গুগলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় খুঁজে খুঁজে যারা হয়রান, আজ কোর্সটিকায় তাদের জন্য দারুণ একটি পোস্ট হতে চলছে। আজ আমরা কোর্সটিকায় আলোচনা করবো, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সবগুলো উপায়। পাশাপাশি আরো জানবো, ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো করার আপডেট সব তথ্য।

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছে “কন্টেন্ট মার্কেটিং” এই টার্মটা বেশ পরিচিত। ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর প্রায় পুরাটা জুড়েই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর খেলা। কিন্তু আসলে এই কন্টেন্ট মার্কেটিং জিনিসটা কি এই নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন থাকে।
শাব্দিক অর্থে কন্টেন্টের মাধ্যমে মার্কেটিং করাকেই কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা উচিত । কিন্তু কন্টেন্ট বলতে তো আমরা মার্কেটিংএর সব ধরনের বিষয়বস্তুকেই বুঝে থাকি। যেমন আর্টিকেল, ইমেজ, অডিও, ভিডিও সব। এই কন্টেন্টগুলার মাঝে কিছু কন্টেন্ট সরাসরি অ্যাডসের জন্য বানানো হয় যেন দ্রুত কনভার্সন আসে,কিছু বানানো হয় ইউজারদের সচেতন করার জন্য, আবার কিছু কন্টেন্ট থাকে বিভিন্ন ব্যাপারে ইনফরমেশন দেয়ার জন্য, কিছু কন্টেন্ট থাকে কোম্পানি কিংবা কাস্টমারদের নিয়ে।

কনটেন্ট মার্কেটিং

বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ।এখন ঘরে বসে মানুষ বিশ্বের সব খবরাখবর রাখতে পারছে । বলা যায় পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় ।ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অল্প সময়ে ব্যবসায় সফলতার জন্য আগে আমাদেরকে জানতে হবে Digital Marketing কি? অল্প কথায় Digital Marketing হল ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে ইন্টারনেট দুনিয়ায় পণ্য,প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনা বা বিজ্ঞাপন দেয়া। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয়ার হার বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। এর কারণ বিশ্বে ৫৫.০৮ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে তার মধ্যে ৭৫ শতাংশ মানুষ নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। তাই Social Media ও Digital মাধ্যমগুলো কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার পথ আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে। আজকে আমরা এমন ৮ টি মাধ্যম সম্পর্কে আলোচনা করবে। যা ব্যবসার ক্ষেত্রে এনে দিতে পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

এক নজরে Digital Marketing এর সেরা ৮ টি মাধ্যম

  1. Search engine optimization (SEO)
  2. Search Engine Marketing (SEM)
  3. Content marketing
  4. Social Media Marketing(SMM)
  5. Digital Display Marketing
  6. Mobile Marketing
  7. Email Marketing
  8. Affiliate Marketing

Search engine optimization (SEO)

Search engine optimization বা (SEO) হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যে কোন ওয়েব সাইটের কিওয়ার্ডকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করানো হয় । খুব সহজে যদি একটি উদাহরন দিয়ে বলিঃ আমরা সবাই কম বেশি Google এ সার্চ করি আর গুগলে যখন কোন কিছু লিখে সার্চ করা হয় তখন গুগোল আমাদেরকে কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখায় নিচের ছবিগুলোর মত ।

উপরের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে “SEO কি” এইটা লিখে সার্চ করার পরে গুগুল আমাদেরকে কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখিয়েছে । এখন আপনাকে যদি আমি জিজ্ঞাসা করি আপনি সবচেয়ে আগে কোন রেজাল্টে ক্লিক করবেন ? প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় আপনি সবচেয়ে উপরের রেজেল্টটাতে ক্লিক কবেন অধিকাংশ ইউজারদের মত । অর্থাৎ গুগুলএর টপ পজিশনে থাকার করণে প্রথন লিংকটাতে সবচেয়ে বেশি ক্লিক পরবে । আর গুগুল সহ প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের টপ পজিশনে আপনার Website যেকোন Keyword কে র‍্যাং করানোর প্রক্রিয়াই হল SEO । SEO করে টপ পজিশনে থাকা website এ সবচেয়ে বেশি ভিজিটর যাবে এটা আশা করি আপনি ইতিমধ্যেই বুঝে গেছেন । বাংলাদেশে SEO সার্ভিস প্রোভাইড করে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যাদের সাথে তাল মিলিয়ে IMBD Agency এর SEO Service এই ইন্ড্রাস্ট্রিতে সফলতার সাথে বিচরন করছে ।

SEO সাধারণত তিন ধরণের হয়ে থাকে-

  1. White hat SEO
  2. Gray Hat SEO
  3. black hat SEO

Search Engine marketing (SEM)

Search Engine marketing (SEM) হলো একটি ব্যাপক মার্কেটিং কৌশল যা প্রাথমিকভাবে আপনার ব্যবসায় ট্রাফিক ড্রাইভ করবে । যাকে আমরা Paid সার্চ মার্কেটিং বলে থাকি। আপনার ব্যবসার গঠনশৈলীর উপর ভিত্তি করে সাধারনত এ ধরনের মার্কেটিং করা হয়। এক্ষেত্রে PPC (পে-পার-ক্লিক করুন) অথবা CPC (ক্লিক পার ক্লিক ) মডেল ইত্যাদি মডেল নির্বাচন করা হয় । SEM সাধারনত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে হয়ে থাকে। এর মধ্যে – Google Ads এবং বিং বিজ্ঞপ্তি (গুগল নেটওয়ার্কে), ইয়াহু বিং নেটওয়ার্ক বিজ্ঞপ্তি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। SEM বর্তমান Digital Marketing এর সব চেয়ে সাশ্রয়ী Onliine Marketing যা কিনা আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করবে।

Content marketing

যে কোন বিষয় অথবা বস্তু সম্পর্কে একটি সাজানো কন্টেন্ট তার মান বাড়াতে সাহায্য করে। অনলাইনে আপনার কনটেন্ট, যেকোনপোস্ট কিংবা ফোরাম অথবা পণ্যের ডিসকাশনে যাতে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডের উপস্থিতি থাকে যাতে খুব সহজে আপনার টার্গেটেড পাঠক বা ক্রেতা আপনার পণ্যকে খুঁজে পেতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাই সময় পর পর মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট গুলোকে আপডেট করা উচিৎ। সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট পোস্ট করার ক্ষেত্রে অটোমেটিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিৎ। আপনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের জন্য আপনার বিষয়বস্তু কাস্টমাইজ করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ইলেক্ট্রনিক পণ্যের জন্য বিষয়বস্ত সহজ এবং সংক্ষিপ্ত হতে হবে। মনে রাখবেন, একটি কার্যকর কৌশল আপনার পাঠক বা ক্রেতা তৈরি করবে এবং তারা আপনার কাছ থেকে আরো তথ্য জানতে আগ্রহী হবে। একটি ভাল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারলে আপনার ব্যবসা ব্র্যান্ডিং জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় হবে। তাই Digital Marketing এ ভালো কন্টেন্টের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।

Social Media Marketing(SMM)

বিশ্বে মোট ইন্টানেট ব্যবহারকারীদের ৭৫% কোন না কোন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত।এই বিশাল অংশের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানোর জন্য Social Media Marketing(SMM) একটি কার্যকর পদ্ধতি। সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করাকে বুঝি। বর্তমান বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক আর ইউটিউব অনেক অনেক বেশি কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ।

সারা পৃথিবীতে অনেক গুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আছে। তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু দেশে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি জনপ্রিয়। যেমন- ইন্ডিয়া বাংলাদেশ পাকিস্তান এসব দেশে ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবার এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো খুব বেশি জনপ্রিয়। আবার আমেরিকান কান্ট্রিগুলোতে পিন্টেরেস্ট ও রেদ্দিট অনেক বেশি জনপ্রিয়, রাশিয়াতে ভিকে, স্তাম্বলআপন ও টুইটার অনেক বেশি জনপ্রিয়। আমার ফেসবুক এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করি তা ফেসবুক মার্কেটিং এর অন্তগত। ঠিক একইভাবে ইউটিউবে আমরা যে ভিডিও শেয়ার করে বা পোস্ট করে যে মার্কেটিং করি তা ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্তগত। আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন ।সমগ্র পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে । আপনি একটু চিন্তা করলে বোঝতে পারবেন আপনি লাস্ট কবে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করেন নি। তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটার গুরুত্ব কতখানি। তাই Digital Marketing এ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমূল পরিবর্তন সম্ভব।

Digital Display Marketing

ডিজিটাল ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন গুলো তুলনামূলক কিছুটা ব্যয়বহুল । ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যনার , স্লাইড শো , ছবি বা ভিডিও আকারে বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করাকে ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। এসব বিজ্ঞাপন দিতে ব্যয় বেশি হলেও এগুলো গ্রাহক আকৃষ্ট করতে বেশি সাহায্য করে। বর্তমানে LED Display এর মাধ্যমেও অনেকে Digital marketing করছে। আধুনিক এই যুগে ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য Digital marketing ই হতে পারে সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম। তাই আমরা মনে করি প্রপার মার্কেটিং এ ব্যবসার ৭০% সফলতা নিহিত।

Mobile Marketing

জিএসএমএর হিসাবে বিশ্বজুড়ে মুঠোফোন সংযোগ সংখ্যা বর্তমানে ৪৯২ কোটি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা ২৪৬ কোটি সংযোগ ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এটি ২০২০ সালে বেড়ে ৬৬ শতাংশ হবে।বর্তমান বিশ্বে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের হার খুব দ্রুত বাড়ছে।মোবাইল ব্যবহার করে আরো বেশি সফলভাবে আপনার যেকোন পণ্যের প্রচার ও বিক্রয় করতে পারেন দ্রুত সময়ে। Digital marketing এর বিশাল অংশ স্মার্টফোন কে কেন্দ্র করে হচ্ছে।

মোবাইল মার্কেটিং এ বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে । তার মধ্যে অন্যতম-

  1. SMS Marketing
  2. MMS Marketing

প্রতি ৩ মিনিটে মোট ফোন ব্যবহারকারীর ৯৭% টেক্সট মেসেজ ওপেন করে থাকে। প্রতি সেকেন্ডে ৫২০৮৩ টি টেক্সট মেসেজ আদান প্রদান হয়ে থাকে। ২৫% আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং মার্কেটং এক্সজিকিউটিভ তাদের প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো মোবাইলেরমাধ্যমে সমাধান করে থাকে। ৭০% মোবাইল ব্যবহারকারীরা তাদের কেনাকাটার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। এসবের ভিত্তিতে বলা যায় মোবাইল মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম মাধ্যম। মোবাইল প্রযুক্তি যত আপডেট হচ্ছে মানুষের চাহিদাও তত আধুনিক হচ্ছে ।তাই ব্যবসায়ীক প্রচারণাকেও আপডেট করতে হবে।আর এর জন্য Digital Marketing হতে পারে সবচেয়ে সঠিক ও যুগান্তকারী সমাধান। Bulk SMS Marketing এর সাথে অনেকেই কম বেশি পরিচিত । কারণ আমাদের সকলের ফোনেই কম বেশি বিভিন্ন রকম অফারের এসএমএস এসে থাকে যা অদিকাংশ ক্ষেত্রেই বিরক্তিকর প্রায় সবার কাছে । তবে সঠিকভাবে SMS Marketing করতে পারলে আপনি অবশ্যই লাভবান হতে পারবেন । কি ধরনের SMS পাঠাতে হবে এবং সেটা মাস্কিং নাকি নন মাস্কিং হবে তা সঠিকভাবে আগে থেকেই প্লান করে নিতে হবে । অন্যথায় অনেকের মত আপনার টাকাও জলে ঢালার মত অবস্থা হবে ।

Email Marketing

ইমেইল এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করাকে সাধারন ভাবে Email Marketing বলা হলেও এর ক্ষেত্র টি বিশাল। ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে একটি সাজানো আর্টিকেল বা কন্টেন্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পণ্যের গুণাগুণ তুলে ধরে, তাকে ওই পন্য ক্রয়ে আগ্রহী করে তোলা। এর মাধ্যমে অল্প সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। স্মার্ট ইমেইল প্রেরণের মাধ্যমে ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব।

Email Marketing সাধারণত তিনটি ধাপে করা যেতে পারে-

  1. Email Template
  2. Email Collection
  3. Email Delivery

Email Template

প্রথমে Email Marketing এর জন্য ইমেইল টেম্পলেট বানাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে, আপনার ইমেইলে যে পণ্যটি সম্পর্কে লিখবেন সেটি দেখতে কেমন হবে। তার উপর ভিত্তি করে সুন্দর শব্দ চয়নের মাধ্যমে ভালো আর্টিকেল বা কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা পড়ে গ্রাহক যেন পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। আর এতে সাহায্য করতে একটি সন্দর রেসপন্সিভ ইমেইল টেমপ্লেট।

Email Collection

Email Marketing এর অন্যতম একটি কাজ হলো প্রচুর পরিমাণ ইমেইল কালেক্ট করা। কারণ এই ইমেইল এড্রেসগুলোতেই আপনি পণ্য বা ব্যবসা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য গ্রাহকের কাছে পাঠাবেন এবং ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করবেন। যত বেশি ইমেইল সংগ্রহ করা যাবে বিক্রির সম্ভাবনা তত বেশি বেড়ে যাবে । তবে সঠিক অডিয়েন্সের কাছে আপনার ইমেইল টি পাঠাতে হবে।

Email Delivery

ইমেইল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ইমেইল ডেলিভারী করা। ইমেইলগুলো ডেলিভারী করার জন্য SMTP (simple mail transfer protocol) সার্ভার প্রয়োজন হয় । সাধারন ভাবে আমরা মেইল পাঠানো জন্য যে সাইটগুলো ব্যবহার করি যেমন Verizon, Comcast, AOL, Gmail, Yahoo, GoDaddy, Earthlink ইত্যাদি। এই সাইটগুলো আপনাকে বেশি পরিমাণ মেইল একদিনে পাঠাতে দিবে না। অথচ আপনাকে হয়তো প্রতিদিন হাজার হাজার মেইল বা লক্ষ মেইলও পাঠাতে হতে পারে । তাই নিজে SMTP সার্ভার কিনে সেটআপ করে যত ইচ্ছা পাঠাতে পারবেন। একজন সফল ও ভালো মানের ইমেইলে মার্কেটার হতে হলে অবশ্যই আপনার একটি ভালো মানের SMTP সার্ভার প্রয়োজন হবে।

প্রপার Email Marketing হতে পারে কম খরচে ব্যপক Digital Marketing এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

Affiliate Marketing

Affiliate Marketingকে সাধারণ ভাবে বলা যায় অন্যের প্রডাক্ট মার্কেটিং করা । অন্যর পণ্য বিক্রি করে যে কমিশন পাওয়া যায় সে কমিশনকে অ্যাফিলিয়েট কমিশান বলে। যেমন আমার দোকানের মাল আপনি প্রচার প্রচারনা করে বিক্রি করলেন। তার বিনিময়ে আপনাকে কিছু কমিশান দিলাম । সারা বিশ্বে হাজার হাজার কোম্পানি অ্যাফিলিয়েট অপশন রাখার ফলে তাদের প্রচুর প্রোডাক্ট বিক্রি হয় এবং হাজার হাজার মার্কেটার এই প্রডাক্ট বিক্রি করে কমিশন নিচ্ছে । Amazon, Alibaba Themeforest, ebey, সহ প্রায় সব বড় বড় কম্পানি অ্যাফিলিয়েট কমিশান দিয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে Amazon affiliate. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিভিন্ন ভাবে করা যায়।

এই সব ছাড়াও Digital Marketing এর ক্ষেত্র আরো ব্যপক ও বিশাল। Digital World এর Digital সব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব প্রতিনিয়িত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি মাধ্যমে সফলতার জন্য প্রয়োজন সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করা। Digital Marketing এর প্রতিটি সেক্টরের জন্য রয়েছে ভীন্ন ভীন্ন কৌশল। এসবের ভিত্তিতে আমাদের IMBD Agency দিচ্ছে প্রপার ডিজিটাল মার্কেটিং এর নিশ্চয়তা। 

ডিজিটাল মার্কেটিং হল সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং পিপিসি বিজ্ঞাপনের মতো এক বা একাধিক মার্কেটিং চ্যানেল (মাধ্যম) ব্যবহার করে ইন্টারনেটে পণ্য বা পরিষেবাদি প্রচার ও বিক্রয় করার প্রক্রিয়া।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ডে আগ্রহী ক্রেতাদের সন্ধান করতে পারেন, তাদের সাথে আলাপচারিতা করতে এবং গ্রাহক হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রচলিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদাহরণ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, পিপিসি মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেল মার্কেটিং।

যখনই আপনি কোন কোম্পানির মালিক হবেন, অথবা ব্যবসার CEO হবেন তখনই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাকে সচেতন হতে হবে। আপনার বিক্রি বাড়াতে কিংবা ক্রেতাদের কাছে পণ্যের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দিতে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠবে।

বর্তমানে বিশ্বের নামীদামি সব সংস্থা তাদের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পণ্যের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল। কারণ, একমুখী বিজ্ঞাপনের পুরাতন পদ্ধতিগুলো এখন আর কাজ করে না। যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করে অনলাইন গ্রাহকদের সাথে দ্বি-মুখী যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। কেননা এখনকার সময়ে ক্রেতাদের বড় একটি অংশই অনলাইন বা ইন্টারনেট থেকে আসে।

আপনি যদি মনে করেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোর মতো একটি অপরিহার্য কাজ নয়, তাহলে তা অবশ্যই আপনার ব্যবসার জন্য ক্ষতিকারক হবে। আপনি যখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট, পোস্ট, শেয়ার বা মন্তব্য করছেন, তখনই আপনি নিজেকে মার্কেটিং করছেন এবং অনলাইনে আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করছেন।

আপনি যদি আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত কোন কাজ ইমেলের মাধ্যমে প্রচার করেন, কিংবা কোন অনলাইন বিজ্ঞাপন সংস্থার কাছে জমা দেন, তাহলে ধরে নিন সক্রিয়ভাবে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত।

কীভাবে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া যায়, তা শিখে এর জ্ঞান আপনি ব্যক্তিগতভাবে অথবা পেশাগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই দক্ষতাগুলো আপনাকে আপনার ব্যবসার প্রচারণা বৃদ্ধিতে আরো সাহায্য করবে। পাশাপাশি বেশি বেশি সেল জেনারেট করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

**ঘরে বসেই কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন?**

একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে হলে আপনাকে অনলাইনভিত্তিক সকল প্রযুক্তির সাথে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এগুলো একদমই কঠিন কিছু না। আপনি যদি বিভিন্ন প্রকার সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকেন এবং জানেন কিভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে হয়, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কৌশলই আপনি নিজে থেকে আয়ত্বে আনতে পারবেন।

কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সাথে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিজের আয়ত্বে আনতে পারবেন। তবে সুসংবাদটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হওয়ার জন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে না বা কোর্স করতে হবে না।

কোর্সটিকায় আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার এমন কিছু প্রাথমিক পদ্ধতি তুলে ধরব, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজের বাড়িতে থেকে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে এবং তৈরি করতে পারেন।

**ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য নিচের ৫ টি বিষয়গুলোর ওপর আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে:**

* Search Engine Marketing

* Content Marketing

* Social Media Marketing

* Email Marketing

* Digital Marketing Analytics Tools

**1. Search Engine Marketing**

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি প্রধান উপাদান। বিভিন্ন প্রকার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ বা SEO করে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং পরিচালনা করা হয়। কখনো কখনো Google Ads অথবা Bing Ads এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয়।

SEO হচ্ছে ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাঙ্ক করার একটি বহুল প্রচলিত প্রকৃয়া, যার ফলে কেউ নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করলে নিজের ওয়েবসাইট ভিজিটরের সামনে নিয়ে আসা যায়।

অনলাইন মার্কেটিং এ SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আপনার ওয়েবসাইটে টার্গেট করা ট্র্যাফিক বা ভিজিটর এনে দিতে পারে। যদিও পেইড বিজ্ঞাপনের চেয়ে SEO একটি ধীর প্রক্রিয়া। তবে এটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল এতে দিতে সক্ষম।

কোর্সটিকায় Search Engine Optimization (SEO) নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং সহজভাবে শিখিয়েছি কিভাবে SEO করতে হয়। নিচের বাটনে ক্লিক করে SEO শিখে নিন।

প্রতিটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচারের বিষয়বস্তু বা কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে। এটি SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, বা ইমেল মার্কেটিং যাই হোক না কেন, বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে আপনার লক্ষ্য করা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর এবং তাদের সাথে জড়িত থাকার অনিবার্য একটি অংশ।

কন্টেন্ট মার্কেটিং হল লিখে অথবা ভিডিও বা এনিমেশন তৈরি করে পণ্যের প্রচার করা। একজন কনটেন্ট মার্কেটার তার পণ্যের প্রচারণা আর্টিকেল লিখে প্রচার করতে পারে। অথবা চাইলে তার ওপর একটি ভিডিওচিত্র তৈরি করেও প্রচারণা চালাতে পারে। যা কনটেন্ট মার্কেটিং এর অংশ।

এতজন ভালো কনটেন্ট মার্কেটার হওয়ার জন্য আপনার দুর্দান্ত লেখার দক্ষতা, এসইও কপিরাইটিং দক্ষতা এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা থাকতে হবে। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি কনটেন্ট মার্কেটার হওয়ার সবগুলো ধাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আমি মনে করি যে, সকলেই একটি বিষয়ের সাথে একমত আজকাল ফেসবুক বা টুইটার ছাড়া একটি পৃথিবীকে কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব।। বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলো আমাদের জীবনে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করছে।

যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এর লক্ষ্য হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা, তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য শাখা হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরম ব্যবহার করে অনলাইনে থাকা মানুষের কাছে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণার নামই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। আমরা সময় কাটানো, বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন কিংবা চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি।

আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মার্কেটিং মূলত এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। কারণ এর মাধ্যম যেখানে আমরা ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা লোকেদের কাছে নিজের পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করতে পারি এবং তাদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে পারি।

যেহেতু বিশ্বব্যপি বেশকিছু সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে, তাই এই মার্কেটিং এ ভালো করতে হলে সর্বাধিক প্রচলিত প্লাটফরমটিকেই বেছে নিতে হবে। কোর্সটিকায় Social Media Marketing নিয়ে তথ্যবহুল একটি আর্টিকেল রয়েছে। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি খুব সহজেই লেখাটি পড়তে পারেন।

ইমেল মার্কেটিং বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। ইমেল মার্কেটিং এখন আর ফলপ্রসূ নয়, এমনটি যারা ভাবেন, তাদের জন্য অবাক করা তথ্য হচ্ছে বিশ্বজুড়ে এখন প্রতিদিন ইমেল মার্কেটিং এর ওপর বিলিয়ন ডলারের কাজ হয়।

বর্তমান সময়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ইমেল মার্কেটিং বেশ কার্যকরী। তবে একজন ইমেল মার্কেটার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এর কিছু দুর্দান্ত কৌশল জানতে হবে। অন্যথায় আপনার ইমেলগুলো আপনার ব্যবহারকারীর স্প্যাম ফোল্ডারেই গিয়ে জমা হবে।

ইমেল মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে এর কিছু টুলস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তারপরে এটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে হবে। চিন্তার কোন কারণ নেই। কোর্সটিকায় আমরা আপনাকে শেখাবো কিভাবে একজন সফল ইমেল মার্কেটার হওয়া যায়। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করলে আপনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইমেল মার্কেটিং শেখার সকল কৌশল।

ডিজিটাল মার্কেটারদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট‌্য হচ্ছে তাদের বিভিন্ন মার্কেটিং Marketing Analytics Tools এর ওপর দক্ষতা থাকতে হয়।

এটি অবশ্যই মনে রাখবেন যে, একজন সুদক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ শুধু এসইও বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন পরিচালনা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি এসইও বিশেষজ্ঞ বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবস্থাপকের কাজ।

সুতরাং একজন পেশাদার ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ হচ্ছে ক্রেতার অবস্থান, পছন্দ ও আগ্রহ বুঝে পণ্যের টার্গেট নির্ধারণ করা। যা বিভিন্ন প্রকার Analytics Tools এর মাধ্যমে সম্ভব।

আর এটি আয়ত্বে আনতে আপনাকে Google Analytics এবং Google Search Console এর মতো বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ টুলস কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে হবে। কোর্সটিকায় আপনি Google Analytics এর ওপর দারুণ সব টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করে জেনে নিন সবকিছু।

আমি নিশ্চিত যে এতক্ষণে আপনি এখনই বুঝতে পেরেছেন, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা কোনও সহজ কাজ নয়। প্রতিটি কৌশল কীভাবে আলাা আলাদা কাজ করে এবং সর্বাধিক ফলাফলের জন্য কীভাবে আপনি তাদের একত্রিত করতে পারেন তা জানতে প্রচুর পড়া এবং প্রচুর অনুশীলন প্রয়োজন।

তবে সুসংবাদটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হওয়ার জন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে না বা কোর্স করতে হবে না। কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সাথে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিজের আয়ত্বে আনতে পারবেন। আপনার যা যা দরকার তা হল শেখার ইচ্ছা এবং প্রচুর ধৈর্য।

**সবশেষে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পথ আরো বেশি মসৃণ করতে নিচে দেয়া সংক্ষিপ্ত টিপসগুলো অনুরণ করুন:**

**এসইও দিয়ে শুরু করুন:** পিপিসি, সামগ্রী বিপণন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং দ্বারা ব্যবহৃত অনেকগুলি ধারণা এসইও নীতির উপর ভিত্তি করে। প্রথমে আপনার এসইও দক্ষতা তৈরি করা শিখতে আরও সহজ করে তুলবে।

**প্রাকটিস, প্রাকটিস, প্রাকটিস:** ইন্টারনেট মার্কেটিং কোন তাত্ত্বিক ধারণা নয়। এটি বেশিরভাগই ব্যবহারিক। একবার আপনি কৌশলটির পিছনে তত্ত্বটি বুঝতে পারলে বাস্তবে এটি কার্যকর করার চেষ্টা করুন। ফলাফলগুলো নিরীক্ষণ করুন। একবার ব্যর্থ হলে কি কি ভুল আছে, তা শোধরানোর চেষ্টা করুন।

**সম্ভব হলে Certificate নিন:** আপনার শেখার মাধ্যমে আপনি যে অগ্রগতি লাভ করছেন, তার স্বীকৃতি স্বরূপ Certificate নিন। এটি আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের একটি দুর্দান্ত উপায়। বিভিন্ন সংস্থা থেকে আপনি কোর্স করে প্রশংসাপত্র সরবরাহ করতে পারেন। Certificate অর্জন করা অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। তবে সম্ভব হলে অবশ্যই করে নিন।

**অভিজ্ঞদের সাথে কাজ করুন:** অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটারদের অধীনে কিছুদিন কাজ করুন। প্রয়োজন হলে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করুন। এর ফলে তাদের কৌশলগুলো আপনি শিখতে পারবেন। বাস্তব শিক্ষা আপনাকে এতটা পারদর্শী করে তুলবে, যা কোন কোর্স বা বই পড়ে আপনি জানতে পারবেন না।

**নিজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন:** কাজের দক্ষতা এবং রেকর্ড প্রদর্শের জন্য নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। আপনি এখন পর্যন্ত কি কি কাজ করেছেন, কাদের সাথে কাজ করেছেন, সফলতা… এসবকিছু আপনার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করুন। এর ফলে বায়ার আপনার প্রফেশনাল প্রোফাইল দেখে আকৃষ্ট হবে। **একটি ওয়েবসাইট তৈরির অর্ডার দিন।** 

**শেখা থামাবেন না:** ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি শিল্প যা সর্বদা পরিবর্তিত হয়। তাই এই সেক্টরে কখনোই শেখা থামাবেন না। কখনোই মনে করবেন না যে, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবকিছু জানেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এ পেশাদার হিসাবে আপনার কাজ হচ্ছে সর্বশেষ ঘটনাবলীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ক্লায়েন্টদের অবহিত করা।

ওয়েবসাইটকে ভাইরাল করবে কোন ধরনের কনটেন্ট, চিন্তিত?

আপনার কাছে কনটেন্ট মার্কেটিং মানে কি মনে হয়? শুধু, মাত্র আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট? লেখা লিখি দিয়ে, আমার অনলাইন জীবন শুরু। এক সময় আমার কাছে কনটেন্ট মার্কেটিং মানে শুধু আর্টিকেল কেই বুঝতাম, ঠিক আপনার মতই। কিন্তু, আপনি যদি আমার পূর্বের পোস্ট গুল পরে থাকেন, তাহলে আপনি হয়ত বোঝা শুরু করছেন কনটেন্ট মার্কেটিং মানে শুধুই আর্টিকেল বা ব্লগ লেখা নয়। তার থেকেও আরো বেশি কিছু।

আপনি যদি কনটেন্ট মার্কেটিং কে বেশি ফোকাস করেন তাহলে আপনার যে দুইটা কাজ প্রধান, তাহলঃ

  • আপনার সাইট/ব্লগ শুরু কর
  • লেখা শুরু করেন

আপনার কাজ এখন নতুন নতুন অসাধারণ কনটেন্ট দিয়ে সাইট কে অসাধারণ করে তোলা। এই কাজ গুল করার পর দেখবেন আপনার সাইটে নতুন নতুন ভিজিটর আসছে, টার্গেট ভিজিটর বেড়ে গেছে, কনভার্সন রেট এবং এসইও তে অনেক ভাল করছেন। কিন্তু, এই খানে আপনি প্রধান যে ঝামেলার সম্মুখীন হবেন সেইটা হল পরবর্তী আর্টিকেল কোন টাইটেলের উপর লিখবেন, যা আপনার ভিজিটর কে আপনার সাইটে পরের বার আসতে বাধ্য করবে। আমার এই আর্টিকেল ঐ ধরনের কিছু আর্টিকেল দেখার চেষ্টা করব, যে গুল আপনাকে নতুন ট্র্যাফিক আনতে সাহায্য কবে। তার আগে আসেহ্ন কিছু রুলস দেখে নেইঃ

  •  ধরনের কনটেন্ট এক ধরনের প্রডাক্ট, ব্র্যান্ড বা ব্লগের জন্য খুব কাজের। এই খানে যে গুল আলোচনা করা হবে সে গুলর সবই যে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার জন্য যে প্লান পারফেক্ট ঐ ব্যবহার করনে।
  • ভয় নাইঃনতুন কোন কনটেন্টের ধরনা পাওয়ার পর কখন চিন্তা করবেন এই ঝামেলাতে যাওয়ার দরকার নেই। আপনি হয়ত সব সময় সেফ মুডে থাকতে পছন্দ করেন, কিন্তু আপনি যদি সব সময় সেফ মুডে থাকেন তাহলে উপরে উথবেন কি করে। আমাদের দেশে এখন ইউটিউব মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা অনেক। ভিডিও বানানর সময় আপনার যদি মনে হয় “আমার কাছে কোন ভাল মানের ক্যামেরা নেই, কোন সফটওয়্যার নেই তাহলে কি ভাবে কাজ করব”। ভাই হাতে যদি একটা স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে ঐটা দিয়েই শুরু করেন। ছোট ছোট কাজ আপনাকে ভাবতে শেখাবে এর থেকেও ভাল জিনিস থাকলে পানি জি ভাবে কাজ করতে পারতেন।
  • শিডিউলঃনিচের যে কোন একটা প্লান আপনার ভাল লেগে গেল। এই বার কি করবেন? তখন আপনার প্রথম কাজ হবে একটা শিডিউল প্লান করা। আপনি যদি কোন প্লান না করেই কাজ করা শুরু করেন, তাহলে ভাল ফলাফল পাবার সম্ভবনা কমে যাবে এবং ঐ প্লানের সত্যিকারের মজাটা আপনি মিস করবেন।
  • আইডিয়াঃকোন কনটেন্ট ভাল করবে কি করবেনা এইটা অনেক অংশে নির্ভর করে, আপনার আর্টিকেলের আইডিয়া কতটা ভাল। সুতরাং, আর্টিকেল লেখার আগে একটা ভাল আইডিয়া বের করুন, পরে লেখা শুরু করুন।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক…

  • ইনফোগ্রাফিকঃআপনার কাছে এই শব্দটা অনেক বেশি পরিচিত। যে কোন ধরনের কনটেন্ট থেকে ইনফগ্রাফিক বেশি পরিমাণে শেয়ার, ভিউ বেশি পাবে। সব থেকে বড় কথা হল আপনার ভিজিটর ইনফগ্রাফিক কে যে কোন ধরনের কনটেন্ট থেকে ইনফগ্রাফিকে বেশি ভালবাসে। ইনফর্মেশন কে ভিজুয়ালি প্রকাশ করার জন্য ইনফগ্রাফিকের কোন জুড়ি নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনফগ্রাফিক যে কোন কন্টেন্টের থেকে ভাল কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার জন্য ইনফগ্রাফিক একটা বেস্ট অপশন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারেঃকি ভাবে বানাবঃআপনার আশেপাশে যদি কোন গ্রাফিক ডিজাইনার থাকে তাহলে তার কাছ থেকে বানাতে পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলতে একটু খুঁজাখুঁজি করলেই আপনি ভাল মানের ইনফগ্রাফিক ডিজাইনার স্পেশালিষ্ট পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনার পকেটে যথেষ্ট পরিমাণে বাজেট থাকে তাহলে এই সাইটের সাহায্য নিতে পারেন।কখনঃএখন আপনার মনে হতে কোন সময় আমার ইনফগ্রাফিক বানান উচিৎ? এত চিন্তা করার কিছু নেই। আপনি যে কোন জায়গায় ইনফগ্রাফিকে ব্যবহার করতে পারেন। কোন বাধা বা রুলস নেই। কোন পরিসংখ্যান, ডাটা, ফলাফল, রিসার্চ প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করতে পারনে।মনে রাখবেনঃইনফগ্রাফিক তৈরি করতে খরচ একটু বেশি হতে পারে।ইনফগ্রাফিক বানাবেন আর সেইটা ভাইরাল হয়ে যাবে, এমন কোন কথা নেই। একবার কেউ যদি এর মজা পেয়ে যায় তাহলে সে সবসময় চেষ্টা করবে ইনফগ্রাফিক বানানর জন্য। সুতরাং, আপনাকে এমন কিছু বানাতে হবে যা আসলেই শেয়ার হওয়ার যোগ্য।ইনফগ্রাফিক মানে শুধু যে আপনাকে শুধু ডাটা দিয়ে রেখে দিবেন তা কিন্তু না। এই জন্য আপনি GIF কে ব্যবহার করতে পারেন। আমার কাছে মনে হয় ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করার থেকে GIF ব্যবহার করা অনেক ভাল।
  • মিমিঃমিম আমার কাছে একটা অসাধারণ টুলস মনেহয় এর প্রধান কারণ হল বানান খুবই সোজা। ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। সব থেকে বড় কথা হল আপনাকে হাসতে হাসতে ইনফর্মেশন দিবে। আপনার বিরক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।কি ভাবে বানাবেনঃআপনাকে মিমি বানাতে হলে গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার দরকার নেই। মিমি জেনারেটর এবং কুইক মিমি থেকে খব সহজেই মিমি বানাতে পারবেন।মিমি কিন্তু আপনার ব্লগের জন্য বেস্ট অপশন নয় তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এর কোন তুলনা নেই।কখন কখন আপনার ফান মুডের ইনফর্মেশন কে প্রকাশ করার জন্য মিমি হতে পারে একটা ভাল মাধ্যমমনে রাখবেনঃমিমি যে কোন নিসের জন্যই ভাল কাজ করে। আপনার নিস যাইহোক না কেন আপনি মিমি ব্যবহার করতে পারেন।আমি এই কথা মনে হয় অনেকবারি বলছি কোন কিছু অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করার সময় একটু ভেবে চিন্তে ব্যবহার করবেন। কোন ধরনের ভুল ব্যবহার আপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • ভিডিওঃএই ভিডিও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আপনি যে খানে আর্টিকেল লিখছেন, ইচ্ছা করলে ঐটাকে আপনি ভিডিও আকারে পোস্ট করতে পারেন। ভিডিও লেখার থেকেও অনেক ভাল কাজ করে। কারণ কোন ঘটনা কার কাছ থেকে শোনা আর সামনে ঘটতে দেখা দুইটাই আলাদা জিনিস। আপনার সামনে যে জিনিস ঘটতে দেখবেন ঐটা বেশি দিন পর্যন্ত মনে থাকবে। আপনি যদি খুভ ভাল মানের ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে তার সুফল অনেক।কি ভাবে বানাবেনঃযে কোন ধরনের ভিডিও বানানর আগে আপনাকে একটা স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে। ভিডিও মানেই যে সেখানে মুভিং পিকচার থাকতে হবে, তা কিন্তু নয়। আপনি যে কথা গুল বলতে চান সেই গুলা প্রকাশ করাই তার মূল উদ্দ্যেশ্য।ভিডিও তৈরি করা হয়ে যাওয়ার পর ইউটিউব অথবা ভিমো তে পাবলিশ করেন। আপনি কোন কিছু লিখে যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন ইউটিউব এর ভিডিও শো করছে। সুতরাং, ইউটিউব কিন্তু গুগলে সারপে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, আপনার ভিডিও এসইও তে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।মনে রাখবেনঃআপনি যদি একটু ভাল মানের ভিডিও বানানর চেষ্টা করেন তাহলে আপনার বাজেট ভাল থাকা লাগবে। তবে আপনি নিজে চেষ্টা করতে পারেন বানান জন্য ছোট পরিসরে, তবে আপনি যদি কোন ভিডিও স্পেশালিষ্ট সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে একটু খরচ হবে এইটা স্বাভাবিক।তবে কখনই ভিডিও কে অনেক বড় করে ফেলবেন না। দুই – তিন মিনিট একটা ভিডিও এর জন্য পারফেক্ট।
  • গাইডঃগাইড হল একটু বড় কনটেন্ট। আমারা এইটাকে ব্লগ পোস্টের মহাকাব্য বলতে পারি। যে কোন সাধারণ একটা ব্লগ পোস্টের লেন্থ, স্টাইল এবং প্রকাশ করার ভঙ্গি থেকে গাইড বড় হবে।কি ভাবে লিখবঃআপনি যদি একটা গাইড লিখতে যান তাহলে আপনার দরকার ভাল মানের রাইটার, ডিজাইনার, এবং একটা আইডিয়া। রাইটার কি জানতে হবে কি ভাবে কোন লিখে প্রকাশ করতে হয়। আর ডিজাইনারের কাজ হবে আকর্ষণীয় করে তোলা। আর আইডিয়া হবে এমন কিছু যা আপনার ভিজিটর সব সময় খুঁজা খুঁজি করছে। আপনি ইচ্ছা করলে পিডিএফ আকারে আপনার গাইডকে প্রকাশ করতে পারনে।মনে রাখবেনঃআপনি মেইল এড্রেস কালেক্ট করার জন্য গাইড কে ব্যবহার করতে পারেন। যখন কেই আপনার গাইডকে ডাউনলোড করতে চাইল, তখন তাকে বলতে পারনে “গাইড ডাউনলোড করতে রেজিস্টার করুন।”আপনি যদি একটা ভাল মানের গাইড লিখে ফেলতে পারেন তাহলে আপনি অনেক দিন ধরে সুবিধা পাবেন কোন ধরনের এক্সট্রা কাজ ছাড়াই। সুতরাং, গাইড লেখার সময় একটু সময় নিয়ে মান নিশ্চিত করুন। ভাল মানের লেখা যদি আপনি অসাধারণ ভাবে প্রেজেন্ট না করতে পারনে তাহলে আসল উদ্দ্যেশ্য জলে যাবে।
  • বইয়ের রিভিউঃএকটা বইয়ের রিভিউ হল যে কোন একটা বইয়ের উপর লেখা। বইটা পড়ার পর আপনার ভাল লাগা, খারাপ লাগা, কোন বিষয়টা আরো ভাল করার দরকার ছিল। এই বিষয় গুল নিয়ে আলোচনা করা।কি ভাবে লিখবেনঃরিভিউ লেখাটা কেমন হবে এইটা নির্ভর করছে আপনার উপর। তবে লেখার সময় আপনি যে বিষয় গুল মাথায় রাখবেনঃএকটা সুচনা লিখনঃ ১-৫ বাক্যের মধ্যেলেখকের পরিচয়ঃ ১-৫ বাক্যের মধ্যেবিশেষ পয়েন্টঃ বইয়ে লেখা বিশেষ পয়েন্ট গুল উল্ল্যেখ করেনঃ ১-৩ বাক্যের মধ্যেযে গুল পছন্দ হয়নিঃ বই পড়ার পর আপনার যে বিষয় গুল পছন্দ হয়নি ঐ গুল প্রকাশ করেনঃ ১-৫ বাক্যের মধ্যে।আপনার রিভিউ যারা পড়বে তাদের উপদেশ দিতে পারেন বইটা পড়ার জন্যঃ ১-৩ বাক্যের মধ্যেপরিশেষ বইটা কোন খানে পাওয়া যাবে সেইটা উল্ল্যেখ করতে ভুলবেন না।মনে রাখবেনঃএই ধরনের রিভিউ অনেক ভাল কাজ করে যদি আপনার ভিজিটর একটু পড়ুয়া টাইপের হয়আপনি যদি কোন নতুন পাবলিশ হওয়া অথবা কিছু দিন পরেই পাবলিশ হবে এমন কিসুর উপর রিভিউ লিখতে পারনে তাহলে ভাল ফলাফল পাবেন। আর যদি কোন ভাবে লেখকের ইন্টার্ভিউ নিতে পারেন তাহলে ফলাফল কপ্লনা অতীত হওয়ার কথা।
  • মতামতঃসাধারণত আমারা যে আর্টিকেল পোস্ট করি তার থেকে এইটা আলাদা। আপনি আর্টিকেল লেখার সময় চেষ্টা করেন একটা ভাল মানের রিসার্চ বেজ আর্টিকেল লেখার জন্য। আপনি যে নিসের উপর কাজ করছেন ঐ কাজের গুরু গুলকে বের করে ফেলবেন। এর পর আপনার মতামত।কি ভাবে লিখবেনঃপ্রথম কাজ হল আপনার নিসের বর্তমান হট টপিক খুঁজে বের করুন। আপনার নিসের যদি হটাত কোন পরিবর্তন আসে চেষ্টা করুন, ঐটা নিয়ে লেখার জন্য। আপনি যখন কোন জনপ্রিয় টপিক নিয়ে লিখবেন তখন সার্চ ইঞ্জিন এবং শেয়ার দুইটাই ভাল কিছু পাবেন।মনে রাখবেনঃকখন এমন যেন না হয় প্রত্যেক দিনই অন্যের কোন কিছু নিয়ে কথা বলা শুরু করে দিবেন।সব সময় চেষ্টা করুন সাধারণ থাকার। আপনার মতামত যেন অন্যের রাগের কারণ না, হয়ে দাঁড়ায়।নিজের কথা গুলকে সব সময় স্পষ্ট করে লিখবেন। আপনার লজিকের মধ্যে জড়তা যেন, না থাকে।
  • প্রডাক্ট রিভিউঃপ্রডাক্ট রিভিউ ঠিক বইয়ের রিভিউর মতই কাজ করে। আপনি যদি ভাল মানের রিভিউ আপনার নিসের উপর লিখতে পারেন তাহলে সবাই আপনাকে গুরু বলে ভাবা শুরু করবে। আপনি যদি আপনার নিস নিয়ে একটু সময় দেন তাহলে দেখবেন রিভিউ লেখার মত অনেক কিছু আছে যেমন প্রডাক্ট, সফটওয়্যার, এবং সার্ভিস। আপনাকে যে জিনিসটা করতে হবে তা হল আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।কি ভাবেঃপ্রথমে প্রডাক্টকে পরিচয় করিয়ে দিনএর প্রডাক্টের উৎপাদকপ্রডাক্ট সম্পর্কে লিখুনযে বিষয়টা পছন্দকোনটা পছন্দ হল নাআপনার যদি কোন সাজেশন থাকেকোন খানে পাওয়া যাবে তার লিংকমনে রাখবেনঃপ্রডাক্টের রিভিউ দেয়ার সময় চেষ্টা করেন প্রডাক্ট হাতের কাছে রেখে একটা ভিডিও দেয়ার জন্য।
  • হাউ টুঃহাউ টু আর্টিকেল সব থেকে জনপ্রিয় কনটেন্ট। হাউ টু আর্টিকেল লং টেইল সার্চে অনেক ভাল কাজ করে।কি ভাবে লিখবেনঃসমস্যার কথা বলেনসমাধান বলুনসমাধানের প্রত্যেকটা স্টেপ ভাল ভাবে বলুনসারমর্ম লিখুনএবং পরিশেষে উপসংহারমনে রাখবেনঃপ্রতিদিন যে সব সমস্যার সম্মুখীন হন, চেষ্টা করেন ঐ সব নিয়ে আর্টিকেল লেখারআপনি যত পরিষ্কার করে লিখতে পারবেন, তত ভিজিটর আপনার আর্টিকেল কে গুরুত্ব দিবে। আর্টিকেল কে ভাল করার জন্য আপনি ডায়াগ্রাম, ভিডিও, এবং পিকচার ব্যবহার করতে পারেন।
  • লিংক পেজঃলিংক পেজ হল এমন একটা পেজ যেখানে অনলাইনে আপনার ভাল লাগা ভাল মানের আর্টিকেল গুলর লিংক এক জায়গায় করে রাখবেন। এই ধরনের রিসোর্স পেজ এসইও তে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কি ভাবে করবেনঃকাজ খুবই সিম্পিল। কাজ হবে একদম লিংক রাউন্ড আপের মত। মাসের সেরা আর্টিকেল গুল এক জায়গাই করে এবং আর্টিকেল গুলর টাইটেল কে হাইপার লিংক করে দেন। কাজ শেষ।মনে রাখবেনঃলিংক এ্যাড করার যদি পারেন একটু বর্ণান দিয়ে দিতে পারেন।
  • বইঃবই হল একটা লং কনটেন্ট যা বিভিন্ন ফরমেটে হতে পারে যেমন পিডিএফ। আপনি ফ্রী বই ডাউনলোড করার অপশন রাখতে পারেন, বিনিময়ে শুধু মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে সাবস্ক্রাইব করবে। সাধারণ আর্টিকেলের থেকে বই অনেক বেশি কাজের, কারণ একটা বই হল আপনার জ্ঞান শেয়ার করার সব থেকে ভাল অপশন।কি ভাবে লিখবেনঃআপনি যদি কখন চিন্তা করেন যে বই লিখবেন তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যে একটা বইতে যে পরিমাণে কনটেন্ট থাকে সমপরিমাণে কনটেন্ট আছে এবং সাথে গুণগত মান। ১০ হাজার শব্দ একটা বইয়ের জন্য পারফেক্ট।বইয়ের চ্যাপ্টার গুল কে ছোট ছোট সাব হেডিং এ ভাগ করে দিতে পারেন। তাহালে যে পড়বে তার জন্য বুঝতে সুবিধা হবে।মনে রাখবেনঃঅবশ্যই একটা ভাল টাইটেল দেয়ার জন্য সময় নেন। আপনার বই কি পরিমাণে রিডার পাবেন এইটা অনেক অংশে নির্ভর করে টাইটেলের উপর।মন্মুগ্ধকর ডিজাইন।পিডিএফ ভার্সনের পাশাপাশী একটা HTML ভার্সন রাখতে পারেন।
  • কেস স্টাডিঃএকটা কেস স্টাডি বলে দিবে আপনার প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস ভোক্তাদের কত টুকু কি ভাবে উপকার করছে।কি ভাবে লিখবেনঃএকটা সারমর্ম লিখে ফেলেন এবং ফলাফল কেমন হতে পারেযে কারণে কাস্টমার আপনার সার্ভিস নেয়া শুরু করল এবং কি ভাবে সাফল্য পেলআপনার দেয়া সমাধান কি ছিল। অবশ্যই এই পার্টকে স্টেপ বাই স্টেপ করে আলোচনা করেন যে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।সব শেষে একটা উপসংহার এবং কেউ যদি ঐ সার্ভিস নিতে চায় তার জন্য একটা লিংকমনে রাখবেনঃকেস স্টাডি লেখা দেখে যেন মনে না হয়, আপনি শুধু মার্কেটিং করার জন্যই এই লেখা লিখছেনএকটা গপ্লের মত করে প্রকাশ করেন। কিন্তু, গল্পটা হবে সফলতার গল্প
  • অডিওঃপোডোকাস্ট কনটেন্ট হিসাবে এখনো অনেক জনপ্রিয়। আর সব থেকে বড় কথা হল এইটা বানাতে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করা লাগবে না। আপনার আসে পাশে অনেকেই আছে যারা গান শোনার মত করে পোডোকাস্ট শুনতে ভালবাসে।কি ভাবে করবেনঃএকটা ভাল মানের মাইক্রফন এবং একটু টেকনিকাল জ্ঞান। আপনি এই গাইডটা ফলো করতে পারেন।মনে রাখবেনঃআপনার পাবলিশ কনটেন্ট গুলর একটা ভয়েচ ভার্সন রাখতে পারেন পোডকাস্টের মাধ্যমে।
  • ইন্টারভিউঃআপনার নিসের লিডারদের একটা তালিকা করে রাখেন। চেষ্টা করেন তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করার জন্য। যদি কোন সুজগ পান তাহলে ইন্টার্ভিউ নিতে পারেন। আপনি যদি কোন ভাবে একটা লিডারের ইন্টার্ভিউ নিতে পারেন তাহলে আপনার প্রডাক্ট, সাইট, সার্ভিসের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে অনেক, আর ভিজিটর যে বৃদ্ধি পাবে এইটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আর সব থেকে বড় কথা হল, ঐ ইন্টার্ভিউ হবে সম্পূর্ণ উনিক- কার কাছে নেই শুধু আপনার কাছে আছে।কি ভাবে করবেনঃপ্রথম কাজ হল যার ইন্টার্ভিউ নিবেন তাকে ইনভাইট করা এবং একটা সময় নিধারন করা। এই কাজ শেষ হওয়ার পর আপনাকে ঠিক করতে হবে কি ভাবে ইন্টার্ভিউ নিবেনঃযার ইন্টার্ভিউ নিচ্ছেন তাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াকোন ধরনের প্রশ্ন করার পর তাকে উত্তর দেয়ার সুজগ দিনপ্রশ্ন গুল এমন ভাবে ঠিক করে যেন, সর্বশেষ একটা সিধান্তে পৌছাতে পারেন।ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করেন এবং অবশ্যই ঐ ধরনের সার্ভিস নেয়ার জন্য কোথায় যাওয়া লাগবে তার একটা লিংকমনে রাখবেনঃএই ইন্টার্ভিউ যে ভাবে রাখতে পারেনভিডিওঅডিওলেখা
  • রিসার্চ এবং ডাটাঃআপনার লেখার সাথে যদি গ্রহণযোগ্য ডাটা থাকে তাহলে আপনার লেখাকে একটা অন্যরকম গ্রহ্নজোগত্য দান করে। আপনি ডাটা এ্যানালিসিসের ফলাফল অন্যের সাথে শেয়ার করা ভিজিটর নিয়ে আসার সব থেকে ভাল একটা মাধ্যম। একটা রিসার্চ বেজ আর্টিকেল লেখা সোজা কাজ না, আর ভিজিটর + গুগল খুব ভাল ভাবেই জানে কি ভাবে এই কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান দিতে হয়। মানুষ আপনার লেখাকে শেয়ার করতে ভয় করবে না, যা ডাটা বিহীন লেখা দেখলে করে।কি ভাবে লিখবেনঃঅবশ্যই আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। আপনি যদি রিসার্চের জন্য ভাল সময় দেন তাহলে পেয়ে যাবেন আপনার টাইটেল কি হওয়া উচিৎ।ডাটা গুলকে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেন। আপনার ডাটা হতে পারে নাম্বার, শতকরা এবং অন্যান্য যা ভিজিটরের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবেমনে রাখবেনঃভাল করে যদি আপনি রিসার্চ করতে গেলে অনেক সময় আপনাকে টাকা খরচ করতে হতে পারে।ডাটা গুলর একটা ইনফগ্রাফিক করে রাখতে পারেন। লেখার সাথে ইনফগ্রাফিক, ভিজিটরের মনযোগ আকর্ষণ বেশি করে।

পরিশেষেঃ

এত সময় ধরে আমি আপনাকে অনেক গুল টুলসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। এখন আপনার কাজ হল, আপনার নিসের জন্য পারফেক্ট যত গুল টুলস আছে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। আপনি ভালভাবে যত বেশি ব্যবহার করতে পারবেন, আপনার সাইট ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি।

আর আপনার যদি নিজেস্ব কোন প্লান, প্রশ্ন এবং উপদেশ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন।

আপনার মতে উপরের সব থেকে ভাল প্লান কোনটা?

আপনার সাইট ভাইরল হউক এই শুভ কামনায় আজকের মত এই পোস্টের সমাপ্তি

1 Comments

Let us know how you are feeling about this article by commenting.

  1. That's another amazing post on yourssite. Thanks for that
    dude. Marketing Manager Jobs 2021 [All Sector Complete awesome Information]

    All of the tips which you mentioned are very helpful while blogging. We must follow all of them while blogging.
    T agree with you, if you are not able to write regularly that's not a major problem but if you are not providing value
    to the reader whenever you write then you are just wasting your efforts and time. Because people always want to learn something
    by reading your posts. Nobody will subscribe to your blog or share it on social media if you are not providing any advantage to them.
    I think networking is also an important factor to become a Marketing Manager Jobs 2021 [All Sector Complete awesome Information] successful
    blogger. We should consistently keep in touch with the other bloggers by doing blog comments, on social media or by meeting them personally.
    in short. there is a lot to learn in this blogging world. Keep learning and keep sharing is the only rule of successful blogging.
    Anyways, that's an amazing post. Keep up the great work. All the best.

    ReplyDelete

Post a Comment

Let us know how you are feeling about this article by commenting.

Previous Post Next Post