বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ|বায়োফ্লকের গাইড
বায়োফ্লক কী
বায়োফ্লক প্রযুক্তি সাধারণত অল্প জায়গায় অধিক মাছ উৎপাদনের একটি কৌশল। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন এমনকি ইন্ডিয়াতেও এই চাষ পদ্ধতি এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। আমাদের দেশের আবহাওয়া এই পদ্ধতি চাষাবাদের জন্য অনেকাংশ অনুকূল। কারন আমাদের শীতকাল মাএ ২ মাস যখন ফ্লক উৎপাদনে একটু সমস্যা হতে পারে। অনেক দেশে শীতকাল ৪/৫/৬ মাস। যার কারনে সেই সব দেশে বায়োফ্লক প্রযুক্তি অনেক ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যাইহোক অনেকে গ্রুপে জানতে চেয়েছেন বায়োফ্লকে কোন প্রজাতির মাছ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায় ও কি পরিমাণ মাছ চাষ করা যায়। আসুন তাহলে এ বিষয় গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
বায়োফ্লকে কোন প্রজাতির মাছ চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়
বায়োফ্লকে শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা, চিংড়ি ও তেলাপিয়া জাতীয় মাছ চাষাবাদ করলে বেশী লাভবান হওয়া যায়। বিশেষকরে চিংড়ি ও তেলাপিয়া ফ্লক খেয়ে থাকে এজন্য এ জাতীয় মাছে খাবার খরচ অন্যন্য মাছের তুলনায় কম লাগে। আমাদের দেশে অনেকেই তেলাপিয়া চাষে সফল হয়েছেন। কারণ তেলাপিয়া মাছ যেকোন পরিবেশে সহজে নিজেকে মানিয়ে নেয়। যেমন অতিরিক্ত স্যালাইনিটি, অতিরিক্ত তাপমাএা , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দ্রুত বর্ধণশীলতা ইত্যাদি এ মাছের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তেলাপিয়া মাছটি ৪-৪.৫ মাসে বিক্রয় উপযোগী হয়। বায়োফ্লকে বছরে ২ টি হারভেষ্ট করা যায়। তবে তেলাপিয়াটি হতে হবে মনোসেক্স প্রজাতীর। আর শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা চাষাবাদটি একটু sensitive. পানির সবগুলো গুণাগুণ সবসময় ঠিক রাখতে হবে। বিশেষ করে Salinity বিষয়টি important. সব সময় salinity ১-১.৫ পিপিটি এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে। PH, এ্যমোনিয়া optimum রাখতে পারলে এ মাছ গুলো চাষাবাদ করে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব। এ জাতীয় মাছ গুলোও বৎসরে ২ টি হারভেষ্ট সম্ভব তবে বড় সাইজের পোনা ছাড়তে হবে এবং ঘনত্ব কম দিতে হবে। তবে যারা প্রথম চাষ শুরু করবেন তারা শুরুতে মনোসেক্স তেলাপিয়া দিয়ে শুরু করুন এর পরবর্তী শিং, মাগুর, পাবদা, গুলশা চাষাবাদ বুঝতে সহজ হবে এবং ঝুকি কম হবে। আর একটি কথা যারা এখনও শুরু করেন নি তারা অবশ্যই শীতের পর শুরু করবেন। শীতে ফ্লক এর সমস্যা হতে পারে।
বায়োফ্লকে অন্যান্য দেশ
বায়োফ্লকে ইন্দোনেশিয়াতে ১০০০ লিটারের বায়োফ্লকে তারা ১০০ কেজি মাছ উৎপাদন করে থাকে ৪/৫ মাসে। তবে আমাদের দেশেও হয়ত সম্ভব তবে ভালোমানের প্রবায়োটিক ও প্রবায়োটিকের adaptation দরকার। তবে আমাদের দেশে ১০০০ লিটার বায়োফ্লকে ৫০/৬০ কেজি উৎপাদন পাওয়া যাচ্ছে। তো আসুন এখন জানি কি পরিমান মাছ ছাড়ব তার হিসেব। ধরুন আপনার একটি ১০০০ লিটারের বায়োফ্লক আছে। আপনি তেলাপিয়া মাছ ছাড়বেন। আপনার প্রডাকশান টার্গেট ৬০ কেজি ৪ মাসে। তেলাপিয়া সাধারনত ৪ মাসে ২/৩ টায় কেজিতে আসে। যদি আপনি ২ টায় কেজিতে আনতে চান তাহলে ১২০ টি পোনা ছাড়ুন। আার যদি ৩ টায় কেজি আনতে চান তাহলে ১৮০ টি পোনা ছাড়ুন। কিছু মাছ মারা যেতে পারে তাই ৫% পোনা অতিরিক্ত ছাড়ুন। মাছের পোনাগুলো ছাড়ার সময় যেন ১৫০০-২০০০ পিসে ১ কেজি হয় সেদিকে খেয়াল করুন। শিং, পাবদা, গুলশা, মাগুর পোনা গুলো ২০০ পিসে ১ কেজি ছাড়ার চেষ্টা করুন তাহলে বছরে ২ টি ফলন বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে যেকোন মাছের যেকোন পরিমান পোনার হিসেব করে পোনা ছাড়তে পারবেন।
বায়োফ্লক এর প্রাণ
বায়োফ্লক এর প্রাণ হল ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়া গুলোর কার্যকারীতা নির্ভর করে কার্বন সোর্স অর্থ্যাৎ মোলাসেস এর সঠিক পরিমাণে ব্যবহারের উপরে। বায়োফ্লকে কি পরিমাণ মোলাসেস ব্যবহার করবেন তা নির্নয়ের কয়েক টি কৌশল আছে। গত পর্বে আলোচনা করেছি C:N ratio পদ্ধতি। আজকে আরও ২ টি সহজ পদ্ধতি আলোচনা করব। আসুন জেনে নেই এবং এভাবে প্রয়োগ করি।
কৌশল: ২।।
আমরা যারা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করছি বা করব তাদের প্রতিদিন এ্যমোনিয়া ও ফ্লক দেখা উচিৎ। এ্যমোনিয়া টেস্ট করার জন্য কিট আছে। এ্যমোনিয়া লেভেল অনুযায়ী বায়োফ্লক এ প্রতিদিন মোলাসেস বা চিটাগুড় প্রয়োগ করা যায়। ধরুন আপনার ১০০০ লিটারের একটি বায়োফ্লক আছে। এ্যমোনিয়া টেস্ট করে এর মান পেলেন ১ পিপিএম। অর্থ্যাৎ ১ মিলি গ্রাম/লিটার। অর্থ্যাৎ প্রতি লিটারে ১ মি.গ্রা এ্যমোনিয়া আছে। তাহলে ১০০০ লিটারে ১০০০ মি.গ্রা বা ১ গ্রাম এ্যমোনিয়া আছে। এই ১ গ্রাম এ্যমোনিয়াকে নির্মূল করতে ১০০০ লিটারের জন্য ১০/১৫/২০ গুণ কার্বন সোর্স অর্থ্যাৎ ১০/২০/৩০ গ্রাম মোলাসেস দিতে হবে। এভাবে যেকোন পরিমাণ বের করে দিতে পারবেন। মোট পরিমানটি ৩ ভাগে দিন। ফ্লক ৩০-৪০% এবং এ্যমোনিয়া কম থাকলে মোলাসেস দেবার প্রয়োজন নেই। ফিস ট্যাংকে এ্যমোনিয়ার অপটিমাম লেভেল ০.৫ পিপিএম বা এর নিচে রাখুন।
কৌশলঃ ৩।।
আর একটি সহজ হিসেব আছে আপনি যা ফিড দিচ্ছেন তার ৩০ -৩৫ % মোলাসেস প্রতিদিন বায়োফ্লকে দিন। যদি ১ কেজি ফিড লাগে তাহলে ৩০০-৩৫০ গ্রাম মোলাসেস দিন। তবে উপরের দুটি পদ্ধতিই scientific। বায়োফ্লকে সফলতার জন্য বিষয় গুলো জটিল মনে হলেও আয়ওে আনতে হবে।
অামরা প্রচলিত যে মিটারে এ্যমোনিয়া টেস্ট করি ওটা আসলে TAN(total amonia nitrogen) রিডিং দেয়। এই রিডিং মানটি শুধু এ্যমোনিয়া নয়। এখানে এ্যমোনিয়াম এর মাণও প্রদর্শন করে যা কিনা মাছের জন্য ক্ষতি নয় বরং ভালো। এই TAN থেকে এ্যমোনিয়া এর পরিমানটি বের করতে হলে বায়োফ্লক এর পানির pH এবং temperature এর মান চেক করে water management chart/ Amonia factor chart এর সাথে মিলিয়ে এ্যমোনিয়ার পরিমানটি বের করতে হয়।মাছ চাষের পুকুরে অ্যামোনিয়ার প্রধান উৎস হলো মাছের মলমূত্র, অতিরিক্ত খাদ্য ও আলগির পঁচন। যে হারে মাছ মলমূত্র ত্যায়াগ করে, অ্যামোনিয়া সৃষ্টি করে তা খাদ্যের পরিমাণ এবং প্রয়োগকৃত খাদ্যের প্রোটিন পরিমাণের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। খাদ্যের মধ্যে থাকা প্রোটিন মাছের শরীরে ভেঙ্গে গিয়ে, কিছু নাইট্রোজেন প্রোটিন গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয় ( যেমনঃ পেশীর বৃদ্ধি ) এবং কিছু শক্তির জন্য ব্যবহৃত হয় (যেমনঃ মাছের চলাচল)। আর কিছু ফুলকার মাধ্যমে অ্যামোনিয়া হিসাবে নির্গত হয়। সুতরাং, খাদ্যের প্রোটিন হলো, মাছ প্রতিপালিত হওয়া জলাশয়ের বেশিরভাগ অ্যামোনিয়া হওয়ার প্রধান উৎস।
১. পানি দ্রুত নষ্ট হয়, ফলে পানি পরিবর্তন করা লাগে।
২. মাছের বৃদ্ধি কম হয়।
৩. পানির প্যারামিটার যন্ত্রপাতি খরচ বেশী।
৪. শ্রমিক খরচ বেশী।
৫. অ্যামোনিয়া দ্রুত বাড়ে, ফলে পানিতে কার্বন উৎস (চিটাগুড়) বেশী লাগে তাই খরচ বাড়ে।
৬. ছোট ট্যাংক হলে মাছ উৎপাদন কম হয়। যা বাণিজ্যিক ভাবে লাভজনক নয়।
৭. বাণিজ্যিক বায়োফ্লক প্রজেক্টের আয়তন কম পক্ষে ৫০০ - ২০০০ টনের হতে হবে।
৮. ছোট ট্যাংকে বায়োফ্লক করে অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে। লাভবান হওয়া যাবে না।
৯. বায়োফ্লক করার আগে তার উৎপাদন, আয় ও ব্যয় খরচ কি হবে তা ভাল করে বিশ্লেষণ করে প্রকল্প শুরু করতে হবে।
১০. ইউটিউব দেখে ছোট ট্যাংকে অধিক মাছ উৎপাদন ও লাভের আশা পরিহার করতে হবে।
১১. বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের আগে পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতা জরুরী।
১২. ট্যাংকের আকার আকৃতি ও চাষ উপযোগী ট্যাংক নির্মাণ করতে হবে।
বায়োফ্লক একটি science & scientific কালচার সিস্টেম। ফ্লক পরিমাপ করা হয় ইমহোপ কোণ(imhoff cone) দিয়ে। অনেক সময় ফ্লক তৈরির সব procedure
ফলো করার পরও ফ্লক আসতে দেরী হয়, ফ্লক কম হয় অথবা ফ্লক হয় না। হা বন্ধুরা এ রকম হতে পারে তখন আপনারা আপনার টিউবওয়েল বা মটরের পানি জনসাস্থ অফিস ল্যাবে পানি প
রীক্ষা করুন। হয়ত পানির মধ্যে এমন কোন উপাদান যেমন আর্সেনিক, লেড, ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি বেশী পরিমানে আছে য়ার কারনে ফ্লক গ্রো করার মত পরিবেশ পাচ্ছে না। আর একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হল আপনি যে প্রোবায়োটিক টি কিনছেন তার manufacturing date, expaire date ভালোভাবে দেখে কিনুন। expaire date কাছাকাছি সময়ে ব্যকটেরিয়ার একটিভিটি কমে যেতে পারে। আপনি যে এয়ারেশনের জন্য airstone ব্যবহার করছেন তা অবশ্যই ন্যানো বা মাইক্রো হতে হবে। তাহলে ফ্লক এর উৎপাদন এবং সাইজ ঠিক থাকবে। পানিতে এয়ারেশান smoothly দিন অথ্যাৎ খুব কম না আবার খুব বেশি জোরে না। পানির অসমোটিক পেশারে ব্যকটেরিয়ার grow হতে সমস্যা হতে পারে। Dissolve oxygen লেভেল ৪-৬ mg/ltr রাখুন। প্রতিদিন ব্যাকটেরিয়া তথা ফ্লক এর খাবার দিন। ব্যাকটেরিয়ার খাবার হল কার্বন সোর্স। কার্বন সোর্স এর উৎস হল চিটাগুর, চিনি, গ্লুকোজ ইত্যাদি। কার্বন সোর্স এর পরিমান টি কতটুকু ফিড দিচ্ছেন তা কতটুকু নাইট্রোজেন এ convert হচ্ছে তার ক্যালকুলেশান এর উপর দিতে হয়। যেটাকে C:N ratio বলে। its very very important for biofloc.
ফ্লক কি?
বায়োফ্লকে যখন ব্যকটেরিয়া গুলো grow & multiply
করে পরে এই উপকারী ব্যকটেরিয়া গুলোর কলোনি বা দলবদ্ধ অবস্থাকে ব্যকটেরিয়ার ফ্লক বলা হয়। সাধারণত ফ্লক এর আকৃতি ৫০ থেকে ২০০ মাইক্রোন পর্যন্ত হতে পারে। এই ফ্লক এর মধ্যে ৩০-৪০% protein, ১-১২% Fat এবং ১-৪ % বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। ফ্লক গুলো সাধারণত বাদামী বা ধুসর বর্ণের হয়ে থাকে।
কি ভাবে বুঝবেন ফ্লক হচ্ছে কি না?
বায়োফ্লকে যখন ব্যকটেরিয়া grow শুরু করে তখন ব্যকটেরিয়া গুলো এক ধরনের মিউকাস সিকরেশান করে। মিউকাস হল এক ধরনের পিচছিল জাতীয় রস যা পরবর্তীতে কলোনী অর্থ্যাৎ ফ্লক তৈরির জন্য কাজে লাগে। আপনার বায়োফ্লকের দেয়াল বা এিপাল, অক্সিজেন/এরেশান পাইপ গুলোর গা গুলো খেয়াল করুন যদি পিচছিল অবস্থা বোঝা গেলে অপেক্ষা করুন ফ্লক হবে ইনশাল্লাহ। ট্যাংকের নিচের পানি সংগ্রহ করুন হলদেটে বা ধুসর রংগের কিছু দানা বুঝা গেলে তা একটি বালতিতে নিন। কয়েকটি তেলাপিয়া মাছ দিন। যদি দানাদার উপাদান গুলো খেয়ে ফেলে তাহলে বুঝতে পারবেন এ গুলোই ফ্লক। বায়োফ্লকে কিছু খুদি পানা দিলে যদি এগুলো গ্রো করে তাহলে বুঝতে পারবেন ফ্লক হচ্ছে। প্রথমে ফ্লক সাধারণত নিচে থাকে মাছ ছেড়ে দেয়ার পর পুরো পানিতে দৃশমান হয়।
প্রোবায়োটিক একটিভিশনের কৌশল ২ এর জন্য বায়োফ্লকে FCO দেয়ার কয়েক দিন পর ফ্লক দৃশমান হতে পারে। তবে FCO দেয়ার ১ দিন পরেই মাছ দেয়া যায়। কোন সমস্যা নেই। কয়েক দিন পর অনেক ফ্লক দৃশ্যমান হয়।
সর্বোপরি এটি একটি science & scientific কালচার সিস্টেম। তাই ফ্লক পরিমাপ করা হয় ইমহোপ কোণ দিয়ে। ১ লিটার পানিতে ৩০-৪০ মিলি ফ্লক হল আদর্শ মান। কম বা বেশি হলে কি করবেন এবং কিভাবে ফ্লক ধরে রাখবেন তা পরবর্তী পোস্টে বিস্তারিত পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আজকে জানি প্রোবায়োটিক কালচার করে কিভাবে ফ্লক তৈরি করব। আমি কয়েকটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করব। আজকে একটি কৌশল আলোচনায় থাকবে।
আমরা প্রথমে আমাদের ফিশ ট্যাংক টি জীবানুমুক্ত
করব চুন বা পটাশিয়াম পার ম্যাংগানেট বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে। এরপর ২ দিন রোদে শুকাবো। এরপর ট্যাংকের মোট ক্যাপাসিটির ৬০% মটরের পানি ঢুকাবো। এয়ারেশন চলবে ২ দিন। ৩ য় দিন পানির pH এবং TDS পরীক্ষা করুন। pH থাকতে হবে ৭-৮.৫ এবং TDS থাকতে হবে ১০০০-১৫০০ এর মধ্যে। pH এবং TDS এর আলোচনা পর্বটি দেখুন কম বা বেশী হলে কি করবেন। ৪ র্থ দিন দুপুরে পানিতে প্রতি লিটারের জন্য ০.২৫ মিলি চিটাগুড় গুলিয়ে পানিতে দিন। ৪ র্থ দিন সন্ধায় ৫০০ গ্রাম চিটাগুড় এর সাথে প্রোবায়োটিক ( pona care/ biofav aqua/everfresh pro, aqualife s etc) ৫-১০ gm/১০০০ লিটারের জন্য ভালো করে গুলিয়ে ফিশ ট্যাংকে ছিটিয়ে দিন। এর পর এরেশন হালকা ভাবে দিন এবং প্রতিদিন অল্প অল্প করে বাড়াতে থাকুন। প্রথমেই বেশী speed এ এরেশান দেয়া হলে পানির অসমোটিক পেশারে ব্যকটেরিয়ার সেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ২/৩ দিন পর থেকে চিটাগুড় ০.০১ gm/ltr এর জন্য বায়োফ্লক এ দিতে থাকুন। ৭-১৫ দিন ফ্লক এর জন্য অপেক্ষা করুন।
ইনশাল্লাহ ফ্লক জেনারেশন হবেই। ফ্লক কিভাবে বুঝব তা পরে আলোচনায় আসবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা প্রথমে আমাদের ফিশ ট্যাংক টি জীবানুমুক্ত
করব চুন বা পটাশিয়াম পার ম্যাংগানেট বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে। এরপর ২ দিন রোদে শুকাবো। এরপর ট্যাংকের মোট ক্যাপাসিটির ৬০% মটরের পানি ঢুকাবো। এয়ারেশন চলবে ২ দিন। ৩ য় দিন পানির pH এবং TDS পরীক্ষা করুন। pH থাকতে হবে ৭-৮.৫ এবং TDS থাকতে হবে ১০০০-১৫০০ এর মধ্যে। pH এবং TDS এর আলোচনা পর্বটি দেখুন কম বা বেশী হলে কি করবেন। ৪ র্থ দিন দুপুরে পানিতে প্রতি লিটারের জন্য ০.২৫ মিলি চিটাগুড় গুলিয়ে পানিতে দিন। ৪ র্থ দিন সন্ধায় FCO দিন ৫০০ মিলি প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য। তাহলে এখন আসুন আমরা জানি FCO কি এবং কিভাবে তৈরি করতে হয়।
FCO: Fermented carbon organic অথবা এটাকে বলে বাংলায় প্রাকৃতিক গাজন প্রক্রিয়া। সহজ কথায় আমরা যে বাজারে প্যাকেটজাত প্রোবায়োটিক কিনি তা সুপ্ত অবস্থায় থাকে সেটিকে জীবন্ত বা কার্যকারী করার প্রক্রিয়ার নাম হল FCO. এ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি প্রতিদিন আপনার ফ্লকে নতুন একটিভ ব্যাকটেরিয়া দিচ্ছেন ফলে এ্যমোনিয়া control এবং ফ্লক management টি একদম easy. আপনার ফ্লক সবসময় একরকম থাকবে এবং এ্যমোনিয়া গ্যাস control এ থাকবে। এটি একটি ব্যচ প্রক্রিয়া ৷ ১ মাসে জন্য করে তৈরি করবেন। তৈরির কৌশলটি হল ধরুন আপনি ১০০০০ লিটারের বায়োফ্লক এর জন্য ৩০ দিনের FCO তৈরি করবেন। এর জন্য ২০ লিটার মটরের পানি বালতি বা বড় পাতিল বা drum এ নিন। এবং ৭৫০ gm আয়োডিন বিহীন লবণ দিন। ৫০০ gm চিটাগুড় গুলিয়ে পানিতে দিন। ১০০ gm প্রোবায়োটিক pond care/biofav aqua/everfresh pro ভালো ভাবে গুলোয়ে পানিতে দিন। ৭ দিন smoothly এরেশান দিন। ২/৩ দিন পর থেকে ৫০ gm করে চিটাগুড় বালতিতে দিন। brown কালার চলে আসবে। এভাবেই তৈরী হল আপনার FCO.
৪ র্থ দিন আপনি FCO দিয়েছেন বায়োফ্লকে এবং ৫ ম দিন আপনি মাছ ছেড়ে দিতে পারবেন। এর পর প্রতিদিন বায়োফ্লক ৫০০ মি.লি. করে FCO দিবেন। তাহলে ১০০০০ লিটারের বায়োফ্লক এর জন্য যে আপনি ২০ লিটার FCO তৈরি করলেন যা প্রথম ব্যবহার হল ৫ লিটার আর প্রতিদিন ব্যবহার হবে হাফ লিটার করে তাহলে এই ২০ লিটার FCO ১ মাস ব্যবহার করবেন। আর প্রতিদিন ফিড খাওয়ানোর হিসেব অনুযায়ী চিটাগুর দিতে হবে। এটা আমি পরে আলোচনা করুন। এভাবে আপনার ৫০০০ লিটারের জন্য, ১৫০০০, ২০০০০ লিটারের জন্যও তৈরি করবেন।
কৌশল ১ঃ
আমরা প্রথমে আমাদের ফিশ ট্যাংক টি জীবানুমুক্ত
করব চুন বা পটাশিয়াম পার ম্যাংগানেট বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে। এরপর ২ দিন রোদে শুকাবো। এরপর ট্যাংকের মোট ক্যাপাসিটির ৬০% মটরের পানি ঢুকাবো। এয়ারেশন চলবে ২ দিন। ৩ য় দিন পানির pH এবং TDS পরীক্ষা করুন। pH থাকতে হবে ৭-৮.৫ এবং TDS থাকতে হবে ১০০০-১৫০০ এর মধ্যে। pH এবং TDS এর আলোচনা পর্বটি দেখুন কম বা বেশী হলে কি করবেন। ৪ র্থ দিন দুপুরে পানিতে প্রতি লিটারের জন্য ০.২৫ মিলি চিটাগুড় গুলিয়ে পানিতে দিন। ৪ র্থ দিন সন্ধায় ৫০০ গ্রাম চিটাগুড় এর সাথে প্রোবায়োটিক ( pona care/ biofav aqua/everfresh pro, aqualife s etc) ৫-১০ gm/১০০০ লিটারের জন্য ভালো করে গুলিয়ে ফিশ ট্যাংকে ছিটিয়ে দিন। এর পর এরেশন হালকা ভাবে দিন এবং প্রতিদিন অল্প অল্প করে বাড়াতে থাকুন। প্রথমেই বেশী speed এ এরেশান দেয়া হলে পানির অসমোটিক পেশারে ব্যকটেরিয়ার সেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ২/৩ দিন পর থেকে চিটাগুড় ০.০১ gm/ltr এর জন্য বায়োফ্লক এ দিতে থাকুন। ৭-১৫ দিন ফ্লক এর জন্য অপেক্ষা করুন।
ইনশাল্লাহ ফ্লক জেনারেশন হবেই। ফ্লক কিভাবে বুঝব তা পরে আলোচনায় আসবে ইনশাআল্লাহ।
কৌশল : ২
আমরা প্রথমে আমাদের ফিশ ট্যাংক টি জীবানুমুক্ত
করব চুন বা পটাশিয়াম পার ম্যাংগানেট বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে। এরপর ২ দিন রোদে শুকাবো। এরপর ট্যাংকের মোট ক্যাপাসিটির ৬০% মটরের পানি ঢুকাবো। এয়ারেশন চলবে ২ দিন। ৩ য় দিন পানির pH এবং TDS পরীক্ষা করুন। pH থাকতে হবে ৭-৮.৫ এবং TDS থাকতে হবে ১০০০-১৫০০ এর মধ্যে। pH এবং TDS এর আলোচনা পর্বটি দেখুন কম বা বেশী হলে কি করবেন। ৪ র্থ দিন দুপুরে পানিতে প্রতি লিটারের জন্য ০.২৫ মিলি চিটাগুড় গুলিয়ে পানিতে দিন। ৪ র্থ দিন সন্ধায় FCO দিন ৫০০ মিলি প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য। তাহলে এখন আসুন আমরা জানি FCO কি এবং কিভাবে তৈরি করতে হয়।
FCO: Fermented carbon organic অথবা এটাকে বলে বাংলায় প্রাকৃতিক গাজন প্রক্রিয়া। সহজ কথায় আমরা যে বাজারে প্যাকেটজাত প্রোবায়োটিক কিনি তা সুপ্ত অবস্থায় থাকে সেটিকে জীবন্ত বা কার্যকারী করার প্রক্রিয়ার নাম হল FCO. এ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি প্রতিদিন আপনার ফ্লকে নতুন একটিভ ব্যাকটেরিয়া দিচ্ছেন ফলে এ্যমোনিয়া control এবং ফ্লক management টি একদম easy. আপনার ফ্লক সবসময় একরকম থাকবে এবং এ্যমোনিয়া গ্যাস control এ থাকবে। এটি একটি ব্যচ প্রক্রিয়া ৷ ১ মাসে জন্য করে তৈরি করবেন। তৈরির কৌশলটি হল ধরুন আপনি ১০০০০ লিটারের বায়োফ্লক এর জন্য ৩০ দিনের FCO তৈরি করবেন। এর জন্য ২০ লিটার মটরের পানি বালতি বা বড় পাতিল বা drum এ নিন। এবং ৭৫০ gm আয়োডিন বিহীন লবণ দিন। ৫০০ gm চিটাগুড় গুলিয়ে পানিতে দিন। ১০০ gm প্রোবায়োটিক pond care/biofav aqua/everfresh pro ভালো ভাবে গুলোয়ে পানিতে দিন। ৭ দিন smoothly এরেশান দিন। ২/৩ দিন পর থেকে ৫০ gm করে চিটাগুড় বালতিতে দিন। brown কালার চলে আসবে। এভাবেই তৈরী হল আপনার FCO.
৪ র্থ দিন আপনি FCO দিয়েছেন বায়োফ্লকে এবং ৫ ম দিন আপনি মাছ ছেড়ে দিতে পারবেন। এর পর প্রতিদিন বায়োফ্লক ৫০০ মি.লি. করে FCO দিবেন। তাহলে ১০০০০ লিটারের বায়োফ্লক এর জন্য যে আপনি ২০ লিটার FCO তৈরি করলেন যা প্রথম ব্যবহার হল ৫ লিটার আর প্রতিদিন ব্যবহার হবে হাফ লিটার করে তাহলে এই ২০ লিটার FCO ১ মাস ব্যবহার করবেন। আর প্রতিদিন ফিড খাওয়ানোর হিসেব অনুযায়ী চিটাগুর দিতে হবে। এটা আমি পরে আলোচনা করুন। এভাবে আপনার ৫০০০ লিটারের জন্য, ১৫০০০, ২০০০০ লিটারের জন্যও তৈরি করবেন।
বায়োফ্লক এর প্রাণ হল প্রোবায়োটিক। এটির যথাযথ ব্যবহারই আপনি পেতে পারেন সফলতা। তো চলুন বন্ধুরা এখন জানি কোন ধরনের ব্যকটেরিয়া গুলো বায়োফ্লক এর জন্য সবচেয়ে বেশী effective.
বায়োফ্লকে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বেশী কার্য়করঃ
বায়োফ্লকে মাছের অবশিষ্ট খাদ্য, মলমূত্র ও শ্যাওলা পচে যে এ্যমোনিয়া(বিষাক্ত গ্যাস) সৃষ্টি হয় সেটিকে ধংস করার জন্য মুলত দুই ধরনের ব্যকটেরিয়া ব্যবহার করতে হয়।
১. Nytrifying bacteria :
এই প্রকারের ব্যাকটেরিয়া গুলো হল Nitrosomonas, Nitrobacter, Nitrococcus ইত্যাদি। এরা এ্যমোনিয়াকে nitrification নামক রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে প্রথমে নাইট্রাইট (Nitrite) এবং পরে নাইট্রেট(Nitrate) সর্বশেষ অর্গানিক নাইট্রোজেন এ রুপান্তর করে পানিকে এ্যমোনিয়া মুক্ত করে ঠিকই কিন্তু এ্যমোনিয়াকে ভেঙে প্রোটিন ও লিপিড সমৃদ্ধ মাছে খাদ্য কণায় রুপান্তর করতে পারে না। যেহেতু বায়োফ্লকের দুটি জিনিস অতীব জরুরী তা হল এ্যমোনিয়া নিয়ন্ত্রণ ও এ্যামোনিয়াকে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে রূপান্তরিত করা, সেহেতু আমরা বলতে পারি শুধু Nitrifying ব্যকটেরিয়া গুলো বায়োফ্লক এর জন্য standard নয়। তাহলে আসুন এখন জানি কোন ব্যকটেরিয়া গুলো বায়োফ্লক এর জন্য খুবই Essential, Effective & standard.
2. Heterotrophic bacteria :
Hetero(হিটারো) অর্থ ভিন্ন (different) আর troph (ট্রফ) অর্থ পুষ্টি বা খাদ্য(nutrition or food) অর্থাৎ এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না, অন্যের উপর নির্ভরশীল। এরা সাধারণত খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন জৈব পদার্থ গ্রহণ করে থাকে। এ জন্যই তো এ ব্যকটেরিয়া গুলোর খাদ্য হিসেবে বায়োফ্লকে কার্বন সোর্স হিসেবে প্রতিদিন চিটাগুর ব্যবহার করতে হয়। আর এ জন্যই বায়োফ্লক এর পানির রং হালকা লাল হলুদ বর্ণ দেখায়।
এ ধরনের ব্যকটেরিয়া গুলো হল Bacillus subtilis, Bacillus spumilis, Bacillus lichniformis, Bacillus megaterium, Bacillus pumilis, Bacillus polymyxa, Bacillus circulans, Bacillus coagulans ইত্যাদি। এ ধরনের ব্যকটেরিয়া aerobic(অক্সিজেন সহ) অথবা anaerobic (অক্সিজেন ছাড়া) দুই সিস্টেমেই কাজ করতে পারে।
এ ব্যকটেরিয়াগুলোও রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে এ্যমোনিয়াকে ভেঙে nitrite তারপর nitrates এবং সর্বশেষ organic nitrogen form এ নিয়ে আসে অর্থাৎ জলীয় বিষাক্ত এ্যমোনিয়া গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে জলীয় পরিবেশ কে সুন্দর করে এবং এ্যমোনিয়াকে প্রোটিন সেলে (মাছের প্রোটিন ও লিপিড সমৃদ্ধ খাদ্য কণা) তৈরি করে। যা কিনা বায়োফ্লক এর জন্য অতীব জরুরী। তাহলে এই Heterotrophic ব্যকটেরিয়া গুলোই বায়োফ্লক এর জন্য খুবই essential, effective & standard.
সবাই অনেক ভালো থাকবেন। আপনাদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
বায়োফ্লকে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বেশী কার্য়করঃ
বায়োফ্লকে মাছের অবশিষ্ট খাদ্য, মলমূত্র ও শ্যাওলা পচে যে এ্যমোনিয়া(বিষাক্ত গ্যাস) সৃষ্টি হয় সেটিকে ধংস করার জন্য মুলত দুই ধরনের ব্যকটেরিয়া ব্যবহার করতে হয়।
১. Nytrifying bacteria :
এই প্রকারের ব্যাকটেরিয়া গুলো হল Nitrosomonas, Nitrobacter, Nitrococcus ইত্যাদি। এরা এ্যমোনিয়াকে nitrification নামক রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে প্রথমে নাইট্রাইট (Nitrite) এবং পরে নাইট্রেট(Nitrate) সর্বশেষ অর্গানিক নাইট্রোজেন এ রুপান্তর করে পানিকে এ্যমোনিয়া মুক্ত করে ঠিকই কিন্তু এ্যমোনিয়াকে ভেঙে প্রোটিন ও লিপিড সমৃদ্ধ মাছে খাদ্য কণায় রুপান্তর করতে পারে না। যেহেতু বায়োফ্লকের দুটি জিনিস অতীব জরুরী তা হল এ্যমোনিয়া নিয়ন্ত্রণ ও এ্যামোনিয়াকে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে রূপান্তরিত করা, সেহেতু আমরা বলতে পারি শুধু Nitrifying ব্যকটেরিয়া গুলো বায়োফ্লক এর জন্য standard নয়। তাহলে আসুন এখন জানি কোন ব্যকটেরিয়া গুলো বায়োফ্লক এর জন্য খুবই Essential, Effective & standard.
2. Heterotrophic bacteria :
Hetero(হিটারো) অর্থ ভিন্ন (different) আর troph (ট্রফ) অর্থ পুষ্টি বা খাদ্য(nutrition or food) অর্থাৎ এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না, অন্যের উপর নির্ভরশীল। এরা সাধারণত খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন জৈব পদার্থ গ্রহণ করে থাকে। এ জন্যই তো এ ব্যকটেরিয়া গুলোর খাদ্য হিসেবে বায়োফ্লকে কার্বন সোর্স হিসেবে প্রতিদিন চিটাগুর ব্যবহার করতে হয়। আর এ জন্যই বায়োফ্লক এর পানির রং হালকা লাল হলুদ বর্ণ দেখায়।
এ ধরনের ব্যকটেরিয়া গুলো হল Bacillus subtilis, Bacillus spumilis, Bacillus lichniformis, Bacillus megaterium, Bacillus pumilis, Bacillus polymyxa, Bacillus circulans, Bacillus coagulans ইত্যাদি। এ ধরনের ব্যকটেরিয়া aerobic(অক্সিজেন সহ) অথবা anaerobic (অক্সিজেন ছাড়া) দুই সিস্টেমেই কাজ করতে পারে।
এ ব্যকটেরিয়াগুলোও রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে এ্যমোনিয়াকে ভেঙে nitrite তারপর nitrates এবং সর্বশেষ organic nitrogen form এ নিয়ে আসে অর্থাৎ জলীয় বিষাক্ত এ্যমোনিয়া গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে জলীয় পরিবেশ কে সুন্দর করে এবং এ্যমোনিয়াকে প্রোটিন সেলে (মাছের প্রোটিন ও লিপিড সমৃদ্ধ খাদ্য কণা) তৈরি করে। যা কিনা বায়োফ্লক এর জন্য অতীব জরুরী। তাহলে এই Heterotrophic ব্যকটেরিয়া গুলোই বায়োফ্লক এর জন্য খুবই essential, effective & standard.
সবাই অনেক ভালো থাকবেন। আপনাদের জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
প্রিয় বন্ধুরা, বায়োফ্লক একটি Scientific Fish culture system. বায়োফ্লক এর প্রাণ হল প্রোবায়োটিক। এটির যথাযথ ব্যবহারই আপনি পেতে পারেন সফলতা। তো চলুন বন্ধুরা এখন জানি প্রোবায়োটিক কি?
প্রোবায়োটিক দুটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে। প্রো( pro) অর্থ promoting (উন্নয়ন করা) আর বায়োটিক(biotic) এর অর্থ লাইফ (life) অর্থাৎ জীবন। তাহলে প্রোবায়োটিক মানে হল জীবনের উন্নয়ন। সহজ কথায় প্রোবায়োটিক হল উপকারী ব্যকটেরিয়া যা মাছ, চিংড়ি, মানুষ ও অন্যন্য যেকোন প্রাণীদেহে কিংবা পরিবেশে উপস্থিত থেকে তাদেরকে অন্য ক্ষতিকর রোগজীবাণু থেকে সুরক্ষা করে, দৈহিক বৃদ্ধি ও সুসাস্থ্য আনায়নের মাধ্যমে জীবনের উন্নয়ন করে।
বায়োফ্লকে Probiotic এর প্রয়োজনীয়তাঃ
বায়োফ্লকে মাছের খাদ্য, মলমূত্র ও শ্যাওলা পচে যে এ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয় প্রোবায়োটিক তা রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে বায়োফ্লকের গ্যাস মুক্ত করে জলীয় পরিবেশ সুন্দর রাখে এবং মাছের উপযোগী প্রোটিন ও লিপিড সমৃদ্ধ খাদ্য কণা তৈরি করে। যা কিছু প্রজাতির মাছ যেমন চিংড়ি, তেলাপিয়া খেয়ে থাকে। এজন্যই বায়োফ্লক এ খাবারের পরিমাণ ১৫-২০% কম লাগে।
প্রোবায়োটিক এর সকল বিষয়ের উপর লেখা ধারাবাহিক ভাবে আসতে থাকবে। টিউটোরিয়াল গুলো দেখতে সাথেই থাকুন।
প্রোবায়োটিক দুটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে। প্রো( pro) অর্থ promoting (উন্নয়ন করা) আর বায়োটিক(biotic) এর অর্থ লাইফ (life) অর্থাৎ জীবন। তাহলে প্রোবায়োটিক মানে হল জীবনের উন্নয়ন। সহজ কথায় প্রোবায়োটিক হল উপকারী ব্যকটেরিয়া যা মাছ, চিংড়ি, মানুষ ও অন্যন্য যেকোন প্রাণীদেহে কিংবা পরিবেশে উপস্থিত থেকে তাদেরকে অন্য ক্ষতিকর রোগজীবাণু থেকে সুরক্ষা করে, দৈহিক বৃদ্ধি ও সুসাস্থ্য আনায়নের মাধ্যমে জীবনের উন্নয়ন করে।
বায়োফ্লকে Probiotic এর প্রয়োজনীয়তাঃ
বায়োফ্লকে মাছের খাদ্য, মলমূত্র ও শ্যাওলা পচে যে এ্যামোনিয়া গ্যাস উৎপন্ন হয় প্রোবায়োটিক তা রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে বায়োফ্লকের গ্যাস মুক্ত করে জলীয় পরিবেশ সুন্দর রাখে এবং মাছের উপযোগী প্রোটিন ও লিপিড সমৃদ্ধ খাদ্য কণা তৈরি করে। যা কিছু প্রজাতির মাছ যেমন চিংড়ি, তেলাপিয়া খেয়ে থাকে। এজন্যই বায়োফ্লক এ খাবারের পরিমাণ ১৫-২০% কম লাগে।
প্রোবায়োটিক এর সকল বিষয়ের উপর লেখা ধারাবাহিক ভাবে আসতে থাকবে। টিউটোরিয়াল গুলো দেখতে সাথেই থাকুন।
প্রিয় বন্ধুরা, বায়োফ্লক এর আলোচনা বা ভিডিও দেখার শুরুতে প্রথম যে কথাটি আমরা বেশি শুনতে পাই সেটি হল TDS. আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকের জানার আগ্রহ আছে এজন্য অনেকে কমেন্টস করেছেন এ বিষয়ে আলোচনা করতে। তাহলে চলুন সহজ ভাবে জানি TDS কি, কেন এর প্রয়োজনীয়তা বায়োফ্লকে।
TDS (Total dissolved solid) হল পানিতে দ্রবীভূত সকল কঠিন পদার্থ। পানিতে সাধারণত সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ অন্যন্য ন্যাচারাল উপাদান দ্রবীভুত থাকে। এ গুলোকেই একএে TDS বলে। TDS মিটার দিয়ে এর মান নির্নয় করা হয়। TDS এর একক ppm(parts per million) অর্থাৎ সহজ ভাষায় mg/ltr.। যেমন খাবার পানির TDS এর optimum level ২৫০ mg/ltr. অর্থাৎ খাবার পানিতে প্রতি লিটারে ২৫০ mg TDS মান হল optimum লেভেল।
বায়োফ্লকে TDS এর প্রয়োজনীয়তাঃ
TDS পানির pH এবং Dissolved oxygen এর optimum লেভেল রাখতে সাহায্য করে। এ্যমোনিয়া control করতে সাহায্য করে। মাছের ধকল (stress) রোধে সাহায্য করে। মাছের খাবার হজমে সহায়তা করে।
বায়োফ্লকে TDS এর optimum লেভেল ঃ
বায়োফ্লকে ফ্লক এর বৃদ্ধির জন্য TDS এর মান ১০০০ থেকে ১৮০০ রাখতে হয়। TDS এর মান optimum লেভেল না রাখলে ফ্লক এর বৃদ্ধি কম হতে পারে।
কিভাবে TDS এর মান কমাতে বা বাড়াতে হয়ঃ
TDS এর মান কমাতে বায়োফ্লক এর পানি ১০% পরিবর্তন করুন। এরপর TDS মিটার দিয়ে মান চেক করুন।
TDS এর মান বাড়াতে আয়োডিন বিহীন লবন ব্যবহার করুন। প্রতি লিটার পানির জন্য ০.৫-১ gm লবন ব্যবহার করতে পারেন। লবন ব্যবহারে সোডিয়াম ও ক্লোরিন আায়ন একে অপরকে আকর্ষণ করায় ফ্লক ভালো তৈরি হয়। আয়োডিন এর প্রভাবে ব্যকটেরিয়ার কম grow করে। এজন্যই আয়োডিন বিহীন লবন ব্যবহার করতে হয়।
TDS (Total dissolved solid) হল পানিতে দ্রবীভূত সকল কঠিন পদার্থ। পানিতে সাধারণত সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ অন্যন্য ন্যাচারাল উপাদান দ্রবীভুত থাকে। এ গুলোকেই একএে TDS বলে। TDS মিটার দিয়ে এর মান নির্নয় করা হয়। TDS এর একক ppm(parts per million) অর্থাৎ সহজ ভাষায় mg/ltr.। যেমন খাবার পানির TDS এর optimum level ২৫০ mg/ltr. অর্থাৎ খাবার পানিতে প্রতি লিটারে ২৫০ mg TDS মান হল optimum লেভেল।
বায়োফ্লকে TDS এর প্রয়োজনীয়তাঃ
TDS পানির pH এবং Dissolved oxygen এর optimum লেভেল রাখতে সাহায্য করে। এ্যমোনিয়া control করতে সাহায্য করে। মাছের ধকল (stress) রোধে সাহায্য করে। মাছের খাবার হজমে সহায়তা করে।
বায়োফ্লকে TDS এর optimum লেভেল ঃ
বায়োফ্লকে ফ্লক এর বৃদ্ধির জন্য TDS এর মান ১০০০ থেকে ১৮০০ রাখতে হয়। TDS এর মান optimum লেভেল না রাখলে ফ্লক এর বৃদ্ধি কম হতে পারে।
কিভাবে TDS এর মান কমাতে বা বাড়াতে হয়ঃ
TDS এর মান কমাতে বায়োফ্লক এর পানি ১০% পরিবর্তন করুন। এরপর TDS মিটার দিয়ে মান চেক করুন।
TDS এর মান বাড়াতে আয়োডিন বিহীন লবন ব্যবহার করুন। প্রতি লিটার পানির জন্য ০.৫-১ gm লবন ব্যবহার করতে পারেন। লবন ব্যবহারে সোডিয়াম ও ক্লোরিন আায়ন একে অপরকে আকর্ষণ করায় ফ্লক ভালো তৈরি হয়। আয়োডিন এর প্রভাবে ব্যকটেরিয়ার কম grow করে। এজন্যই আয়োডিন বিহীন লবন ব্যবহার করতে হয়।
গতকাল কয়েকজন আমার প্রিয় বায়োফ্লক উদ্যোক্তা বন্ধুরা messenger এ ফোন ও message দিয়েছেন তাদের ফ্লক কমে যাচ্ছে, মাছ মরে যাচ্ছে, খাবার কম খাচ্ছে, মাছ abnormally চলাফেরা করছে, মাছের চোখ রক্ত বর্ণ দেখাচ্ছে। আমি কিছু fact finding এর জন্য কিছু জানতে চাইলাম। এর মধ্যে একটি জিনিস সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার ফ্লক এর পানির pH কত? সবারই pH এর মান ছিল ৯ এর উপরে।
হ্যা বন্ধুরা ও গুলোই symptom দেখা যাবে যদি আপনার ফ্লকে pH এর মান বৃদ্ধি পায়। যদিও পর্ব ২ আলোচনা করেছি pH এর উপর। চলুন আবার জানি pH কি? এর শেষে আলোচনা করব কিভাবে সহজে pH control করব।
pH :
পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার হল pH. pH হল পানিতে Hydrogen আয়ন কনসেনট্রেশনের পরিমাণ। সহজ কথায় পানি এসিটিক না বেসিক তা পরিমাপের মাধ্যম হল pH. বায়োফ্লকে pH মাএা ৬.৫ থেকে ৮.৫ মধ্যে থাকা দরকার। pH বাড়াতে চুন CaCo3 বা পাথুরে চুন একদিন ভিজিয়ে রেখে ছেকে দিতে হয়। সাধারণত বায়োফ্লকে pH মান বাড়াতে প্রতি লিটার পানির জন্য ০.০৫ গ্রাম চুন দিতে হয়।
কিভাবে সহজে pH মান কমিয়ে optimum লেভেলে আনবেনঃ
১. বায়োফ্লক এর ১০% পানি ফেলে দিন। নতুন ১০ % পানি দিন। pH test করুন। যদি control না হয়... 2 নং tips টি follow করুন।
২. ৫০০ gm তেতুল, ১ লিটার পানিতে ৩/৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ২ চামুচ তেঁতুল পানি প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য ফ্লকে দিন। ২/৩ ঘন্টা পর পর pH check করুন। অবশ্যই control হবে ইনশাল্লাহ।
হ্যা বন্ধুরা ও গুলোই symptom দেখা যাবে যদি আপনার ফ্লকে pH এর মান বৃদ্ধি পায়। যদিও পর্ব ২ আলোচনা করেছি pH এর উপর। চলুন আবার জানি pH কি? এর শেষে আলোচনা করব কিভাবে সহজে pH control করব।
pH :
পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার হল pH. pH হল পানিতে Hydrogen আয়ন কনসেনট্রেশনের পরিমাণ। সহজ কথায় পানি এসিটিক না বেসিক তা পরিমাপের মাধ্যম হল pH. বায়োফ্লকে pH মাএা ৬.৫ থেকে ৮.৫ মধ্যে থাকা দরকার। pH বাড়াতে চুন CaCo3 বা পাথুরে চুন একদিন ভিজিয়ে রেখে ছেকে দিতে হয়। সাধারণত বায়োফ্লকে pH মান বাড়াতে প্রতি লিটার পানির জন্য ০.০৫ গ্রাম চুন দিতে হয়।
কিভাবে সহজে pH মান কমিয়ে optimum লেভেলে আনবেনঃ
১. বায়োফ্লক এর ১০% পানি ফেলে দিন। নতুন ১০ % পানি দিন। pH test করুন। যদি control না হয়... 2 নং tips টি follow করুন।
২. ৫০০ gm তেতুল, ১ লিটার পানিতে ৩/৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ২ চামুচ তেঁতুল পানি প্রতি ১০০০ লিটারের জন্য ফ্লকে দিন। ২/৩ ঘন্টা পর পর pH check করুন। অবশ্যই control হবে ইনশাল্লাহ।
বায়োফ্লক নিয়ে কয়েক মাস থেকে অনেক ঘাটাঘাটি করলাম। যারা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করছেন তাদের অনেকের সাথে কথা বললাম। ২ টি বায়োফ্লক খামার সরাসরি ভিজিট করলাম। কেন যেন মনে হল উনারা বায়োফ্লকে মাছ চাষের কথা, লাভ লোকসানের কথার চেয়ে ট্রেনিং কিংবা মালামাল ক্রয় দিকেই বেশী মনোযোগী। কেউ বা বলছেন আমি ১/২ বছর ধরে করছি, জিজ্ঞেস করলাম ভাই কত খরচ, কত লাভ হল, একটু বলুন, তাহলে আমরা সাহস পাব। উনি বললেন হতাস হবার কিছু নেই, লাভ হয়েছে তাইতো লেগে আছি। আমি অনেক কে জিজ্ঞেস করেছি, কেউই বলতে পারে নি। জিজ্ঞেস করলাম কি probiotic ব্যবহার করেন, উত্তরে বললেন আমাদের সামনের সোমবার থেকে ট্রেনিং দেয়া হবে। ওখানে সব শিখতে পারবেন। বললাম ফি কত, বলল ৭০০০ টাকা। হিসেব করলাম এভাবে মাসে ৭ জনকে ট্রেনিং দিলেই তো ৫০,০০০ হাজার, আর মালামাল বিক্রি করে মাসে ২০০০০ টাকা। তো ব্যবসা এটাই ভাল। বায়োফ্লকে লস আসলেও সমস্যা নেই।
আমি science & technology তে বিশ্বাস করি যেহেতু আমি একজন মৎস্যচাষী, এবং এ বিষয়ে আমার পড়াশোনা ও চাকুরী সবকিছু। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি একটি ১০০০০ লিটারের R & D বায়োফ্লক করব এবং প্রতিদিন গ্রুপে আপডেট দিব। কি ব্যবহার করলাম, কতটুকু ব্যবহার করলাম, এফসিআর কত, সব গুলোর ভিডিও থাকবে। আমার বায়োফ্লক physically যে কেউ ভিজিট করতে পারবে। ইচ্ছে হলে যে কেউ থেকেও শিখতে পারবে। আমি চাই খামারী বন্ধু রা যেন টেকনোলজি শিখতে পারেন এবং অন্যকে শিখাতে পারেন। ট্যাংক preparation একদম ইজি। আগে আসুন আমরা চাষে লাভ লজ হিসেব করি।২/৩ মাস আমার আপডেট দেখুন। যদি লাভজনক হয় ছোট করে ১ টি শুরু করে দেখবেন। এরপর বড় কিছু চিন্তা করবেন।
আজকের আপডেট ঃ
০১.১০.১৯, মটরের পানি দেয়া হয়েছে। ১০০০০ লিটার
০২.১০.১৯, চুন ১/২ কেজি ও ১০ কেজি আয়োডিন বিহীন লবন(Raw salt) দেয়া হয়েছে।
pH :
পানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার হল pH. pH হল পানিতে Hydrogen আয়ন কনসেনট্রেশনের পরিমাণ। সহজ কথায় পানি এসিডিক না বেসিক তা পরিমাপের মাধ্যম হল pH. বায়োফ্লকে pH মাএা ৬.৫ থেকে ৮.৫ মধ্যে থাকা দরকার। pH বাড়াতে চুন CaCo3 বা পাথুরে চুন একদিন ভিজিয়ে রেখে ছেকে দিতে হয়। pH কমাতে তেঁতুল পানি ব্যবহার করতে হবে। পরিমাণ টা pH এর পরিমাণের উপরে হবে। সাধারণত pH মান ৬ এর নিচে থাকলে প্রতি লিটার পানির জন্য ০.০৫ গ্রাম চুন দিতে হয়।
Raw salt:
আয়োডিন বিহীন সামুদ্রিক লবন। যেটা আমরা গবাদিপশুকে খাওয়াই। কারন বায়োফ্লক এর জন্য TDS(total dissolved solid) দরকার ১২০০-১৮০০ পিপিএম। raw salt দিয়ে TDS বাড়ানো হয়। আয়োডিন যুক্ত লবনে ফ্লক এর একটিভিটি কমে য়ায়।TDS এর পরিমান বেশি হলে কিছু পানি ফেলিয়ে adjust করতে হয়।লবন এর পরিমান TDS এর পরিমাণের উপর নির্ধারন করতে হবে। TDS এর পরিমাণ ৩০০ mg/ltr এর নিচে থাকলে তা বাড়াতে প্রতি লিটার পানির জন্য ১ গ্রাম হারে raw salt দিতে হবে।
Post a Comment
Let us know how you are feeling about this article by commenting.