচর গুগলে খুঁজা হয়। কাজেই আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ড এর অন্যান্য জনপ্রিয় কিওয়ার্ড সম্পর্কে গুগল থেকে সহজে ধারনা নিতে পারেন।
কিভাবে ব্লগে Keywords ব্যবহার করবেন?
শুধুমাত্র কিওয়ার্ড রিসার্চ করলেই হবে না। আপনার রিসার্চে প্রাপ্ত কিয়ার্ডগুলোর যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে পোস্ট লিখবেন সেই আর্টিকেল এর বিষয়বস্তুর কাঙ্খিত Keyword গুলোর Density বজায় রেখে যত সুন্দরভাবে যথাস্থানে ব্যবহার করতে পারবেন, সার্চ ইঞ্জিন পোষ্টটিকে তত বেশি গুরুত্ব দেবে। নিচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে আপনার বাছাইকৃত কিওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন।
Long Keywords ব্যবহারঃ
আপনার ব্লগটি যদি নতুন হয় এবং ব্লগের র্যাংকিং কম হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ছোট কীওয়ার্ড এর পরবর্তী বড় কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। কারণ নুতন ব্লগের পক্ষে ছোট কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক পাওয়া খুব দুরূহ ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে আপনি বড় এবং Low Competition এর কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া অধিকাংশ ওয়েবমাষ্টারদের মতে বড় কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সহজে সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব হয়। আপনার ব্লগ যখন পুরাতন হয়ে যাবে এবং র্যাংকিং বাড়তে থাকবে, তখন ছোট এবং High Competition এর কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
জনপ্রিয় কিওয়ার্ড ব্যবহারঃ
যে বিষয় নিয়ে ভিজিটরদের প্রচুর পরিমানে আগ্রহ রয়েছে, সম্ভব হলেও সে ধরনের কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। কারণ আপনি যদি এমন কোন টপিক নিয়ে লিখেন যে বিষয়ে ইন্টারনেটে খুব কম সার্চ করা হয়, তাহলে সে কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে কোন সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। জনপ্রিয় কীওয়ার্ডগুলি High Competitive হলে সেগুলির সাথে আরও কিছু কীওয়ার্ড যোগ করে ব্যবহার করতে পারেন।
Keyword Density:
কীওয়ার্ড ডেনসিটি হল কত বার একটি ওয়ার্ড আপনার ব্লগের কোন একটি পোষ্টে আছে। ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইটের কোন পেইজে ১০০ শব্দ আছে, আর সেই ১০০ শব্দের মধ্যে ৫ বার কীওয়ার্ড ব্যবহার করলেন। তাহলে বলা যাবে 5 টাইমস কীওয়ার্ড ব্যবহার হয়েছে এবং সেখানে কীওয়ার্ড ডেনসিটি হল ৫%। আমি মনে করি একটি ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড ডেনসিটি সাধারণত ৫-৭% এর মধ্যে থাকা উচিত। আপনার ব্লগ পোষ্টের প্রথম এবং শেষ অংশসহ পোষ্টের Image ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
সাহায্য জিজ্ঞাসাঃ আশাকরি উপরের সবগুলো ধাপ মনযোগ সহকারে পড়লে যে কেউ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝে তার ব্লগের উপযুক্ত কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারবেন। তারপরও যদি কারও কোন অংশ বুঝতে সমস্যা হয় বা কোন প্রকার সংকোচ থাকে, তাহলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমরা প্রতিউত্তরের মাধ্যমে Keyword Research সম্পর্কে আপনার খটকা দূর করার চেষ্টা করব।
আশা করি আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড খুঁজে পেয়েছেন !
উপরে বর্ণীত উপায়গুলোর মাধ্যমে আশাকরি আপনি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডটি খুঁজে পেয়েছেন। এখন আপনাকে নজর দিতে হবে আপনার কন্টেন্টের উপরে। আপনার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড, লং টেইল কিওয়ার্ড এবং রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো এখন যদি আপনি অন পেজ অপটিমাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী কন্টেন্টের মধ্যে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনার কিওয়ার্ডটি অবশ্যই র্যাংক হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, এসইও কোন নির্দিষ্ট একদিনের কাজ নয় বরং র্যাংক ধরে রাখতে হলে প্রতিনিয়তই আপনাকে এসইও করে যেতে হবে।
আর এভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের যত বেশি পেজ র্যাংক করাতে পারবেন ততই আপনার ওয়েবসাইটের ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া আরো মনে রাখবেন যে কিছুদিন পরপরই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে যেতে হবে আর দেখে নিতে হবে সেই কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে এখনো মানুষ সার্চ করে যাচ্ছে কি না !
Post a Comment
Let us know how you are feeling about this article by commenting.