বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ  চাষ করুন ট্রেনিং ছাড়াই

কিভাবে বায়োফ্লকে মাছ চাষ শুরু করবেন তার পুরো গাইডলাইন পাবেন এইখানে।আপনার বায়োফ্লক ট্রেনিং এর প্রয়োজন হবে বলে আমি মনে করি।যদি আপনি আমার এই বায়োফ্লকে মাছ চাষের পুরো গাইডলাইন ফলোও করেন।

  • বায়োফ্লক ট্রেনিং বাংলাদেশ-Biofloc training in Bangladesh
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রশিক্ষণ
  • বায়োফ্লক তৈরির পদ্ধতি
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে কি কি লাগে
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে কি কি মাছ চাষ করা যায়
  • বায়োফ্লক মাছ চাষে সফলতা
  • বায়োফ্লক লাভের হিসাব
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বই PDF download
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছের খাবার
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ খরচ
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ লাভ
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বই PDF download
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোথায়
  • বায়োফ্লক ট্রেনিং
  • বায়োফ্লক ট্রেনিং বই
  • বায়োফ্লক ট্রেনিং কুমিল্লা
  • বায়োফ্লক ট্রেনিং সেন্টার ঢাকা
  • সরকারিভাবে বায়োফ্লক ট্রেনিং ঢাকা
  • বায়োফ্লক সরঞ্জাম
  • বায়োফ্লক ট্রেনিং সেন্টার সিলেট
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বই pdf
  • মাছ চাষ প্রশিক্ষণ ঢাকা


১।বায়ােফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রয়ােজনীয় উপকরণ:-


১। মাছের ট্যাংক
২। পানি।
৩। টিডিএস/Salinity মিটার
৪। পিএইচ মিটার
৫। Alkalinity মিটার
৬। অন ইন ওয়ান টেস্টকিট (অ্যামোনিয়া, নাইট্রাইট, নাইট্রেট ও পিএইচ)/স্ট্রিপ।
৭। থার্মোমিটার
৮। ডিও মিটার
৭। এয়ার পাম্প মেশিন (সেটিং সহ)
৯। ইমহফ কোন
১০। আইপিএস/সােলার সিস্টেম
১১। রসল্ট
১২। মােলাসিস/গুড়
১৩। সিএসিও৩/চুন
১৪। প্রােবাইটিক
১৫। ফিড
১৬। মাছের পােনা
১৭। মেজার স্কেল

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছের ট্যাংক তৈরী:-

বায়ােফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে প্রথমে যেটার প্রয়ােজন সেটা হচ্ছে মাছের ট্যাংক। মাছের ট্যাংক গােলাকার রাখাই উত্তম

কিন্তু আমরা চারকোনা ট্যাংকেও বায়োফ্লক মাছ চাষ করতে পারি। আপনি ট্যাংক তারপুলিন অথবা সিমেন্ট
দুইভাবেই করতে পারেন। ট্যাংক তৈরী আহামরি কোন ব্যাপার না নিজের মতাে করে করলেই হলাে। যেমন
আপনি ৫ইঞ্চি গাথুনি দিয়ে চারফিট উচু হাউজ করতে পারেন। আপনি রডের বেড়া করে তারমধ্যে তারপুলিন
দিয়ে করতে পারেন। ঘরের বাইরে খােলা মাছে করতে পারেন। ঘরের ভেতরে করতে পারেন। ট্যাংকের
উপরে পানি রােধক ব্যবস্থা রাখলেই হলাে।

আউটলেট

L= সিমেন্ট ট্যাংকক

তারপুলির ট্যাংক

কিভাবে  বায়োফ্লক ট্যাংক সেটাপ করবেন

১। সিদ্ধান্ত নিন আপনি কত লিটারের ট্যাংক করবেন। সহজ হিসাব হচ্ছে প্রতি স্কায়ার কিউবে ২৮ লিটার
পানি ধরে এটা গাণিতিক হিসাব। আপনি যদি ১৩x১৩ স্কয়ার ফিট ট্যাংক তৈরী করেন তাহলে পানি ধরবে
১০০০০লিটার। গাণিতিক হিসাবে পানি যদিও বা বেশী ধরে।

২। যদি আপনি ইট দিয়ে তৈরী করেন তাহলে ভেতরের প্লাস্টারটা যতটা সম্ভভ মসৃন করে নিবেন। যদি সম্ভভ
হয় নিচে ও চারিপাশে পলিথিন বিছিয়ে দিবেন।

৩। যদি আপনি তারপুলিন/পলিথিন ট্যাংক করেন তাহলে খেয়াল রাখতে হবে আপনার তারপুলিন/পলিথিন
পানির প্রেশার নিতে সক্ষম কিনা এবং কোন প্রকার ফুটো আছে কিনা।

TDS/Salinity কি ?

স্যালেনিটি শব্দটা অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও আসলে বায়ােফ্লকে একটি প্রথম ধাপেই পরে
অর্থাৎ ওয়াটার প্রিপারেশনের সময় আমরা যে রসল্ট প্রয়ােগ করি সেই রসল্ট মিশ্রনের পর তার
মাত্রাটাকে Salinity বা লবনাক্ততা বলি। আসলে আমরা প্রয়ােগ করি লবণ কিন্তু চেক করি TDS
(total dissolved solid)। যেখানে আমাদের পানীয় পানিে ০% স্যালিনিটি থাকে কিন্তু এলাকা
ভেদে ৩০০-৭০০ পর্যন্ত TDS থাকে তাহলে কিভাবে তা পরীক্ষা করবাে। Salinity পরিমাপ PPT
(Parts Per Thousand) এবং TDS পরিমাপ PPM (Parts Per Million)| রসল্ট যেটা সমুদ্র
থেকে সরাসরি কোন ধরনের রিফাইন ছাড়া, যেটা আয়ােডিন মুক্ত এবং সাধারণত গরুকে খাওয়ানাে
হয় সেটাই রসল্ট। আয়ােডিন যুক্ত লবণ প্রয়ােগে ফ্লকের কার্যকারিতা কমে বা নষ্ট হয়।


Salinity মিটার না থাকলে কিভাবে TDS এ কনভার্ট করতে পারি
Salinity পরিমাপ করি PPT দিয়ে TDS পরিমাপ করি PPM দিয়ে
1PPT=1000PPM

আপনার নরমাল পানির টিডিএস বাদ দিয়ে যদি লবণ দেয়ার পর

আপনার টিডিএস ১০০০ আসে তাহলে বুঝতে হবে
পানিতে Salinity পরিমান 1PPT


আরও সহজ ভাষায় ১০০০লিটারে ১ কেজি রসল্ট =১ PPT

আপনার ট্যাংকে Salinity-র প্রয়ােজনীয়তা আছে। কম Salinity হলেও চলবে কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে
যাতে Salinity উপরােক্ত চাহিদার বেশী যাতে না হয় এতে আপনার মাছের ট্যাংকের ক্ষতি হতে পারে।

Salinity-র উপকারিতা

১. অক্সিজেন পানিে ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেন বাড়তে বা কমতে দেয়না ।
২. পানির পিএইচ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
৩. মাছের ধকল দূর করে।

৪. মাছের খাবার হজমে সহায়তা করে।

৫. NH3 কে বাড়তে বাধা প্রদান করে ।Nitrite কমাতে সাহায্য করে।
৬. লবণাক্ততায় NACL (NAY/CL) পরস্পর একে অপরকে আকর্ষন করার কারণে ফ্লক তৈরীতে
সহায়তা করে।

আপনার মাছের ট্যাংকে পিএইচ এর প্রভাব:-

পিএইচ ৭ কে নিউট্রাল পয়েন্ট ধরা হয় ২৫সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায়।
যেহেতু আমাদের দেশের টেম্পারেচার ৩০ এর উপরে সেক্ষেত্রে ৭.৫ কে নিউট্রাল ধরা যায়।
পিএইচ কমে গেলে : ও সিএসিও সরাসরি পানিের  সাথে মিশিয়ে বা পাথরের চুনের পানির একাধিকবার
ফেলেদিয়েইদিন ভিজিয়ে রেখে তারপর দিতে হবে প্রতি ১০০০লিটারে ১ টেবিল চামচ প্রয়ােগ করতে হবে।

পিএইচ বেড়ে গেলে : যদি ট্যাংকে মাছ থাকা অবস্থায় পিএইচ বেড়ে যায় তাহলে তেতুল ভিজিয়ে রেখে
তার পানি প্রতি ১০০০লিটারে ১ টেবিল চামচ প্রয়ােগ করতে হবে।

প্রয়ােগের ২ঘন্টা পর পিএইচ চেক করতে হবে।

পিএইচ কম বেশীর লক্ষণ :-

১। পিএইচ এর মাত্রা কম হলে মাছের ফুলকা দিয়ে পিচ্ছিল পদার্থ বের হওয়া এবং ফুলকা ধীরে ধীরে
কাজ বন্ধ করে দেয়।
২। পিএইচ এর মাত্রা বেশি হলে মাছের চোখ রক্ত বর্ণ হওয়া এবং করনিয়া নষ্ট হওয়া, চামড়া কুচকে যাওয়া।
৩। Abnormal সাতার কাটা ও ডানা ঝাপটানাে।
৪। ধকল বা খাটুনি এবং অবশেষে মৃত্যু।
৫। রােগাক্রান্ত হওয়া এবং কম উৎপাদন ও মাছের বর্ধন ধীরে হওয়া.

পিএইচ ৬=১০ গুন বেশী হাইড্রোজেন আয়ন পিএইচ ৭ এর চাইতে।
আবার পিএইচ ৫=১০০গুন বেশী হাইড্রোজেন আয়ন পিএইচ ৬ এর চাইতে।
আবার পিএইচ ৪=১০০০গুন বেশী হাইড্রোজেন আয়ন পিএইচ ৫ এর চাইতে।

তার মানে এখানে ৫.৯ হলেই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
Ammonia-নীরব ঘাতক:-

সহজ ভাষায় Ammonia একটি গ্যাস। বায়ােফ্লকে মাছের খাবারের Ammonia সাথে গভীর সম্পর্ক
রয়েছে। মাছ খাদ্য গ্রহণের পর তার ফুলকা ও মলমূত্র দিয়ে Ammonia নিঃশ্বরণ করে। অধিক খাবার
প্রয়ােগ ও বেশী প্রােটিন যুক্ত খাবার প্রয়ােগের কারণে Ammonia বা NH3; তৈরী হয়। এজন্যই আমরা
লােপ্রােটিন কিড মাছকে খাওয়ায়। পানিের সাথে এবং বেশী খাবার প্রয়ােগের। পানির সাথে Clorin বা
Cloramine আসলেও অ্যামােনিয়া বৃদ্ধি পায়।

Ammonia প্রকার:-

 আমাদের মাছের ট্যাংকে দুই ধরনের Ammonia পায়। NH3(Ammonia) ও NH4 (Ammoniam)।

এই NH4 ক্ষতিকর না কিন্তু আমাদের শত্রু হচ্ছে NH3;

 আমরা Ammoniaটেস্ট কিট দিয়ে আমরা টেস্ট করে যে ফলাফল পাই সেটাকে বলে TAN (Total
Ammonia Nitrogen) অথাৎ NHও NH3 দুটোই এর মধ্যে থেকে আমাদেরকে বের করতে হবে
NH; মান বের করতে হবে। এবং সেই মােতাবেক কার্বন সাের্স দিতে হবে।

Ammonia নিয়ন্ত্ৰণঃ-

 শুরু থেকে যদিন প্রয়ােজনীয় কার্বণ সাের্স দিয়ে থাকেন তাহলে এমােনিয়া কখনই
আপনার ট্যাংকে হবেনা। যদি কখনও ২ বা এর অধিক এমােনিয়া হয় তাহলে কার্বণ সাের্স ও প্রয়ােজনে
পােৰাইটিক পােয়গ করতে হবে। তারপরও যদি নিয়ন্ত্রণ না হয় তাহলে ৫০% পানি ড্রেনেজ করে নতুন পানি
এ্যাড করতে হবে। এবং প্রয়ােজনীয় লবন, চুন, মােলাসিস ও প্রােবাইটিক দিতে হবে। সেই সাথে খাবার
কয়দিন একটু কম প্রয়ােগ করতে হবে।

একটি উদাহরণঃ

ধাপ-১  Ammonia কিট দিয়ে টেস্ট করে রেজাল্ট পেলাম TAN (Total AmmoniaNitrogen) = 2.O mg/L (mile gram per Litter)
ধাপ-২  Water Temperature=75°F (24°C)
ধাপ-৩  Water plI-8.0.
ধাপ-৪ Factor Chart থেকে Water Temperature এবং Water pH এর মিলনস্থল পাই-  .0502
ধাপ-৫   TAN X Factor Chart Result 2.0 x .05021.0 mg/L = 0.10042 mg/L
ফলাফল-আপনার পানিে  NH (un-ionized ammonia) পরিমান ০.১০০৪২mg/L  সর্ব প্রথমে আমরা এ্যামােনিয়া টেষ্ট কিট এর মাধ্যমে সিস্টেমের এ্যামােনিয়া তথা- TAN
পরীক্ষা করে নিব এবং তারপর সিস্টেমের পিএইচ ও তাপমাত্রা পরীক্ষা করে চার্ট থেকে তা বের করে প্রাপ্ত এ্যামােনিয়ার সংখ্যার সাথে তা গুন করলে "NH3";এর ফলাফল পাব।


Nitrite ঘাতক:-

 Nitrite (NO2) কে ঘাতক বলা হয় এটা নীরব বা ধীর গতির ঘাতক না।
আপনার মাছের ট্যাংকে অক্সিজেনের অভাব এবং অতিরিক্ত খাবার প্রয়ােগে পানিতে Nitrite (NO2) তৈরী হয়। মাছের ট্যাংকের এমন জায়গা যেখানে অক্সিজেন যাচ্ছে না বা খাবার বা বজ্য
আছে সেখানে অক্সিজেন যাচ্ছে না ফলে Nitrite (NO) তৈরী হচ্ছে।
সাধারণত রুই, কাতল ও কমন কার্প এরা ০.২৫ppm থেকে ১ppm পর্যন্ত সহ্য করতে পারে এবং পাঙ্গাস, মাগুর
ক্যাসমাছের জাতীয় মাছ ২ppm সহ্য করতে পারে। Nitrite বেড়ে গেলে দেখবেন আপনার
মাছের ট্যাংকের মাছের ফুলকা ও মুখ খুব দ্রুত চলছে এবং শিং মাছের ক্ষেত্রে সব মাছ গায়ে গায়ে
লেগে নিস্তেজ হয়ে ভেসে থাকে।

করণীয়ঃ Nitrite (NO) কিট বাজারে পাওয়া যায়। এই কিটের সাহায্যে পানি পরীক্ষা করে
এর ফলাফলের ভিত্তিতে ২০% পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি এ্যাড করে নতুন পানির পরিমান
মত লবন ও সিএসিও৩ বা চুন প্রয়ােগ করতে হবে। অক্সিজেন বৃদ্ধি ও খাবার কম দিতে হবে ।
আপনার প্রােবাইটিক বৃদ্ধি করতে হবে।

 Nitrate (NO) এটা ধীর গতির ঘাতক বলে কারণ
একটা খুব ধীরগতিতে বাড়ে টেস্ট কিটে এটার ০-১৬০ppm কিন্তু এটা যদি আপনার ট্যাংকে
বাড়তে থাকে তবে এটা কমানাের জন্য সব পানি ফেলে দেয়া ছাড়া কোন উপায় নাই। তবে
এটা নিয়ে অতটা টেনশন করার দরকার নাই এটার প্রভাব অনেক দেরিতে পরে।

করণীয়ঃ Nitrate (NO3) কিট দিয়ে পানি পরীক্ষা করে দেখতে হবে পরিমান কত। তারপর
পানি চেঞ্জ করতে পারি, মাছ অন্য ট্যাংকে সরিয়ে ফেলতে পারি বা ক্ষুদি পানা ব্যবহার করতে পারি।

C:N Ratio:-

C:N Ratio বলতে বুঝায় কার্বণ সাের্স ও নাইট্রোজেন এর আনুপাতিক হারকে অর্থাৎ সিস্টেম থেকে
প্রাপ্ত একভাগ NH3 কে নির্মূল করতে কত ভাগ কার্বন সাের্সের প্রয়ােজন হয় তাকে C:N Ratioবলা
হয়।
গবেষনায় Carbon : Nitrogen কে 1:10, 1:15. 1:20 ভাবে পরীক্ষা করা হয় এবং
ফলাফল 1:10 ভালাে পাওয়া যায়। অথাৎ ১ভাগ নাইট্রোজেন সমাপ্ত করার জন্য ১০ ভাগ কার্বন
দরকার হয়।

উদাহরণ-১

আপনার মাছের ট্যাংকে বর্তমানে মাছ আছে ৫০০ কেজি তহলে তাকে প্রতিদিন
ওজনের ৩% খাবার দেন =১৫ কেজি। যদি আপনার খাবারে ৩০% প্রােটিন থাকে তাহলে ১৫
কেজি খাবারে প্রােটিন থাকে=৪ কেজি ৫০০ গ্রাম। ৪ কেজি ৫০০ গ্রাম খাবারের ১৬%
নাইট্রোজেন হিসেবে থাকে। ৪৫০০গ্রাম x১৬%=৭২০ গ্রাম নাইট্রোজেন। আবার এই ৭২০গ্রাম
নাইট্রোজেনের মধ্যে মাছ ৭৫% দেহে সংরক্ষণ করতে পারেনা। তাহলে ৭২০গ্রাম x৭৫%=৫৪০গ্রাম। তাহলে ৫৪০ গ্রাম নাইট্রোজেন সমাপ্ত করার জন্য আপনাকে
৫৪০x১০=৫৪০০গ্রাম কার্বন সাের্স প্রয়ােগ করতে হবে।

উদাহরণ-২

আপনার মাছের ট্যাংকে বর্তমানে মাছ আছে ৫০০ কেজি তহলে তাকে প্রতিদিন
ওজনের ৩% খাবার দেন =১৫ কেজি। যদি আপনার খাবারে ২০% প্রােটিন থাকে তাহলে ১৫
কেজি খাবারে প্রােটিন থাকে=৩কেজিক। ৩ কেজি খাবারের ১৬% নাইট্রোজেন হিসেবে থাকে।
৩০০০ গ্রাম x১৬%=৪৮০ গ্রাম নাইট্রোজেন। আবার এই ৪৮০ গ্রাম নাইট্রোজেনের মধ্যে মাছ
৭৫% দেহে সংরক্ষণ করতে পারেনা। তাহলে ৪৮০ গ্রাম x৭৫%=৩৬০গ্রাম। তাহলে ৩৬০ গ্রাম
নাইট্রোজেন সমাপ্ত করার জন্য আপনাকে ৩৬০x১০=৩৬০০গ্রাম কার্বন সাের্স প্রয়ােগ করতে হবে।
করণীয় আপনার মাছের ট্যাংকে মাছ ছাড়ার দিন থেকে প্রতিদিনের খাবারের ৪০% মােলাসিস দিন
প্রতিদিন এভাবে একমাস আপনার ট্যাংকের ব্যকটেরিয়াগুলাে স্ট্যাবল হওয়া পর্যন্ত এবং মাছ
হার্ভেস্টের পূর্বের একমাস মেলাসিস প্রয়ােগ করুন। তাতেNH"সম্পুর্ন ভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে।


রসল্ট কি:-

রসল্ট হচ্ছে যেটা সমুদ্র থেকে প্রাপ্ত চাষীদের মাধ্যমে সরাসরি আমরা পাই। যেটাতে কোন রকম
আয়ােডিন নাই। যে লবন সাধারণত আমরা গরুকে খাওয়ায়।

DO (Dissolved Oxygen)ডিও মিটার

আপনার মাছের ট্যাংকের পানিে কি পরিমান অক্সিজেন আছে সেটাই (Dissolved Oxygen) এই (Dissolved Oxygen)মাছ চাষেকম বা বেশী দুটোই ক্ষতিকর। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে পানির DO যেন সব সময়
4-6 ppm থাকতে হবে। কি ভাবে বুঝবেন ppm কত তাহলে DO কিট দিয়ে পানির DO চেক করুন।
যদি DO কিট না থাকে তবে পানির টেম্পারেচার চেক করুন যদি পানির টেম্পারেচার স্বাভাবিকের চাইতে
কম থাকে তাহলে বুঝতে হবে DO বেশী আছে। উচ্চ ঘনত্বে মাছ চাষের প্রথম শর্তহচ্ছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন
সরবরাহ। অনেকের মাছ হা করে মারা যায় এটা দেখে বুঝতে পারবেন আপনার ট্যাংক অক্সিজেনের অভাব আছে।

DO Meter ডিও মিটার

বায়ােফ্লক পদ্ধতিতে যদি কোন কারণে মেশিন নষ্ট হয় বা কারেন্ট চলে যায় তবে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত ফ্লক ঠিক থাকে
এবং মাছর কিছু হয়না। আপনার ইলেকট্রিসিটি যদি দিনে একবার দুইবার যায় এবং ১ বা ১/২ পর চলে আসে
তাহলে আপনার আইপিএস লাগানাের দরকার নাই কিন্তু ব্যাকআপ এয়ার পাম্প অবশ্যই রাখতে হবে যদি
নষ্ট হয়ে যায়।
বায়ােফক পদ্ধিতিতে মাছ চষে খাদ্য নির্বাচন ও প্রয়ােগ বিধি।

মাছের খাবার ক্রয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে লােপ্রােটিন ফিড এবং ভালাে কোম্পানির যেখানে
পরিবেশগত দিকটা ভালাে থাকে। নিম্নে উল্লেখিত মাহে চারটি স্টেজ থাকে প্রি-স্টাটার, স্টাটার, গ্রোয়ার,
ফিনিশার। এফসিআর অনুযায়ী মাছের বয়স অনুযায়ী খাবার প্রদান ও কাশিত ওজন। খাবার প্রয়ােগ মুঠে মুঠে
প্রয়ােগ করুন। তাদের খেতে দিন শেষ হলে আবার দিন।
বিকল্প খাবার হিসেবে ক্ষুদি বা কুটি পানাঃ

আমাদের দেশে মােট তিন ধরণের পানা জন্মায় ১। সুজি পানা
সাধারণত এই পানাগুলাে বদ্ধ ও নােংরা পানিাশয়ে দেখা

১। সুজিপানাঃ দেখতে সুজির মত তাই একে সুজিনা বলে এটা স্টাটার পােনার জন্য ব্যবহার
করতে পারি।

২। তেতুলপানাঃ দেখতে তেতুল পাতার মত তাই একে তেতুলপানা বলে এটা গ্রোয়ার ও
ফিনিশারদের জন্য ব্যবহার করতে পারি।

৩। সােনাপানাঃ সােনাপানা এটা গােয়ার ও ফিনিশারদের জন্য ব্যবহার করতে পারি।


বায়োফ্লকে ফ্লক ব্যবস্থাপনাঃ

১. আপনার মাছের ট্যাংকে প্রােবাইটিক প্ৰােয়গ করেছেন। প্রােবাইটিক গ্রো করার বয়স হয়েছে কিন্তু ফ্লক গ্রো করছেনা। আপনার এয়ার সিস্টেম বা অন্যান্য সকল শর্তাদি পূরণ করেছেন। বা একই প্রোবাযোটিক অঞ্চল ভেদে কোথায় ফ্লক হচ্ছে আবার কোথাও হচ্ছেনা। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় আপনার ব্যবহৃত পানিতে অবশ্যই কোন জীবানু আছে যাতে ফ্লক গ্রো করতে দিচ্ছেনা। আপনি স্থানীয় ল্যাবে আপনার পানি পরীক্ষা করার কোন সমস্যা আছে কিনা।

২. এসিও অনেকে বুঝতে পারছেন না। কারণ কাঙ্খিত চাক তৈরী হচ্ছে না তাতে টেনশন করছেন। এফসিও পদ্ধতিতে আপনার ট্যাংকে ৩০এমএল ক্লক তৈরী হতে সময় নিবে। যদি মনে করেন ফ্লক দ্রুত নিবেন তাহলে এফসিও বেশী করে প্রয়ােগ করুন কোন সমস্যা নাই। যতক্ষণ না ৩ এমএল হচ্ছে প্রয়ােগ করতে থাকুন তাতেও সমস্যা নাই।

৩. যদি মনে করে ২৫০ গ্রাম প্রােৰাইটিকের ২০০ গ্রাম ওয়াটার প্রিপারেশন করার সময় দিয়ে দিন। ৫০০গ্রাম প্রােবাইটিকের ৪০০গ্রাম দিয়ে দিন। আটদিন এয়ারেশন দিয়ে মাছ ছাড়ন। বাকী প্ৰবাইটিকটুকু হাতে রাখুন আপদকালীন সময়ের জন্য।

৪. ক ৪০এমএল এর উপরে হলে কিছু পানি ড্রেনেজ করে নতুন পানি এড করুন।
বায়োফ্লক মাছ চাষে রােগ ও চিকিৎসাঃ

ৰায়ােফ্লক মাছ চাষে মাছের রােগ ৯৯% হয়না বা হওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে। কারণ আপনার মাছের ট্যাংক গুড ব্যকটেরিয়া
দিয়ে ভরা। আপনার প্রােবাইটিকে গুড ব্যকটেরিয়া এবং বিভিন্ন এনজাইম থাকে যা মাছের ট্যাংকের মাছকে
অভ্যন্তরিন ভাবে শক্তিশালী করে আবার তাদের শরীরে একটি আবরণ সৃষ্টি করে যা অন্য কোন জীবানু সহজে
তাদের স্কিন টাচ করতে পারেনা। আরও সহজ ভাবে যদি আপনার শরীরে এখন রােটারি, নিমােনিয়া, হাম,
বসন্ত, হেপাটাইটিস-বি এই সৰ টিকা দিচ্ছে তাতে করে টিকার জীবানুগুলাে উল্লিখিত রােগ সমূহের জীবানুর
সাথে লড়াই করতে এবং তাদের কে প্রতিরােধ করতে সক্ষম। টিকা দেয়ার পরও দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষের
এই সকল রােগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাহলে বুঝতে হবে আপনার টিকাটি সঠিকভারে সংরক্ষণ বা প্রয়ােগ হয়নি।
এখানে টিকা কিন্তু প্রতিরােধক সে প্রতিশেধক না। তাহলে আপনার মাছের ট্যাংকে বিলিয়ন বিলিয়ন প্রতিরােধক
দেয়া আছে তাহলে আপনার মাছের ট্যাংকে রােগ কেন হৰে বরং কিছু অসুস্থ মাছ ছাড়লেও তা সুস্থ্য হয়ে যাবে
যদি আপনার সিস্টেম সঠিক ভাবে কাজ করাে।

১। যদি আপনার মাছের ট্যাংকে মাছের কোন রােগ হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার মাছের ট্যাংকের পানির
প্যারামিটার ঠিক নাই বা আপনার প্ৰােৰাইটিক কাজ করছেনা।

২। আপনার ট্যাংকের অ্যামনিয়া ও নাইট্রাইট বৃদ্ধি পেলে আপনার মাছের চোখ, ফুসকা, কিডনী, লিভার
ড্যামেজ করে দেয় এবং মাছ মারা যায় তার মানে এটা রােগ বলা যাবেনা।

৩। অনেকে বলে আমার ট্যাংকের মাছ সব হা করে মরে আছে। তারমানে আপনার ট্যাংকে অক্সিজেনের
অভাব একারণে মাছ মারা যাচ্ছে। এটাকে রােগ বলা যাবেনা।


৪। যদি আপনি পােনা ছাড়ার পর সৰ পােনা একসাথে খাবার পাইনা আবার কিছু পােনা খাবার না
পেয়ে দূর্বল হয়ে যায় এভাবে কিছু মাছ মারা যাবে এটাকে রােগ বলা যাবেনা।

অনেকে বলে মাছের গায়ে সাগ, মাছের লেজ পচে যাহে, মাছের গায়ে সাদা সাদ কি লেগে আছে মানেই
ছত্রাক জনিত রােগটা আপনার মাছের ট্যাংকে দেখা দিয়েছে। এটা মুলত ছত্রাক জনিত রােগ। এটাও হওয়ার
কারণ যদি আপনি পােনাকে ছাড়ার আগে স্যানিটাইজেশন না করেন বা এই ছাত্রক জনিত রােগ পােনার
সাথেই এসেছে সেক্ষত্রে মাছ মারা যাবে।


ছাত্রাকজনিত রােগের লক্ষণঃ


১। মাছে গায়ে সাদা সাদা কিছু লেগে থাকে।
২। মাহো গায়ে দাগ দেখা যায়।

৩। মাছের লেজে ক্ষত হয়।


প্রতিকারঃ


এটা যদি ট্যাংকে ছড়িয়ে পরে এবং প্রতিরােধ করা সম্ভব হচ্ছে না তাহলে আপনাকে অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ১০০-
১২৫ মিলিগ্রাম প্রতি কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে ৭দিন দিতে হবে।

সতর্কতাঃ যখন আপনি আপনার ট্যাংকে অক্সিটেট্রাসাইক্লিন বা সালফার জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করবেন আপনার
মাছের ট্যাংকের সৰ চুক নস্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ৭দিন পর পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি এ্যাড
করে নতুন করে ক্লক তৈরী করতে হবে।
প্রােবায়োটিক

Probiotics সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভূল একটি ধারণা আছে সেটি হচ্ছে Probiotics এবং
Antibiotics একই বিষয়। তাদের উদ্দ্যেশে বলছি Antibiotics হচেছ ক্যামিকেল যা জ্বর, ঠান্ডা,
কাশি ইত্যাদি রােগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয়। Antibiotics খারাপ ব্যকটেরিয়াকে মারার সাথে
ভালাে ব্যকটেরিয়ার মেরে ফেলে। কিন্তু পক্ষান্তরে Probiotics ভালাে ব্যকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং
শুধু সে খারাপ ব্যকটেরিয়া গুলােকেই ধ্বংস করে। মূলত ইহা প্রতিরােধক হিসেবে কাজ করে। যার
ফলে বায়ােরুক ট্যাংকে মাছের অসুখ নাই বললেই চলে। যেমন মানব দেহের জন্য lacto
Bacillus Bacteria খুবই কার্যকর। তেমনি মাছ চাষের জন্য যে Bacteria গুলাে ব্যবহার করা
হয় সেটার সমন্বয় হচেছ বায়ােফ্লক প্রােবায়ােটিক । কোন প্রােবাইটিক ২৫০গ্রাম আবার কোন
প্রােবাইটিক ৫০০ গ্রাম কিন্তু দেখা যাচ্ছে দুটোর ব্যাকটেরিয়ার পরিমান একই। আপনি যখন
প্রােবাইটিক ব্যবহার করবেন ২৫০ গ্রাম যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক ৫০০ গ্রামেরটা তার দ্বিগুন প্রয়ােগ
করবেন বাকী সব ঠিক থাকবে। প্রােলাইটিক কেনার সময় Bacillus Subtilis, Bacillus
Lichniformis, Bacillus Megaterium, Bacillus Pumilis, Bacillus Polymyxa az

ব্যকটেরিয়া গুলাের উপস্থিতি থাকলেই আমরা কিনতে পারি এজন্য অন্য কারও দারস্থ হতে হবে না। আমাদের
দেশে বায়ােফাত একোয়া (নােভারটিজ) এবং পন্ড কেয়ার (এসকেএফ) এই দুইটি প্ৰােৰাইটিক এবং ইন্ডিয়ায় এভারফ্রেশ গ্রে প্রােবাইটিক ব্যবহার করতে পারেন।


ট্যাংকে পােনা ছাড়ার পূর্বে করনীয়ঃ

১. প্রথমে মাছ সংগ্রহের জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশ্বস্থ কোন হ্যাচারি সিলেক্ট করতে হবে।

২. নিজে উপস্থিত হয়ে মাছের চঞ্চলতা খুব ভালাে করে খেয়াল করতে হবে।

৩. মাছে কোন স্পট বা দাগ আছে কিনা খেয়াল করুন। কারণ রেনুর পুকুর ব্যবস্থাপনা ঠিক না হলে অনেক সময় ছত্রাক জনিত রােগ সহ বাচচা গুলােকে বিক্রি করে।

৪. পলিপ্যাক করার সময় অক্সিজেন দিচ্ছে কিনা ভালাে করে দেখে নিন। অনেক হ্যাচারী অক্সিজেনের জায়গায় শুধু বাতাস দিয়ে দেয়।
 ট্যাংকের পানিের উপর পলিপ্যাক সহ ১-২ঘন্টা পানিের  উপর ছেড়ে রাখুন। কারণ আপনি যেখান থেকে পােনা সংগ্রহ কমেছেন সেখান কার টেম্পারেচার ও পিএইচ এবং আপনার মাছের ট্যাংকের টেম্পারেচার ও পিএইচ একনা। তার তাদের সহ্য করার পানিতে রাখা। আপনি  ট্যাংকের পানি বড় কোন ড্রামে প্রতি ৫০ লিটার পানিে ১ চামুচ হলুদ ও ২৫ গ্রাম রসল্ট মিশিয়ে দিন। মাছগুলাে ছাকিনায় ঢেলে সেই পানিে ৩০মি. রাখুন তারপর ছাকনাতে করে আস্তে আন্তে ট্যাংকে ছাড়ুন  অথবা ১০-২০ সেকেন্ড পটাশ পানিে রেখে তারপর ট্যাংকে
ছাড়ুন ।

মাছ সংগহ :-


প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কতটুকু মাছ আমি শেষে নিব। আমরা সাধারণত ৬০০ কেজির টার্গেটে মাছ ছাড়বাে

১। শিং ও কৈ মাছের কাশিত ওজন যদি চাই ১০০গ্ৰাম, তাহলে আমাদের পােনার প্রয়ােজন হচ্ছে ১০০০০
লিটারে ৬০০০পিস।

২। মাগুর মাছের কাঙ্খিত ওজন যদি চাই ১৫০ গ্রাম,তাহলে আমাদের পােনার প্রয়ােজন হচেছ ১০০০০
লিটারে ৪০০০ পিস।

৩। পাবদা ও গুলশা যদি ওজন চাই ৮০গ্রাম, তাহলে আমাদের পােনার প্রয়ােজন হচ্ছে ১০০০ লিটারে ৭৫০০

৪। তেলাপিয়া : যদি ওজন চাই ২৫০গ্রাম,তাহলে আমাদের পােনার প্রয়ােজন হচ্ছে ১০০০ লিটারে ২৪০০ পিস।
  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোথায়
  • বায়োফ্লক ট্রেনিং
  • বায়োফ্লক ট্রেনিং বই

  • বায়োফ্লক ট্রেনিং কুমিল্লা

  • বায়োফ্লক ট্রেনিং সেন্টার ঢাকা

  • সরকারিভাবে বায়োফ্লক ট্রেনিং ঢাকা

  • বায়োফ্লক সরঞ্জাম

  • বায়োফ্লক ট্রেনিং সেন্টার সিলেট

  • বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বই pdf

  • মাছ চাষ প্রশিক্ষণ ঢাকা

ফিড ব্যবস্থাপনা :-


১। মাছ ছাড়ার ১২ ঘন্টা পর তাদের কে প্রথম খাবার প্রয়ােগ করবেন
২। প্রথম ২-৩দিন কাঙ্খিত % এর চাইতে একটু কম খাবার দেবেন
৩। খাবার প্রতিদিন ২-৩ বার দেবেন
৩। প্রতিদিন খাবারে ৪০% মেলাসিস প্রয়ােগ করবেন
৪। প্রতিদিন মাছের ট্যাংকে ৫০০গ্রাম এফসিআর প্রয়ােগ করবেন



FCOকি?

FCOমানে হচ্ছে Fermented Carbon Organic (প্রাকৃতিক গাজন পদ্ধতি)। এই পদ্ধতিতে সুপ্ত অবস্থায়
থাকা ব্যাকটেরিয়াকে কালচার করে ট্যাংকে প্রয়ােগ করা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতি দিন আপনার
ট্যাংকে কিছু প্রােবাইটিক ও মােলাসিস প্রয়ােগ করা হয়। এতে করে আপনার মাছ বড় হতে থাকে এবং সাথে
সাথে আপনার প্রােবাইটিক ফ্লক বাড়তে থাকে। এফসিও পদ্ধতি আপনার ট্যাংকে সবসময় শক্তিশালী।
ব্যাকটেরিয়া থাকে অথাৎ শুরু থেকে হার্ভেস্ট পর্যন্ত।

প্রতি লিটার পানিে ৫০ গ্রাম প্রােবায়ােটিক (৫০০ গ্রামের প্যাকেট হলে ১০০ গ্রাম) এবং ৬০০ গ্রাম করে
মােলাসেস ও ৬০০ গ্রাম আয়ােডিন ছাড়া লবণ ২০ লিটার পানিের সাথে খুব ভালাে করে মিশিয়ে নিতে হবে।
যদি দ্রুত ব্যকটেরিয়া এ্যাকটিভ করতে চান তাহলে এয়ার টাইট করে তিনদিন রেখে দিন। যদি দেরিতে
প্রয়ােজন হয় তাহলে ঢাকনা ছাড়া এয়ারেশন দিন ৮দিন পর এফসিও কমলা রং ধারণ করলে সেখান থেকে ৫-
৭ লিটার মাছের ট্যাংকে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে অথবা পরে মাছ ছাড়তে পারেন। এভাবে প্রতি দিন ৫০০ এম.এল
এফসিও মাছের ট্যাংকে প্রয়ােগ করতে হবে। প্রয়ােজনে ২০০এমএল মােলাসিস একটু পানিে গুলে মাঝে
মাঝে এফসিও পাত্রে দিতে পারেন। এভাবে প্রতি মাসে এফসিও তৈরী করে মাছের ট্যাংকে প্রয়ােগ করতে হবে।

বয়ােফ্লক মাছ চাষে অগানিক সাের্স সমূহ একটু কম বা বেশী হলে কোন সমস্যা নাই। কেজির জায়গাই
১২০০ গ্রাম হলে কোন ক্ষতি হবেনা আপনার ট্যাংকের ! কিন্তু রাসায়নিক সমূহ অবশ্যই মাপমত দিতে হবে।
এফসিও কোন সাইন্সন্টিফক বিষয় না এটা আমাদের তৈরী একটা পদ্ধতি মাত্র যেখানে ব্যকটেরিয়া সমূহকে
ট্যাংকে ছাড়ার আগেই জীবন্ত করে রাখি এবং প্রতিদিন এই জীবন্ত ব্যকটেরিয়া সমূহ ট্যাংকে অল্প অল্প করে
দিই। এফসিও তৈরী করতে প্রােবাইটিক মােলাসিস এবং লবন ব্যবহার করি। এখানে মেলাসিসের পরিমান
কম বা বেশী হলে বা লবন একটু কম বেশী হলে ক্ষতি হবে এমন ভাবার কিছু নাই কিন্তু প্রােবাইটিকের
পরিমান ঠিক থাকত হবে। এফসিও ৫লিটারে জায়গাই ৭ লিটার বা প্রতিদিন ৫০০গ্রাম এর জায়গাই ৬০০গ্রাম
দিলে আপনার মাছের ট্যাংকের কোন ক্ষতি হবেনা। এফসিও অনেক ভাবে করা যায় এমন কি খাবারের সাথেও তৈরী করা যায়।

এয়ারপাম্প/এয়ার কম্প্রেশার :-

বায়োফ্লক মাছ চাষে এয়ারেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝেশুনে এয়ার পাম্প
কিনতে হবে। এয়ার পাম্পের (LPM) যেমন দেখতে হবে সাথে প্রেশার Kpa/Psi/Mpa ঠিক আছে কিনা
সেটাও দেখতে হবে।



১০০০০ লিটার ট্যাংকের জন্য আপনার ৮০ LPM এর এয়ার পাম্প প্রয়ােজন হবে

এবং কেনার সময় মিনিমাম প্রেশার  Kpa = 35 Kpa /PSI= 5 PSI/Mpa= 0,035Mpa

১. ওয়াটার প্রিপারেশন থেকে ফ্লক তৈরী পর্যন্ত ১৫ দিন=৭০-৮০ LPM প্রয়ােজন হবে।

২. পােনা ছাড়ার পর যেহেতু ট্যাংকে পানি ২ফিট থাকবে =৩০-৪০ LPM প্রয়ােজন হবে

৩. মাছ বড় এবং পানি বৃদ্ধির সাথে=৭০-৮০ LPM প্রয়ােজন হবে

আপনার এয়ার স্টোনগুলাে অবশ্যই ন্যানাে অথবা মাইক্রো হতে হবে।

টেম্পারেচারঃ

বায়োফ্লক  মাছ চাষের জন্য আদর্শ তাপমাত্র হচ্ছে ২০⁰থেকে ৪০⁰ সেন্টিগ্রেট। এক্ষেত্রে ২০ এর নীচে হলে
ফ্লক তৈরী হবেনা। যদিও কিছু ব্যাকটেরিয়া ১৫⁰ তেও গ্রো করে। ৪০° এর উপর গেলে ফ্লক নস্ট হওয়ার
সম্ভবনা বেশী। সবসময় থার্মোমিটার আপনার ট্যাংকের রাখতে হবে প্রয়ােজনে সেডের বাইরেও
একটা রাখতে হবে এবং তাপমাত্রা দুটোর সামঞ্জস্য আছে কিনা দেখতে হবে। শীতকালে মাছ চাষ না করাই
উত্তম। যদি কেউ চাষ করতে চান তাহলে গ্রীন হাউস করতে হবে অথ্যাৎ মােটা পলিথিন দিয়ে একটি
এয়ারটাইট ঘর বানাতে হবে ।এখন এই মাছ চাষের জন্য হিটার পাওয়া যাচ্ছে সেক্ষেত্রে হিটার ব্যবহার করতে
পারেন এবং প্রয়ােজনে ব্রুডার সিস্টেমে লাইট দিতে হবে। এটা অনেক ব্যয়বহুল।

বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ,বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ,বায়োফ্লক ট্রেনিং,মাছ চাষ,বায়োফ্লক মাছ চাষ,বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ,বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ উৎপাদন,বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ তিন গুন লাভ,বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ উচ্চ ঘনত্বে চাষ,বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ উৎপাদনের বিরল নজির,বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ,বায়োফ্লক,বায়োফ্লক প্রযুক্তি,বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ,বায়োফ্লোক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রশিক্ষণ,বায়োফ্লক ট্যাংক তৈরি,বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রশিক্ষণ,বায়োফ্লক তৈরি

Post a Comment

Let us know how you are feeling about this article by commenting.

Previous Post Next Post