অনলাইনে আমরা কী করি সাধারণত? ফেসবুকে শুধু বাঘ শিকার আর ইউটিউবে মহাশূন্যে সাইকেল চালানো ছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক কিছু করা যায়। আমাদের পাঁচটি আঙুলের মাঝে যে বস্তুটি এখন সবচেয়ে বেশিক্ষণ থাকে তা হলো মুঠোফোন। এই মুঠোফোন ব্যবহার করেই বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ-ব্যাক ও রিওয়ার্ডের মাধ্যমে ঘরে বসে করা যাবে রোজগার।

টাকা আয় করার apps: আমরা বর্তমানে গুগল প্লে স্টােরে অনেক ধরনের টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলো পেয়ে থাকি। যে app দিয়ে আমরা টাকা ইনকাম করতে পারি। এই সকল অ্যাপস গুলো আমাদের bank account, mobile recharge, coupon, PayPal account, paytm  account ইত্যাদি হিসাবে আমাদের ইনকাম করা টাকা গুলো দিয়ে থাকে। কিন্ত মনে রাখবেন, google Play store এই বিভিন্ন money earning Android apps গুলোর মধ্যে প্রতিটা যে ভালো হবে সেটা কিন্ত না। টাকা ইনকাম করার অ্যাপ গুলোর মধ্যে অনেক অ্যাপ (apps) এমন রয়েছে যেগুলোতে কাজ করার পরে আপনাকে টাকা দেয় না। এজন্য এই সব অ্যাপস (apps) গুলো থেকে টাকা আয় করা থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া একটি কথা আপনাদের আগেই বলে দেওয়া দরকার যে অনলাইনে টাকা আয় করার অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে আপনারা তেমন বেশি পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন না। সহজ ভাবে বললে এই ধরনের apps গুলোতে আপনারা যে পরিমানে সময় ধরে কাজ করবেন কিন্ত সেই সময়ের পরিমানে আপনাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে না। এজন্য আমি কখনো আপনাদের। এই ধরনের অ্যাপস গুলোতে কাজ করার পরামর্শ দিবো না।

টাকা আয় করার apps: বর্তমানে প্রায় সবার কাছেই এন্ড্রয়েড ফোন রয়েছে,এবং অনেক যুবক-যুবতী,স্টুডেন্ট আছে তারা এই ফোনের মাধ্যমে কিছু পয়সা আর্নিং করার পন্থা খুঁজছেন।তাই, সেই সব বন্ধুদের উদ্দেশ্যে আমি এমন কিছু অ্যাপস নিয়ে কথা বলব,যেখানে আপনি ভিডিও দেখে বা গেম খেলে টাইম পাস করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু হাত খরচের পয়সাও বের করে নিতে পারবেন।

make money from apps

আমরা প্রত্যেক দিন ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলের এর মধ্যে টাইম পাস করি এবং মার্কেটে অনেক কোম্পানি আছে তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি ইউজারের কাছে বিভিন্ন বিজনেস এর মাধ্যমে মোটা টাকার প্রফিট কামিয়ে নিচ্ছে।সেইরকম কিছু কোম্পনি বা এপপ্স আমাদেরও কিছু প্রফিট কামানোর সুযোগ দেয়। আমরা আজ সেই বিষয় গুলি নিয়ে জানবো।

আজ আমরা মোবাইল শুধু কল বা এসএমএস পাঠাবার জন্য ব্যবহার করিনা।মোবাইল থেকে বিভিন্ন জিনিস সপিং বা কেনাকাটা করে থাকি, সিনেমা/সিরিয়াল দেখি,গান শুনি,বন্ধুবান্ধব সাথে চ্যাট করি, খবর শুনি,কমেডি ভিডিও দেখি আবার A to Z ইনফরমেশন বা তথ্য,নলেজ জ্ঞান,শিক্ষা সবকিছু এখন মোবাইল মাধ্যমে পেয়ে যায়।

বর্তমান ডিজিটাল ইন্টারনেটের এই বৃহৎ ইউসার সংখ্যার ফলে বিভিন্ন কোম্পানি নানান ভাবে ব্যবসা শুরু করে প্রফিট করার চেষ্টা করছে।

এরমধ্যে কিছু কোম্পানি মোবাইল অ্যাপস লঞ্চ করে পাবলিক এর সঙ্গে পার্টনারশীপ করে ব্যবসা করে নিচ্ছে,ফলে সাধারণ যুবক যুবতীদের কিচু ইনকাম করার রাস্তা বেড়িয়েছে।

আমি নিচে সেই সব কিছু অ্যাপস নিয়ে কথা বলবো যেখানে আপনি তাদের পার্টনারশিপে এ যোগ দিয়ে কিছু এক্সট্রা প্রফিট আর্নিং করতে পারবেন।

ঘরে বসেই রোজগার করার সেরা অ্যাপগুলি দেখে নিন...

গুগল পে (তেজ):

টাকা লেনদেনের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ গুগল পে। জনপ্রিয় এই অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস গ্রাহকরা ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে ইউপিআই পদ্ধতিতে টাকা লেনদেন করলে রিওয়ার্ড পাওয়ার সুযোগ থাকছে।

আমাজন পে:

গুগল পের মতোই আমাজন পে ব্যবহার করে লেনদেন করলেও মিলবে রিওয়ার্ড। এই জন্য আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করে ইউপিআই পদ্ধতিতে লেনদেন করতে হবে।

মিশো অ্যাপ:

এটা অন্যতম জনপ্রিয় রি-সেলিং অ্যাপ। যারা নিজের কাজের পাশাপাশি অন্য ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য আদর্শ এই অ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে প্রোডাক্টের ছবি শেয়ার করে মাসে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করা যাবে।

পিক্সেলে:

স্টুডেন্টদের জন্য একটি সুন্দর অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে Picxele.

এই অ্যাপস এর মাধ্যমে অনেক কিছু করা যায়। আপনি এখান থেকে বিভিন্ন পার্টটাইম ইন্টারশিপ, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংসহ অনেক ধরনের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন।

ফোপ (foap):
পৃথিবীর বড় বড় অ্যাড সংস্থা, ব্র্যান্ড এবং মার্কেটিং এজেন্সি এখান থেকে ফটো কিনে থাকে। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রেজিস্টার করুন এবং সেখানে আপনার ছবিগুলো আপলোড করে দিন। আপনার ছবিগুলি ভাল রেটিং পেলে তার ভাইরাল হওয়ার চান্স থাকবে। এখানে আপনি একটা একটা ছবি থেকে ৫ থেকে ১'শ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

অবশ্য এই পেমেন্ট নিতে হলে আপনার একটি পেপাল একাউন্ট থাকা দরকার।






১০ টি সেরা টাকা আয় করার apps (Android Apps)

আমি এই পোস্টের মধ্যে যে apps গুলি সাজেস্ট করেছি,সেগুলো থেকে আপনি ঘরে বসেই পয়সা আর্নিং করতে পারবেন।তাছাড়া এই app গুলির মাধ্যমে যেকোন ব্যাক্তি,সে একজন মহিলা হোক,স্টুডেন্ট হোক

বা কোনো বয়স্ক মানুষ হোক না কেন যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে জানেন না,তিনারা সারা দিনে কিছু সময় দিয়ে এই প্লাটফর্ম থেকে একটা ভালো রকম পয়সা আর্নিং করতে পারবেন।

তাহলে চলুন,দেরি না করে শুরু করা যাক।

1. Meesho

মিশো হচ্ছে একটি রিসেলিং অ্যাপ,এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির নানান প্রোডাক্ট যেমন- জামাকাপড়,জুতো,ব্যাগ আরো বিভিন্ন প্রোডাক্ট আছে।

সেই প্রোডাক্ট গুলি  নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে ,বন্ধুবান্ধব এর সঙ্গে শেয়ার করতে হবে।যাকে প্রমোট করা বলে, এরফলে সেই প্রোডাক্ট গুলি সেখান থেকে কেউ buy করলে তার থেকে কিছু আয় হয়। 

আপনি মিশোর কোনো একটি প্রোডাক্ট যেটা ১৫০ টাকা দাম সেটা ২০০ টাকাই বিক্রি করে নিজের প্রফিট/লাভ  বেরকরে নিতে পারেন।এখানে আপনাকে প্রোডাক্ট শিপিং বা বাড়ি পৌছিয়ে দিতে হবে না।

আপনি যে প্রাইস ট্যাগ বেঁধে দিবেন সেটাই ক্রেতা দেখতে পাবে এবং মিশোকে সেটাই ক্রেতা পেমেন্ট করবে। পারে মিশো লাভ আপনারএকাউন্ট এ দিয়ে দেবে।

ঘরে বসে একটি মোবাইল এপপ্স মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা এই পদ্ধতিতে কমিয়ে নিতে পারেন।নিচে এই apps এর লিংক দেওয়া হলো –

ডাউনলোড – Meesho 

আরো পড়ুন – 

  • ঘরে বসে মাসে ১০০০ ডলার আয় করুন।
  • ঘরে বসে পার্ট টাইম জব করুন। 

2. Swagbucks

এই অ্যাপটি ইনস্টল করার পর আপনাকে বিভিন্ন রকম অ্যাক্টিভিটি করতে বলবে এবং সেই অ্যাক্টিভিটি গুলো কমপ্লিট করার পরিবর্তে আপনি কিছু আর্নিং করতে পারবেন।

সাধারনত,এখানে আপনাকে সার্ভে কমপ্লিট করতে হয়, তবে এই সাইট টি অ্যাপ ছাড়াও এর ওয়েবসাইট ভিসিট করে একই কাজ করতে পারবেন।

যে অ্যাক্টিভিটি গুলো আপনাকে এই অ্যাপস থেকে করতে হবে সেগুলো হচ্ছে সার্ভে কমপ্লিট করা,question অ্যানসার করা,গেমস খেলা এবং ভিডিও ওয়াচ করা।

আপনি যে পয়েন্ট আর্নিং করবেন সেগুলো আপনি গিফট কার্ডের মাধ্যমে অ্যামাজন,পেপাল এবং আরো অন্যান্য জায়গায় সেই পয়সাকে ব্যবহার বা খরচ করতে পারবেন।

আপনার যদি পেপাল একাউন্ট না থাকে,তাহলে কিভাবে খুলবেন সেটি জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

ডাউনলোড – swagbucks

Playment

এটি একটি ইন্ডিয়ান এন্ড্রয়েড এপস। বর্তমানে শুধুমাত্র ভারতের লোকজন এই মোবাইল এপস ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারে। এই এন্ড্রয়েড এপস থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য তেমন কিছু করতে হয় না। প্রথমে প্লে-স্টোর থেকে এপস ইনস্টল করে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হয়। ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে খুব সহজে একটি একাউন্ট তৈরি করে নেওয়া যায়। তারপর একটি একটিভ মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করে নিতে হয়। একাউন্ট ভেরিফাইড হওয়ার পর আপনাকে বিভিন্ন ধরনের টাস্ক কমপ্লিট করার জন্য বলা হবে। এপস এর নির্দেশনানুসারে টাস্ক কমপ্লিট করলে আপনার একাউন্টে কিছু টাকা জমা হবে।

2. Google Opinion Rewards

এটি গুগল এর চমৎকার একটি এন্ড্রয়েড এপস। এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে এই এপটি সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই এপস থেকে ইনকামের টাকা ক্যাশ করা যায় না। আপনি এই এপস থেকে আয়ের টাকা দিয়ে শুধুমাত্র গুগল প্লে-স্টোর থেকে বিভিন্ন ধরনের পেইড এপস ক্রয় করতে পারবেন।

এই এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করার জন্য গুগল প্লে-স্টোর থেকে ইনস্টল করে গুগল একাউন্ট ব্যবহার করে সাইনআপ করতে হবে। একাউন্টে লগইন করার পর গুগল আপনাকে প্রতি সপ্তাহে ২০-৩০ টি প্রশ্ন এবং মতামত জিজ্ঞেস করবে। আপনি প্রত্যেকটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারলে প্রতিটি উত্তরের জন্য ৫ থেকে ১৫০ টাকা করে ইনকাম করতে পারবেন। এটি গুগলের সার্ভিস হওয়ার কারনে পরিপূর্ণ ভরসা করা যায়।

3. Google Pay (GPay)

এটি অনলাইনে কেনাকাঠার জন্য গুগলের একটি অসাধারণ এন্ড্রয়েড এপস। অনলাইন থেকে সব ধরনের জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় করে পেমেন্ট করার জন্য এই এপটি গুগল তৈরি করেছে। অনলাইনে কেনাকাঠার ক্ষেত্রে এই এপস এর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এটি অনেকটা পেপাল এর মত কাজ করে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই এপস এর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

এই এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে এপস ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কেনাকাঠা করতে হবে। আপনি যত বেশি কেনাকাঠা করবেন, আপনার লেনদেনের উপরে ভিত্তি করে শতকরা হারে আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। সাধারণত প্রতি ১০০ টাকা ব্যবহারে গুগল ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত ফেরত দিয়ে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ছুটির দিনে কেনাকাঠা ও বিল পরিশোধ করলে গুগল আরো বেশি হারে টাকা ফেরত দিয়ে থাকে।

4. Swagbucks

Swagbucks এন্ড্রয়েড এপস থেকে আয় করার বিভিন্ন অপশন রয়েছে। এই এপস দিয়ে মোটামুটি ভালোমানের টাকা আয় করা যায় এবং আয়ের টাকা পেপাল এবং ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করা যায়। তাদের ওয়েব ভার্সন এবং এন্ড্রয়েড ভার্সন রয়েছে। আপনি চাইলে দুটি পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

সাধারণত এই এপস বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে থাকে এবং বিভিন্ন টাস্ক কমপ্লিট করার অপশন দিয়ে থাকে। এগুলো সঠিকভাবে পুরণ করার পর আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। এ ছাড়া এখানে তেমন কোন কঠিন কাজ নেই। শুধুমাত্র কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে খুব সহজে একটি একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারবেন।

5. Cointiply - Earn Free Bitcoin

এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করে টাকা হাতের পাওয়ার ক্ষেত্রে Cointiply অসাধারণ একটি এন্ড্রয়েড এপস। এই এপস এর ওয়েব ভার্সনও রয়েছে। এখানে একটি একাউন্ট তৈরি করে আপনি কিছু টাস্ক কমপ্লিট করে বিট কয়েন আয় করে নিতে পারবেন। আপনার উপার্জিত বিট কয়েন ডলারে কনভার্ট করে টাকা উত্তোলন করতে পারনে। সাধারণত এখান থেকে আয় করার জন্য আপনাকে Play Games, Install Apps, Filling Surveys, View ads এর মাধ্যমে বিট কয়েন ইনকাম করে নিতে হবে। এই কাজগুলো যত বেশি করবেন, আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।

বাংলাদেশি App দিয়ে টাকা ইনকাম

বাংলাদেশি Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার নির্ভরযোগ্য এবং জনপ্রিয় এপস এখন পর্যন্ত চালু হয়নি। বিশেষকরে মোটামুটি ভালোমানের টাকা আয় করার মত কোন বাংলাদেশি এন্ড্রয়েড এপস এখনো নেই। তবে আমাদের দেশের কিছু ফাইন্যান্সিয়াল এন্ড্রয়েড এপস রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি কিছু ছোট খাটো এমাউন্ট আয় করে নিতে পারবেন। সেই রকম এপস এর মধ্যে নিচের কয়েকটি এপস বেশ জনপ্রিয়।

  1. bKash
  2. Nagad
  3. Rocket
  4. RapidCash
  5. NexusPay
  6. bKash Agent
  7. Nagad Uddokta
  8. Community Cash
  9. GPAY
  10. bKash Merchant

এগুলো ছাড়াও আরো কিছু এপস রয়েছে যেগুলোতে কাজ করে ছোট ছোট এমাউন্ট ইনকাম করা সম্ভব। এই এপসগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে যে, এখান থেকে আয় করার জন্য তেমন কোন অভীজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র সহজ কিছু স্টেপ অনুসরণ করে কাজ করতে পারলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। নিচে সে রকম জনপ্রিয় দুটি বাংলাদেশি এপস নিয়ে আলোচনা করছি।

1. bKash Android App

আমাদের দেশের ডিজিটাল লেনদেনের অধিকাংশ কাজ বিকাশ একদম সহজ করে দিয়েছে। বিকাশকে বাংলাদেশের ডিজিটাল ওয়ালেট হিসেবে গণ্য করা হয়। এই এপস দিয়ে টাকা পয়সা লেনদেন করার পাশাপাশি এপস রেফার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত প্রতিটি রেফার এর জন্য বিকাশ ২০ টাকা পরিশোধ করে থাকে।

গুগল প্লে-স্টোর থেকে বিকাশ এপস মোবাইলে ইনস্টল করে নিজে নিজে একটি একাউন্ট তৈরি করে সেটিংস থেকে রেফার আইডি ব্যবহার করে অন্যকে এপস ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ পাঠাতে পারেন। কেউ আপনার পাঠানো লিংক ব্যবহার করে বিকাশ এপস ইনস্টল করলে প্রতিটি রেফার এর জন্য আপনার একাউন্টে ২০ টাকা করে জমা হবে। এভাবে আপনি যত বেশি রেফার করবেন আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।

2. cWork - Micro Job

এটাকে এক ধরনের মাইক্রো জব এপ্লিকেশন বলা হয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির কাজ পাওয়া যায়। এই এপসে একটি একাউন্ট তৈরি করে আপনি যে বিষয়ে জানেন সে বিষয়ে ৩০০ শব্দের লেখা সাবমিট করতে পারবেন। আপনার লেখার কোয়ালিটি অনুসারে আপনাকে টাকা পরিশোধ করা হবে। আপনার লেখা যত বড় এবং ভালো হবে আপনাকে তত বেশি টাকা পরিশোধ করা হবে।

এখানে শিক্ষা, বিনোদন, ব্লগিং থেকে শুরু করে নিউজ পোর্টালসহ প্রায় সকল ধরনের লেখালেখির কাজ পাওয়া যায়। সাধারণত অনলাইন আয়, ব্লগিং, বিনোদন ও গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নিয়ে লিখলে এই এপস থেকে বেশি টাকা আয় করা যায়। এই এপটি আমাদের দেশের হওয়ার কারনে বাংলা ভাষায় সকল ধরনের লেখা সাবমিট করা যায়।

3. Cointiply (বেস্ট টাকা আয় করার apps)

Cointiply একটি মাইক্রোনিচ ওয়েবসাইট যেখানে আপনি ফ্রিতে বিটকয়েন আর্নিং করতে পারবেন।এখানে আপনি খুব ছোট ছোট টাক্স কমপ্লিট করার পরিবর্তে কিছু বিটকয়েন পাবেন।

যেমন গেম খেলা,অ্যাপ ইনস্টল করা,সার্ভে কমপ্লিট করা ,এডস ভিউ করে এবং আরো অনেক ছোট ছোট টাস্ক কমপ্লিট করার পরিবর্তে বিটকয়েন দেয়া হয়।

পরবর্তী ক্ষেত্রে এই বিটকয়েন গুলি অনেক সাইট আছে যেখান থেকে ক্যাশ এ কনভার্ট করে নিতে পারবেন।

ডাউনলোড – Cointiply

4. Perk app

পার্ক একটা খুবি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেখানে এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন টাক্স কমপ্লিট করার পরিবর্তে রিওয়ার্ড পাবেন।

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও watch ,গেম খেলে,ওয়েবসাইট ভিজিট করে, সার্চ করে এবং অন্যান্য বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি করা পরিবর্তে আর্নিং করতে পারবেন।

পার্ক এর সব থেকে ভালো গুন্ হচ্ছে  Perk.tv এখানে আপনি “ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম “ করতে পারবেন। 

আপনি এদের গিফট কার্ড বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করতে হবে যেমন PayPal, Walmart, ইত্যাদি। 

ডাউনলোড –Perk app

  • ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ৫ টি সহজ মাধ্যম।

5. Foap – sell your photos

বন্ধুগণ,এবার আমি আপনাদের একটি ফটো অ্যাপস এর কথা বলব যেখানে আপনি প্রফেশনাল ভাবে ফটো তুলে সেল করতে পারবেন।

পৃথিবীর বড় বড় অ্যাড সংস্থা, ব্র্যান্ড এবং মার্কেটিং এজেন্সি এখান থেকে ফটো ক্রয় করে।এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রেজিস্টার করুন,এবং সেখানে আপনার ছবিগুলো আপলোড করেদিন।

আপনার ছবিগুলি ভাল রেটিং পেলে তার ভাইরাল হওয়ার চান্স থাকবে।এখানে আপনি একটা একটা ছবি থেকে 5 থেকে 100 ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

অবশ্য এই পেমেন্ট নিতে হলে আপনার একটি পেপাল একাউন্ট থাকা দরকার।

ডাউনলোড – Foap

  • মোবাইলে আয় করার ৭ টি সহজ উপায় ?

6. Google’s Opinion Rewards

জিহাঁ ,ঠিক শুনেছেন আপনি যে কোম্পানির অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করছেন সেই কোম্পানির এমন একটি অ্যাপস আছে যার মাধ্যমে কিছু reward points কালেকশন করতে পারবেন।

এই reward points দ্বারা আপনি বিভিন্ন গুগলের সার্ভিস ক্রয় করতে পারবেন।

যে সার্ভিস গুলো ব্যবহার করতে হলে pay করতে হয়।যেমন- প্রিমিয়াম অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস প্লেস্টোরে  buy,মিউজিক, মুভি এই ধরনের প্রিমিয়াম আইটেম গুগল থেকে ওই reward points দ্বারা purchase বা ক্রয় করতে পারবেন।

এই অ্যাপসটি ইন্সটল করার পর আপনি কুড়ি থেকে ত্রিশ টি surveys প্রত্যেক সপ্তাহে কমপ্লিট করুন এবং reward points কালেক্ট করুন।

এখানে reward এর পরিমান খুব অল্প,তবে একটা কথা মনেরাখবেন এটি  গুগোল নিজে সার্ভে করাচ্ছে এবং গুগলকে অবশ্যই ট্রাস্ট করা যায়।

ডাউনলোড – Opinion Rewards

  •  ৫টি সহজ অনলাইনে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি। 

7. Picxele

স্টুডেন্টদের জন্য একটি সুন্দর অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে Picxele.

এই এপপ্স এর মাধ্যমে অনেক কিছু করা যায়। আপনি এখান থেকে বিভিন্ন পার্টটাইম ইন্টারশিপ,Brand Campaigns,Influencer marketing সঙ্গে কাজ করে আর্নিং করতে পারবেন।

এছাড়া এখানে বিভিন্ন টাস্ক করার পরিবর্তে ফেভারিট স্টোর থেকে ক্রয় করে ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।পেমেন্ট আপনি নিজের ব্যাঙ্ক বা paytm এ redeem করেনিতে পারবেন।

ডাউনলোড – Picxele

8. Make Money – Free Cash App

ফ্রেন্ডস আপনি এই অ্যাপসটির মাধ্যমে real money eran করতে পারবেন,শুধু কিছু সিম্পল টাস্ক কমপ্লিট করার পরিবর্তে।

এখানে সাধারণত ভিডিও ওয়াচ করার পরিবর্তে,অ্যাপস ডাউনলোড করে,সার্ভে কমপ্লিট করে,নিজের ওপিনিয়ন শেয়ার করে  আর্নিনিং করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন সার্ভিস কে টেস্টিং করার পরিবর্তে কোম্পানি আপনার পেপাল একাউন্ট এ মানি সেন্ড করে।

 এই অ্যাপস টি আপনি যেকোনো জায়গা ব্যবহার করে টাকা আর্নিং করতে পারবেন।সে ইন্ডিয়া হোক বা বাংলাদেশ শুধু আপনার একটা পেপাল একাউন্ট থাকলেই হবে।

ডাউনলোড- make money 

9. frapp

বন্ধুরা,এবার আমরা যে অ্যাপসটি নিয়ে কথা বলব সেটি লোকজনের ফটো কালেক্ট করার পরিবর্তে আপনাকে pay করবে। বন্ধুগন আপনাদের আশেপাশে যদি কোন বড় ইভেন্ট,অনুষ্ঠান বা ফাংশন হয় আপনি সেখানে গিয়ে সেগুলোর ফটো তুলুন এবং সেগুলো এই অ্যাপে মধ্যে আপলোড করুন।

ওই ফটোগুলি সাধারণত বিভিন্ন নিউজ মিডিয়া,নিউজ ওয়েবসাইট,সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করা হবে,এবং আপনি এর পরিবর্তে কিছু টাকা আর্নিং করতে পারবেন। 

ডাউনলোড- frapp

10. Loco  – play game earn money

ফ্রেন্ডস,হয়তো আপনারা অনেকেই টাকা ইনকাম করার গেম সম্পর্কে জানতে চাইছেন।গেম খেলে আয় করতে চাইলে এই অ্যাপসটি ডাউনলোড করুন।

এটি ইন্ডিয়ার প্রথম ফ্রী গেমিং অ্যাপ যেখানে আপনি নিজের ভাষায় গেমখেলে আয় করার  সুবিধে পাবেন।এই app টি  বিভিন্ন ভাষা সাপোর্ট করে যেমন বাংলা,হিন্দি এবং ইংরেজি আরো অন্যান্য ভাষা পেয়ে যাবেন।

প্লে স্টোরে অনেকগুলো money-making অ্যাপে পাবেন যেগুলো তে গেম খেলে বা ছোট টাস্ক করে আর্নিং করা হয় সেগুলির মধ্যে Loco একটি

এই মানি মেকিং অ্যাপগুলি সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে আপনি এন্টারটেনমেন্টের সঙ্গে সঙ্গে ভালো রকম আর্নিং করার ও সুবিধে থাকে ।

ডাউনলোড – Loco

আমাদের শেষ কথা,

বন্ধুগণ, উপরে আমি যে টাকা আয় করার apps গুলি নিয়ে কথা বললাম,সেগুলি থেকে আপনি জাস্ট টাইম পাস করে স্বল্প কিছু আয় করতে পারবেন।তবে,আপনি যদি মোবাইল থেকে ফুল টাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে নিচে লিংক দেওয়া সেই আর্টিকেল গুলো পড়ুন। 

আরো পড়ুন-

  • মোবাইলে আয় করার ৭ টি সহজ উপায় ?
  • মোবাইলে ফেসবুক দ্বারা মাসে ৫০০ ডলার আয় করুন। 

সত্যিকারে আদৌ টাকা ইনকাম Apps আছে কি না? আমার ব্লগের পাঠকদের এই প্রশ্নে আমি এত বেশি বিব্রত যে, শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে টাকা ইনকাম করার এপস নিয়ে লিখতে বসলাম। কিছু দিন আগে আমাদের ব্লগে “মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট” শিরোনামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আপনি ঐ পোস্টটি পড়লে মোবাইল দিয়ে আয়ের সকল সত্য মিথ্যা ও বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বর্তমানে আমাদের সবার হাতে হাতে মিনিমাম একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। সে জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা আমাদের জন্য একদম সহজ হয়ে পড়েছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার জন্য টাকা ইনকাম Apps খুঁজে থাকেন। আপনি শুনে আরো অবাক হবেন যে, এমন অনেক লোক রয়েছে যারা বাটন ফোনে টাকা আয় করার উপায় খুঁজে বেড়ান! আপনি তাদের মধ্যে একজন হলে আজকের পোস্ট থেকে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র একটু ধৈর্য্যধারণ করে পোস্টটি পড়তে হবে।

আজকের পোস্টে আমরা ভালোমানের ৫টি Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার উপায় জানব। সেই সাথে পোস্টের শেষাংশে ২ টি বাংলাদেশী এন্ড্রয়েড এপস নিয়ে আলোচনা করব, যারা সত্যিকার অর্থে টাকা পরিশোধ করে থাকে। আমরা যে ৭ টি এন্ড্রয়েড এপস নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো অস্থায়ি নয়। এই ৭ টি এপস স্থায়িভাবে সবসময় তাদের সেবা চালু রাখবে।

সাধারণত অধিকাংশ এন্ড্রয়েড এপস থেকে আয় করার ক্ষেত্রে এপস এর ভীতরে থাকা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হয় কিংবা ভিডিও দেখতে হয়। সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক এবং ভিডিও দেখার পর একাউন্টে সামান্য কিছু টাকা জমা হয়। কিন্তু আমরা যে ৭ টি এন্ড্রয়েড এপস নিয়ে আলোচনা করবে সেগুলো থেকে টাকা আয় করার জন্য এ ধরনের কোন কাজ করতে হবে না।


আমরা Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার যে এপস শেয়ার করব সেগুলো অনেক ভালোমানের এবং তারা সবসময় তাদের গ্রাহককে বিশ্বস্ততার সহিত টাকা পরিশোধ করে। তবে মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে একটা কথা জানিয়ে রাখছি যে, ব্লগিং ও ইউটিউবে কাজ করে আপনি যে পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন, টাকা ইনকাম Apps দিয়ে সেই পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন না।

Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

সাধারণত যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই তারা মোবাইলের মাধ্যমে Android Apps দিয়ে টাকা আয় করার চেষ্টা করে। তবে এখানেও একটা সমস্যা আছে। আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট না থাকলে আপনি Android Apps দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন না। এন্ড্রয়েড এপস দিয়ে টাকা আয় করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে দ্রুত গতি সম্পন্ন ডাটা কিনে নিবেন। সেই সাথে আপনার মোবাইল কিছুটা ভালোমানের হলে কাজ করতে আপনার জন্য সুবিধা হবে।

Post a Comment

Let us know how you are feeling about this article by commenting.

Previous Post Next Post